#সুন্দরবন: মানুষ মরলে ছাগল দান করে উপার্জনের পথ দেখায় বন দফতর। সেই ছাগল দু থেকে চার মাস বাঁচে। আবার, মানুষ জঙ্গলে যায় মাছ কাঁকড়া ধরতে। ফের মারা যায়। এখনও পর্যন্ত জীবিকার সন্ধান সঠিকভাবে কেউ দিতে পারেনি ওদের। তবে নিজেদের ফসল বিক্রি করতে না পেরে আফসোস সুন্দরবনের মানুষদের। গত ১০ জুলাই থেকে ১৬ জুলাই অব্দি বাঘের আক্রমণে মারা গেছে সাত জন। প্রত্যেকেই সুন্দরবনের জঙ্গলে মাছ কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিল। সেখান থেকেই বাঘের আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে প্রতিদিন একজন করে।
যদিও সরকারি হিসাবে এদের সংখ্যাটা লিপিবদ্ধ নেই। গত এক বছরে পঞ্চাশ থেকে ষাট জন বাঘের হানায় মারা গিয়েছেন। এদের বেশির ভাগের জঙ্গলে ঢোকার কোন পাস নেই। কিন্তু পেটের টানে এরা প্রত্যেকেই জঙ্গলে যায়। তাঁদের দাবি, যতবারই কেউ মারা গিয়েছেন, বন দফতর এসে দুটি করে ছাগল দিয়ে গেছে। যাতে ওই ছাগল পালন করে জীবিকা অর্জন করে দিনযাপন করে পরিবার। তাতে যে সম্ভব না! বলছিলেন ওখানকার গ্রামবাসীরা। বিকাশ সরকার,দীনবন্ধু মণ্ডলরা প্রত্যেকে একই ভাবে জীবিকা অর্জন করে চলেছেন। এদের বক্তব্য ছাগল দান নয়, ছোট মোল্লাখালি,আমলামেথি ,সাত জেলিয়া সহ যে দ্বীপগুলো রয়েছে, সেখানকার মানুষদের চাষের ফসল শাকসবজি থেকে আরম্ভ করে ধান, চাল, সঠিক যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকার জন্য মুটে এবং নৌকা ও ভ্যান ভাড়া, টেম্পো ভাড়া দিয়ে বাজার পর্যন্ত নিয়ে যেতে অনেক বেশি খরচ পড়ে যায়।
তাঁদের দাবি যদি ভেসেল দেওয়া থাকত, তাতে গাড়ি ভর্তি করে ওই ভেসেলে উঠলে সোজা বাজারে পৌঁছানো যেত। তাতে বারে বারে মাল ওঠানো-নামানো এবং মুটের টাকা কিংবা বহনের খরচ বেশি পড়ত না। সেই ব্যবস্থা নেই ওখানে। ফল একটাই, সকাল বেলা হলে বাঘের জঙ্গল গুলোতে লুকিয়ে চুরিয়ে ঢুকে যাওয়া।কপাল ভালো থাকলে ফিরে আসা। নইলে বাঘের হানায় মৃত্যু হয়। তাঁদের দাবি, সরকারের পরিকল্পনার অভাবের জন্যই জীবিকা মার খাচ্ছে প্রতিদিন। উঠেছে সুন্দর যোগাযোগ ব্যবস্থার দাবি। তাহলে বাঘের জঙ্গলে কেউ আর মরতে যেতে চাইবে না। নিজেদের চাষের জিনিস বিক্রি করে পেট চালাবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।