বোলপুর: "নোবেলজয়ী ভারতরত্ন অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে সম্মানীয় ব্যক্তিকে অবমাননা করার জন্য।" ক্ষমা না চাইলে আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিলেন অমর্ত্য সেনের আইনজীবী গোড়াচাঁদ চক্রবর্তী। পাশাপাশি অমর্ত্য সেনও একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেন।
এদিন শান্তিনিকেতনের বাড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে অমর্ত্য সেন জানান, জমি জরিপ করলে ১৩ ডেসিমেল জমি ১৩ ডেসিমেলই থাকবে। কী কারনে জমি জরিপ করার প্রয়োজন, এটা জানলে বিশ্বভারতীর কর্মকর্তাদের কাজকর্মের প্রয়োজন হয়তো হ্রাস হতো ও অকারণে ছাত্র-ছাত্রীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নির্বাসিত হওয়ায় ভয় হ্রাস হত।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে রেখেছেন, দ্রুত জমি ফিরিয়ে দেওয়া হোক। এমনকি, অমর্ত্য সেন চাইলে যৌথভাবে জমি জরিপ করতে প্রস্তুত বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এই রকম বিস্ফোরক ৩ টি চিঠি অমর্ত্য সেনকে দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেই চিঠি সংবাদমাধ্যমকেও দিয়েছেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী থেকে বহু বিশিষ্ট মানুষজন অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
চিঠি দেওয়া ছাড়াও বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীও একাধিকবার অমর্ত্য সেনের নোবেল থেকে শুরু করে 'জমি কবজা' শব্দ ব্যবহার করে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন। যা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বত্র। এবার জমি বিতর্ক নিয়ে মাঠে নেমে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে এক হাতে নিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন।
এদিন নিজের বাড়িতে আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। সেখানে তিনি জানান, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে অমর্ত্য সেন একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেন। তাতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাজকর্ম প্রসঙ্গে ব্যঙ্গ করেন তিনি। অমর্ত্য সেন বলেন, "জমি জরিপ কেন করতে যাব? জরিপ করার প্রয়োজন হয় মাপ বুঝতে। এখানে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তো বলছেন ১৩ ডেসিমেল জায়গা নাকি আমার নয়। জমি জরিপ করলে কী জানা যায় জমি কার? আমার আইনজীবী বিশ্বভারতীকে জবাব দিয়েছে।"
এদিন অমর্ত্য সেনের আইনজীবী গোড়াচাঁদ চক্রবর্তী একটি চিঠি দেন বিশ্বভারতীর সম্পত্তি আধিকারিককে। তাতে উল্লেখ করা হয়, নোবেলজয়ী ভারতরত্ন অমর্ত্য সেন সারা বিশ্বের কাছে সম্মানীয় ব্যক্তি। তাঁকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে অসম্মানিত করার জন্য জমি দখলের অভিযোগ তুলে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আমার মক্কেল অমর্ত্য সেনকে চিঠি দিয়ে সেই চিঠি কেন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেওয়া হল।
সেখানে বলা হয়, ভিত্তিহীন, মিথ্যা, অযৌক্তিক, ভুয়ো অভিযোগ করা হয়েছে। তাই অবিলম্বে শ্রদ্ধেয় অমর্ত্য সেনের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তা না হলে আমরা আইনত ব্যবস্থা নেব।
আরও পড়ুন, 'আপনার আশীর্বাদ না থাকলে আমাদের সুবিধা', মমতাকে কে বলল এমন কথা?
আরও পড়ুন, মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছেন, কিন্তু তিনি নেবেন কি? Z প্লাস নিয়ে মহা ফাঁপরে অমর্ত্য সেন
এমন ভাবেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে হুঁশিয়ারি দিয়ে চিঠি দেওয়া হল। অর্থাৎ, বিশ্বভারতীর লাগাতার চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এবার মাঠে নামলেন খোদ অমর্ত্য সেন।ইন্দ্রজিৎ রুজ
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Amartya Sen