#হাবড়া: ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠান করে খেলা হবে দিবস-এর প্রচার করলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক৷ এদিন তিনি উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া কলতানে একটি অনুষ্ঠানে এসে হাবড়া পৌরসভার প্রত্যেক ওয়ার্ডের হাতে দুটি করে ফুটবল তুলে দেন। ফুটবল পেয়ে খুশি বিভিন্ন ওয়ার্ডের কর্মীসমর্থকরা।
এছাড়াও তিনি খেলা হবে দিবস উপলক্ষে হাবড়ার সমস্ত ক্রীড়া জগতের মানুষদের এগিয়ে আসার জন্য আহবান জানান। বিজেপিকে আক্রমণ করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, হাবড়ার বেরগুম পঞ্চায়েত এলাকার প্রায় ২৫০-৩৫০ জন বিজেপি কর্মী এদিন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন এবং আগামী দিনে জেলার আরও বহু জায়গার মানুষ বিজেপি ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দেবেন।
প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটের আগে এই ‘খেলা হবে’ স্লোগানকে হাতিয়ার করেই প্রচারে ঝড় তুলেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয়বার বাংলার ক্ষমতায় আসার পর তাই রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ১৬ অগস্ট ‘খেলা হবে’ দিবস পালনের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সূত্রে তৃণমূলের নতুন লক্ষ্য ত্রিপুরাতেও আজ খেলা হবে দিবস পালন করছে তৃণমূল।
বাংলা জয়ের হ্যাটট্রিকের পর এবার তৃণমূলের লক্ষ্য ২০২৩-এর বিধানসভা ভোটে ত্রিপুরায় ক্ষমতা দখল। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে সেই তত্পরতা। তারই অঙ্গ হিসেবে সে রাজ্যেও খেলা হবে দিবস পালনের কর্মসূচি নিয়েছে ঘাসফুল শিবির। আগরতলার উত্তর বনমালীপুর থেকে ফুটবল খেলতে খেলতে খেলা হবে স্লোগান দিয়ে মিছিল করেছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, অর্পিতা ঘোষ, আবীররঞ্জন বিশ্বাস-সহ তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।
এদিকে, তৃণমূলের খেলা হবে দিবসকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন সকালে নিজে ফুটবল খেলতে-খেলতে তিনি বলেন, 'খেলা জিনিসটাকে রাজনীতি ও হিংসায় পরিণত করেছে তৃণমূল। সিন্ডিকেট ও কাটমানির খেলা চলছে চারিদিকে। ফুটবলে পায়ে নিজে গোল দিয়ে দিলীপের জবাব, ‘বাকিরা ডায়লগ দেয়, আমি গোল দিই।’ তৃণমূলের কুণাল ঘোষকে লক্ষ্য করে তাঁর জবাব, ‘এখন বড় বড় কথা বলছেন। ৩-৪ বছর আগেও জেলে নিয়ে যাওয়ার সময় ডাকাতরানি, চোরের রানি বলতেন। তখন পুলিশ হাততালি দিত, হাত দিয়ে গাড়ি বাজাত।’
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Jyotipriya Mallick