Siliguri News : হাইস্কুলে মাত্র একজন শিক্ষক! পড়ানো থেকে স্কুলের দরজা খোলা সব কিছু একা হাতে সামলান শিক্ষক!
- Published by:Piya Banerjee
Last Updated:
Siliguri News : ২০১৩ সাল থেকে এই হাইস্কুলে মাত্র একজন শিক্ষক! একাই পড়ান ছাত্রদের! আবার ঘণ্টা বাজানো থেকে স্কুলের গেট খোলা সব করতে হয় মাস্টার মশাই পঞ্চানন সিংহকে! শিক্ষক দুর্নীতির মাঝে এই খবর অবাক করে!
#শিলিগুড়ি: শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত ফাঁসিদেওয়া ব্লকের চটহাটের বারোঘোরিয়া জুনিয়র হাইস্কুল । পঞ্চম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত হয় পড়াশুনো । বছরের পর বছর পেরোলেও নিজহাতেই স্কুলটি সামলে আসছেন পঞ্চানন সিংহ। প্রত্যন্ত গ্রামের ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের কাছে তিনি ভরসা। পঞ্চানন মাস্টার রয়েছে বলেই স্কুল গেটের তালা আজও খোলে , বাড়ে পড়ুয়াদের সংখ্যা।
এলাকায় পাঠশালার প্রয়োজন , গ্রামের মুরব্বিরা তা নিয়ে প্রাশাসনের কাছে আর্জি জানালে অবশেষে ২০১৩ সালে সরকার থেকে একটি বড় হল ঘরের ন্যায় একটি ঘর তৈরি করে দেওয়া হয় । নাম দেওয়া হয় চটহাট বারোঘোরিয়া জুনিয়র হাইস্কুল । তখন থেকেই একজন শিক্ষককে সেখানে নিযুক্ত করা হয় । পঞ্চানন সিংহ । প্রাইমারি স্কুলের এই শিক্ষককে নিয়োগ করা সহ শিক্ষক হিসেবে । আশা করা হয়েছিল অন্যান্য আর পাঁচটা স্কুলের মত এই জুনিয়র হাইস্কুলেও শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিযুক্ত করা হবে। কিন্তু তা আর হয়নি ।
advertisement
বছর যত গড়িয়েছে বেড়েছে স্কুলের ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা । এই মুহুর্তে ছোট এই স্কুলেও চারটি ক্লাস মিলিয়ে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ১০০।ভরসার আরেক নাম পঞ্চানন মাস্টার হলেও তার পরিস্থিতি নিধিরাম সর্দারের মত । স্কুলে যে আর দ্বিতীয় কোন শিক্ষক নেই । পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত তাকেই পড়াতে হয় । আরও বড় সমস্যা নেই পর্যাপ্ত ক্লাসরুম । সেই যে ২০১৩ সালে সরকার থেকে একটি বড় হল ঘরের মত করে দেওয়া হয়েছিল সেটাকেই তিনি চারটি ভাগে ভাগ করেন । একটি অফিস রুম , একটি কম্পিউটার রুম আর চারটি শ্রেণীর জন্য মাত্র দুটি ক্লাস । পঞ্চম থেকে ষষ্ট শ্রেণী পর্যন্ত একটি ক্লাস আবার সপ্তম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত আরেকটি ক্লাস । একটি ঘরে দুটো করে শ্রেণির পড়াশুনো চলছে দিনের পর দিন থেকে । ভাগাভগি করে বসে ছাত্রছাত্রী।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন: পণ্ডিতিয়ায় নতুন ফ্ল্যাটে অর্পিতা যোগ ! আরও কোটি কোটি টাকা? দরজা না খুলে, সিল করল ইডি! জানুন কারণ
নিজে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক হলেও পঞ্চম থেকে অষ্টম সব ক্লাসের সব বিষয়ই পড়াতে হয় । পঞ্চানন সিংহ জানান, চারটি ক্লাসের সমস্ত বিষয়ের কাজ চলছে অফিসিয়াল অনেক কাজ , সেটাও করতে হয় , সরকারের কাছে আবেদন স্কুলের একটু গুরুত্ব দিয়ে টিচার , ক্লার্ক নিয়োগ করা হোক। এত প্রতিকূলতা থাকলেও সব কিছুর খেয়াল রাখেন পঞ্চানন বাবু। গ্রামের গরীব ছেলেমেয়েদের সামর্থ নেই অঢেল টাকা খরচ করে নামীদামিস্কুলে পড়ার , কিন্তু শিক্ষা যে সবার অধিকার । খোঁজ নেবারও যে কেউ নেই । তিনি চাইলে দিনের পর দিন স্কুল কামাই করতে পারেন । কিন্তু সে পথে না এগিয়ে গ্রামের ছেলে মেয়েদের শিক্ষার ভার তুলে নিয়েছেন নিজের কাঁধে।
advertisement
অনির্বাণ রায়
Location :
First Published :
August 03, 2022 4:37 PM IST