#বর্ধমান: অবশেষে ঘরের বাইরে পা দেওয়ার ফুরসত মিলল। গৃহবন্দি দশা থেকে মুক্তির স্বাদ মিল রথ যাত্রার হাত ধরে। তিন মাস গৃহবন্দি থাকার পর রথ নিয়ে বর্ধমানের রাস্তায় নামল শিশু-কিশোররা। বড় বড় রথযাত্রা করোনা সংক্রমণের আবহে বন্ধ থাকলেও সেই নিষেধাজ্ঞা অনেকটাই শিথিল ছিল ছোটদের ক্ষেত্রে। কাঁহাতক আর বাড়িতে বসে থাকা যায়! সেই উপলব্ধি থেকেই রথের দিনের বিকেলে ছোটদের একটু বাইরে বেরোনোর অনুমতি দিয়েছিলেন বড়রা। সেই সুযোগে ছোট ছোট রথ নিয়ে পাড়ার অলিগলি দাপিয়ে বেড়ালো শিশু-কিশোররা।
বড়রা লকডাউন ভেঙেছে বারে বারে। অনেকের রুটি-রুজির তাগিদে। অনেকে বেরিয়েছেন নিরুপায় হয়ে। বাকিরা নানা অছিলায়। কখনও বাজার করার তাগিদে। আবার কখনও ওষুধের দোকানে যাবার নাম করে। বাড়ির বয়স্কদের মতোই ছোটদের সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি। কারণ, বাড়ির বাইরে পা দেওয়া মানেই করোনাকে আমন্ত্রণ করে ঘরে নিয়ে আসা। তাই ঘরের চার দেয়ালের মধ্যেই কেটেছে তিনমাস।
পড়াশোনায় মন না বসলে ছবি আঁকো, গান শোনো।নিদেনপক্ষে কম্পিউটার গেম। কিন্তু এসব কতদিন চলতে পারে! তাই ঘরবন্দি অবস্থার কুপ্রভাব শিশুমনে ভীষনভাবেই পড়ছে- এমন আশঙ্কার কথা বারে বারেই শোনাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রেও তা বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলেও মত অনেক বিশেষজ্ঞের।
এখন পথে বেরিয়ে সঙ্গে মাস্ক রাখতেও ভুলছেন অনেকে। বারে বারে সাবানে হাত ধোয়া কমেছে। আর তাই এবার একটু একটু করে শিশুদের বের হতে দিতে আপত্তি নেই অনেকেরই। তাই ঘরের ছেলে বা মেয়েটি যখন অন্যান্যবারের মতো এবারও রথ নিয়ে রাস্তায় বেরোনোর বায়না ধরে তখন আর তাতে আপত্তি করেননি অনেকেই। আগের দিনই বাড়িতে এসেছিল ছোট রথ। বিক্রি হবে কি হবে না সেইসব সংশয় নিয়েই বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দিরের সামনে পসরা সাজিয়ে ছিলেন অনেকেই। শেষ পর্যন্ত তাদের মুখে হাসি ফুটেছে। বিক্রি হয়ে গেছে বেশিরভাগ রথই। সবচেয়ে ছোট রথের দাম ছিল একশো টাকা। দোতলার রথের তার দাম দেড়শ টাকা। তিন তলা রথও ছিল। দাম তিনশো টাকা। ছোট-বড় মিলিয়ে বিক্রি বাটা ভালোই হয়েছিল। মঙ্গলবার বৃষ্টি থামার শেষে সেইসব রথ নিয়ে প্রবল উৎসাহে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরতে দেখা গেল কচিকাঁচাদের।
Saradindu Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, Rath Yatra, Rath Yatra 2020