সুমন সাহা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : আজকাল আর বাঙালির ঘরে থাকে না চন্দনা টিয়া বা ময়না। ফলে কাজ হারিয়েছে বাঁশের তৈরি খাঁচার কারিগরেরা। আজ আরও একটি কুটির শিল্প বন্ধ হওয়ার আতঙ্কে প্রহর গুনছে বেশ কয়েকটি পরিবার। বহু যুগ ধরে বংশপরম্পরায় পাখির খাঁচা তৈরি করে নিজেদের সংসার চালিয়ে এসেছেন তাঁরা। বিভিন্ন গৃহস্থের বাড়িতে পাখি পোষার রেওয়াজ বহুদিনের। প্রায় প্রতি বাড়িতেই দেখা যেত খাঁচায় বদ্রি, টিয়া ,লাভ, বার্ড , ফিঞ্চ , শালিক-সহ নানা ধরনের পাখি। আর এই পাখি পুষতে গেলে বাঁশের খাঁচার প্রয়োজন। আর বহুকাল ধরে এই বাঁশের খাচা বানিয়ে তা বাজারে যোগান দিয়ে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে আসছে জয়নগর থানা এলাকার দক্ষিণ বারাসাতের বৃত্তিপাড়া গ্রামের কয়েকটি পরিবার।
একদিকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, গৃহপালিত পশু ছাড়া অন্য কোনও পশু পাখি আর খাঁচা বন্দি করে রাখা যাবে না। তাদের মুক্ত আকাশে উড়ে বেড়াতে দিতে হবে। তাই সেভাবে আর গৃহস্থের বাড়িতে পাখি পুষতে দেখা যায় না। এই পরিস্থিতিতে চরম সঙ্কটে দিন গুনছে বাঁশের তৈরি খাঁচা কারিগরেরা।
এ প্রসঙ্গে এক খাঁচা কারিগর বলেন, ‘‘একদিকে যেমন সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী পাখিকে গৃহবন্দি করে রাখা যাবে না। আর অন্যদিকে এই বাঁশের তৈরি খাঁচাতে সেভাবে আর মানুষ ঘুরেও তাকাচ্ছে না। বর্তমানে সেই জায়গায় বিভিন্ন ধরনের খাঁচা বাজার দখল করায় এবং মূল্যবৃদ্ধির ফলে লাভের অঙ্ক অনেক কমে যাওয়ায় নতুন প্রজন্ম এই কাজে উৎসাহ হারাচ্ছে। তাই এই গ্রামীণ কুটির শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখাটাই এখন কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে।’’
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Handicrafts, Pet Bird