#নয়াদিল্লি:
বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার একাধিক কেন্দ্রে প্রার্থী দেবে বলে ঘোষণা করেছিল অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন। মিম-এর প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসিকে যদিও তারপর থেকে আর বাংলায় দেখা যাচ্ছিল না। এই নিয়ে মিমের সমর্থকদের মধ্যেও চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। শেষমেষ ভোটের বাংলায় মুখ দেখা গেল আসাদউদ্দিন ওয়েইসির। তিনি ভোট প্রচারে এলেন মুর্শিদাবাদে। শনিবার মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে সভা করলেন তিনি। আর সেই সভা থেকেই তিনি আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে।মুর্শিদাবাদের ১৩টি আসনে প্রার্থী দেবে মিম। এমনই জল্পনা ছিল। অনেকে আন্দাজ করেছিলেন, শনিবার প্রচারে এসে ওয়েইসি হয়তো প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দেবেন। কিন্তু সেরকম কিছুই হল না। সাগরদিঘি হাইস্কুলের মাঠের সভা থেকে তাঁর মুখে স্রেফ মোদি বিরোধিতাযই শোনা গেল। এদিন মুর্শিদাবাদের জনসভা থেকে নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তিনি। ওয়েইসি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে গিয়ে বলেছেন, তিনি বাংলাদশের স্বাধীনতার জন্য সত্যাগ্রহ আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। তার জন্য তাঁকে জেল খাটতে হয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের জন্য সত্যাগ্রহে অংশ নিলে তিনি কেন আমাদের প্রতি এত খারাপ আচরণ করেন! মোদির কাছে তো মুর্শিদাবাদি মানেই বাংলাদেশি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে মুসলমান মানেই জিহাদি। আদিবাসীদের নকশাল বলে ডাকেন। বিজেপি সরকার দেশে হিংসার বাতাবরণে তৈরি করেছে। এখন মন্দিরে মুসলমান বালক জল খেতে গেলে মারধর করা হয়। ধর্মনিরপেক্ষ চিন্তা করলে বলা হয় দেশদ্রোহী।
ভোটের বাংলায় এদিনই প্রথম সভা করলেন ওয়েইসি। এর আগে মেটিয়াব্রুজে সভা করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু পুলিশি অনুমতি না মেলায় শেষ পর্যন্ত সেই সভা বাতিল হয়। বহুদিন ধরেই মুর্শিদাবাদ জেলায় মিমের নজর রয়েছে। এর আগে রাজ্যে আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে আলোচনাও সেরেছেন ওয়েইসি। তবে তার পর অবশ্য পরিস্থিতিতে অনেক বদল হয়েছে। আব্বাস নিজের দল গড়ে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেছে। মুর্শিদাবাদে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত কেন্দ্রগুলিতে লড়াই করতে চেয়েছিল মিম। কিন্তু আপাতত জানা যাচ্ছে, সাগরদিঘি ও জলঙ্গি, এই দু'টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে মিম। অন্য আসন পরে ঘোষণা করা হবে। তা হলে ১৩টি কেন্দ্রের প্রার্থীই দিতে পারল না ওয়েসইসির দল! জল্পনা কিন্তু তেমনই।