#মন্দিরবাজার: মন্দিরবাজারে শিশু বিক্রির অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়। শিশু বিক্রির অভিযোগ পেয়েই সক্রিয় হয় সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ। দ্রুত শিশু বিক্রির অভিযোগে শিশুটির বাবাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত মোজাহার সেখকে মন্দিরবাজারেলর নুরমহম্মদপুর থেকে গ্রেফতার করার পর মঙ্গলবার ডায়মন্ডহারবার মহাকুমা আদালতে পাঠায় পুলিশ। ধৃত মোজাহার শেখ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মন্দিরবাজারের মুলদিয়ার বাসিন্দা। ধৃতের বিরুদ্ধে শিশু সুরক্ষা আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে মন্দিরবাজার থানার পুলিশ। আজ ধৃতকে ডায়মন্ড হারবার মহাকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে। এছাড়াও শিশুটিকে হোমে পাঠানোর বন্দোবস্ত করা হয়েছে বলে খবর। সূত্রের খবর দীর্ঘদিন স্ত্রীর সঙ্গে মোজাহারের বনিবনা হচ্ছিল না। স্ত্রীর কাছে থাকত শিশুটি। কিন্তু বাবা শিশুটিকে নিজের কাছে এনে রাখতে চায়।
কিছুদিন আগে শিশুটিকে স্ত্রীয়ের কাছ থেকে আনতে যায় বাবা। স্বামীর হাতে সন্তানকে তুলে দেয় স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা। এরপরের ঘটনা রহস্যে মোড়া। হঠাৎ ডায়মন্ড হারবার চাইল্ড লাইনে ফোন করেন এক ব্যক্তি। শিশুবিক্রির মত ঘটনা তিনিই প্রথম জানান। এরপরই চাইল্ড লাইনের পক্ষ থেকে মন্দিরবাজার থানায় সমস্ত ঘটনা জানানো হয়। খবর পেয়েই ঘটনার তদন্তে নামে মন্দিরবাজার থানার পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ বঙ্গোপসাগরে মুখোমুখি সংঘর্ষে ডুবল ট্রলার, নিখোঁজ ১ মৎসজীবীপুলিশি তদন্তে উঠে আসে ফরিদা বিবি নামে এক আশা কর্মীর নাম। ওই আশা কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এক দম্পতির কাছ থেকে শিশুটি উদ্ধার করে পুলিশ। শিশুটিকে বাবা মোজাহার সেখ শিশুটিকে তাদের কাছে বিক্রি করেছিল বলে অভিযোগ করেন ওই দম্পতি। কিন্তু এ বিষয়ে চাইল্ড লাইনের বক্তব্য ভিন্ন। এই ঘটনায় ওই আাশা কর্মী ফরিদা বিবিও জড়িত বলে মত চাইল্ড লাইনের। শিশুটির বাবা মানসিক ভারসম্যহীন।
আরও পড়ুনঃ আবহাওয়া খারাপ ও উত্তাল সমুদ্র, গভীর সমুদ্র থেকে খালি হাতে ফিরছে মৎসজীবীরাঅভিযোগ, সেক্ষেত্রে বাবাকে ভুল বুঝিয়ে শিশুটিকে বেআইনিভাবে দম্পতির হাতে তুলে দেয় আশা কর্মী। তবে সুন্দরবনের পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ওই আশা কর্মী শিশুটিকে উদ্ধার করতে সাহায্য করেছে। শিশুটিকে হোমে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
Nawab Mallickনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: South 24 Parganas