শ্রীখোলে সুর তুলতে ওস্তাদ, বিশ্বজুড়ে বানিয়েছেন ১৫০০ ছাত্র! বাঙালিদের গর্ব, মুখে মুখে এখন একটাই নাম বর্ধমানের নদীয়া নন্দন

Last Updated:

ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি আকর্ষণ ক্রমশ বাড়ছে বিদেশিদের মধ্যে। বিশেষ করে আমাদের দেশের প্রাচীন বাদ্যযন্ত্রগুলির প্রতি তাঁদের আগ্রহ দিন দিন বেড়েই চলেছে।

+
শ্রীখোল

শ্রীখোল প্রশিক্ষক নদীয়া নন্দন বৈরাগ্য

মঙ্গলকোট, পূর্ব বর্ধমান, বনোয়ারীলাল চৌধুরী: ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি আকর্ষণ ক্রমশ বাড়ছে বিদেশিদের মধ্যে। বিশেষ করে আমাদের দেশের প্রাচীন বাদ্যযন্ত্রগুলির প্রতি তাঁদের আগ্রহ দিন দিন বেড়েই চলেছে। সেই তালিকায় অন্যতম স্থান দখল করেছে শ্রীখোল। পোড়া মাটির তৈরি এই বাদ্যযন্ত্রটির দু’পাশে চামড়ার আবরণ দিয়ে তৈরি হয় খোলের মূল অংশ। সাধারণত কীর্তন গানে এর ব্যবহার দেখা যায়। যুগ যুগ ধরে শ্রীখোল ভারতীয় ভক্তিমূলক সংগীতের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে যুক্ত। বর্তমানে আফ্রিকা, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এমনকি বাংলাদেশের মানুষও এই শ্রীখোল বাজানো শিখতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
ভারতীয় প্রাচীন সংগীত ও সংস্কৃতি শেখার তাগিদে তাঁরা এখন শ্রীখোল প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ভারতেরই এক সঙ্গীতপ্রেমীর কাছে। শ্রীখোল বাজানো শেখাচ্ছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের পিলসোঁয়া গ্রামের বাসিন্দা নদীয়া নন্দন বৈরাগ্য। ছোটবেলা থেকেই শ্রীখোলের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক। দাদুর কাছ থেকেই প্রথম এই বাদ্যযন্ত্র বাজানো শেখেন নদীয়ানন্দন বাবু। পরে আরও কয়েকজন গুরুর কাছ থেকে তিনি নিয়মিত প্রশিক্ষণ নেন এবং ১০-১১ বছর বয়সেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শ্রীখোল বাজাতে শুরু করেন। সেই অল্প বয়স থেকে আজ পর্যন্ত কয়েক দশকের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন তিনি।
advertisement
advertisement
এই বিষয়ে নদীয়া নন্দন বৈরাগ্য বলেন, “একবার স্টেট চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, দিল্লিতেও অনুষ্ঠান করেছি। এখন আমার স্টুডেন্ট সংখ্যা প্রায় ১৫০০ জন। তার মধ্যে ২০ থেকে ২৫ জন বিদেশি রয়েছে। আফ্রিকা, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ এবং ইংল্যান্ডের স্টুডেন্টও রয়েছে।” রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অনুষ্ঠান করে এবং প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তিনি একাধিকবার প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। আজ তিনি জেলা তথা রাজ্যের এক জনপ্রিয় শ্রীখোল শিল্পী। বছরের প্রায় অর্ধেক সময় তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ব্যস্ত থাকেন, আর বাকি সময়টি কাটান শ্রীখোলের প্রশিক্ষণ দিয়ে।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তিনি এই বিষয়ে আরও বলেন, “বহুদিন আগে একবার মনে হয়েছিল শ্রীখোল বাজিয়ে কিছু হবে না, ছেড়ে দেব। কিন্তু তাও আমি ছাড়িনি, এখনও ধরে রেখেছি। তবে এখন আমাকে আর ভাবতে হয় না, শ্রীখোল নিয়েই স্বাচ্ছন্দ্যে এগিয়ে চলেছি।” সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তাঁর প্রতিভা এখন দেশ ছাড়িয়ে পৌঁছে গেছে বিদেশেও। অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এখন আফ্রিকা, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের বহু মানুষ তাঁর কাছ থেকে শ্রীখোল বাজানো শিখছেন। বর্ধমানের এই নদীয়ানন্দন বৈরাগ্যের হাত ধরেই ভারতীয় প্রাচীন বাদ্যসংস্কৃতির ঐতিহ্য এখন ছড়িয়ে পড়ছে দেশের সীমানা পেরিয়ে, বিদেশের মাটিতেও।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
শ্রীখোলে সুর তুলতে ওস্তাদ, বিশ্বজুড়ে বানিয়েছেন ১৫০০ ছাত্র! বাঙালিদের গর্ব, মুখে মুখে এখন একটাই নাম বর্ধমানের নদীয়া নন্দন
Next Article
advertisement
রোম্যান্স আর অ্যাকশনকে মিশিয়েছেন এক খাতে, রইল বলিউডের ‘হি-ম্যান’ ধর্মেন্দ্রর যাত্রাপথের ঝলক
রোম্যান্স আর অ্যাকশনকে মিশিয়েছেন এক খাতে, বলিউডের ‘হি-ম্যান’ ধর্মেন্দ্রর যাত্রাপথের ঝলক
  • রোম্যান্স আর অ্যাকশনকে মিশিয়েছেন এক খাতে

  • রইল বলিউডের ‘হি-ম্যান’ ধর্মেন্দ্রর যাত্রাপথের ঝলক

  • ধর্মেন্দ্রর কেরিয়ার

VIEW MORE
advertisement
advertisement