#ইছাপুর: ১.৭০ কোটি টাকার তছরুপের অভিযোগে সিবিআই (CBI)-এর হাতে গ্রেফতার ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরির ক্যাশিয়ার! ধৃতের নাম মধুসূদন মুখোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১২- ২০১৬ সালে ওই কোম্পানির কোটি-কোটি টাকা ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেছেন ওই ব্যক্তি।
২০১৭ সালে ৪ এপ্রিল অভিযোগ দায়ের করে ওই কোম্পানির চিফ ভিজিল্যান্স অফিসার। এরপরই সিবিআই ওই বছর ১৭ অক্টোবর এফআইআর করে তদন্ত শুরু করে। জানা গিয়েছে, সিবিআই অভিযুক্ত মধুসূদন মুখোপাধ্যায়কে একাধিক বার তলব করলেও তদন্তে অসহযোগিতা করেন তিনি। তাঁর বয়ানেও একাধিক অসঙ্গতি পাওয়া যায়। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকা ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরিতে কীভাবে তছরুপ এত টাকা? এত কোটি কোটি টাকা তছরুপের পিছনে আর কোন বড় বড় রাঘব বোয়াল রয়েছে? এই ঘটনায় আর কারা যুক্ত? সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরিতে একটি বড় চক্রের পর্দাফাঁস হয়। অভিযোগ ওঠে, ওই কারখানা থেকে পাচার হত অস্ত্রের নানান অংশ। সেই সময়ই তদন্তে আরও বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসে। জানা যায়, সংস্থার অস্ত্র তৈরির নানা অংশ তুলে দেওয়া হত বিহারের মাওবাদীদের হাতে। ওই পাচারকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন কারখানারই দুই কর্মী বিকাশ সাউ ও শম্ভু ভট্টাচার্য। কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের হাতে গ্রেফতার হয় তাঁরা।
আরও পড়ুন: মমতার ডেরায় 'বাধার' মুখে সুকান্ত! প্রিয়াঙ্কার জয় আনতে সেই একই 'অস্ত্রে' শান নতুন সেনাপতির
সেই ঘটনার পরই কেন্দ্রের তরফেও কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরিতে একটি অস্ত্রের প্রত্যেকটি অংশে বিশেষ নম্বর মার্ক করা হয়। সেই মার্কিং দেখেই অস্ত্রের অংশগুলি জোড়া লাগানো হত। এর ফলে অতিরিক্ত কোনও অংশ বাইরে পাচার করার আশঙ্কা কমে যায়। কিন্তু সেই ঘটনার রেশ মিটতে না মিটতেই বছর তিনেকের ব্যবধানে আবার প্রকাশ্যে এল আর্থিক তছরূপের অভিযোগ। এর পিছনেও কোনও মাওবাদী চক্র সক্রিয় কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে, যে সময় অস্ত্রের অংশ পাচার হত মাওবাদীদের কাছে, সেই সময়ও ওই ফ্যাক্টরিতে টাকা নয়ছয় হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: CBI