South 24 Parganas: মাস্ক ছাড়া দোকানে জিনিস বিক্রি করলেই ব্যবসায়ীকে গুনতে হবে মোটা জরিমানা
- Published by:Soumabrata Ghosh
Last Updated:
মাস্ক ছাড়া দোকানে জিনিস বিক্রি করলেই ব্যবসায়ীকে গুনতে হবে মোটা জরিমানা , ভাঙড়ের বাজারে কড়া নির্দেশ
রুদ্র নারায়ন রায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বাজারে ক্রেতা- বিক্রেতা সবাইকে মাস্ক (Mask) পড়ার পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন। এরপরেও কোন ক্রেতা যদি মাস্ক (Mask) ছাড়া বাজারে যান এবং দোকানদার তাঁকে কোন জিনিস বিক্রি করেন তবে সেই ক্রেতার পাশাপাশি ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মহামারী আইনে ওই বিক্রেতাকে গ্রেফতার কিংবা মোটা অঙ্কের জরিমানাও করা হতে পারে। সংক্রমনের গ্রাফ রুখতে এমনই নিদান দিল ভাঙড় এক নম্বর ব্লক প্রশাসন। এদিন ভাঙড় এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতিতে বৈঠক করেন সমিতির সভাপতি শাহাজাহান মোল্লা, বিডিও দীপ্যমান মজুমদার, ভাঙড় থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং বাজার কমিটির কর্তারা। এই সিদ্ধান্তের ফলে ব্যবসায়ীদের মনে ভয় ধরলেও খুশি সাধারণ মানুষ। তবে শুধু মাস্ক (Mask) নয় এদিন ভাঙড়ের ঘটকপুকুর, চন্দনেশ্বর, পাগলাহাট বাজার এবং বেশ কিছু করোনা আক্রান্তের বাড়িতেও স্যানিটাইজ করা হয়।
কিছু দিন সংখ্যাটা শূন্য থাকার পর নতুন করে সংক্রমণ শুরু হয়েছে বিভিন্ন ব্লকে। শহর লাগোয়া সোনারপুরের পাশাপাশি সংক্রমণ বৃদ্ধি হয়েছে ভাঙড়, ক্যানিং, সহ জেলার বেশ কয়েকটি জায়গায়। সপ্তাহ দুয়েক আগে যেখানে ভাঙড় দুই নম্বর ব্লকে কোভিড আক্রান্ত এক জনও ছিল না, সেখানে চলতি সপ্তাহে দুটি অ্যাক্টিভ কেস পাওয়া গেছে। ভাঙড় এক নম্বর ব্লকে আবার সংখ্যাটি বেড়ে দশ হয়েছে। মোট ৭৬৬ জনের টেস্ট করে ওই দশ জন আক্রান্তের সন্ধান মিলিছে বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর। এদের মধ্যে চারজন হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও বাকিরা হোম আইসোলেশনে আছেন। বিডিও দীপ্যমান মজুমদার বলেন, ‘বাস, অটো , রিক্সা কোথাও মাস্ক ছাড়া যাত্রী তুলতে দেওয়া হচ্ছে না। সাদা পোশাকের পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা বিভিন্ন বাজারে ঘুরে ঘুরে নজরদারি চালাচ্ছেন। বিনা মাস্কে কাউকে দেখলেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।‘
advertisement
এদিন ভাঙড় এক, ভাঙড় দুই এবং ক্যানিং দুই ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েকশো মানুষকে ফুড কিট দেওয়া হয়। লকডাউনের জেরে যারা কাজ হারিয়েছেন কিংবা যাঁদের পরিবারের উপার্জনকারী কোভিডে মারা গিয়েছেন তাঁদের জন্য পরিবার পিছু পাঁচ কেজি চাল, এক কেজি ডাল, দু কেজি করে আলু দেওয়া হয়। ক্যানিং দু'নম্বর ব্লকের বিডিও প্রণবকুমার মণ্ডল বলেন, ‘করোনা তো আছেই সেই সঙ্গে বুলবুল, ইয়াস সবই এই ব্লকে তাণ্ডব চালিয়েছিল। যার জেরে বহু মানুষ সর্বশান্ত হয়ে গেছেন। তাই আপাতত তিনশোর বেশি দুঃস্থ পরিবারের হাতে সামান্য খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হল। আগামী দিনে আরও বেশি করে সামগ্রী দেওয়া হবে।‘
advertisement
Location :
First Published :
January 10, 2022 4:28 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণ ২৪ পরগনা/
South 24 Parganas: মাস্ক ছাড়া দোকানে জিনিস বিক্রি করলেই ব্যবসায়ীকে গুনতে হবে মোটা জরিমানা