অনির্বাণ রায়, শিলিগুড়ি: গৃহবধূর রহস্যমৃত্যুতে চাঞ্চল্য শিলিগুড়িতে। অভিযোগ, বিয়ের ৯ বছর পরও বাড়তি "পণ" না মেলায় স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অত্যাচারে 'আত্মঘাতী' গৃহবধূ। শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার হয় গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ। জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের নিরঞ্জন নগর কলোনির বাসিন্দা সনাতন দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় রেখা দাসের । তবে বিয়ে কিছু দিন পার হতেই গৃহবধূর উপর বাড়তি "পণ" নিয়ে অত্যাচার শুরু করে স্বামী সনাতন দাস এবং তারা শ্বশুরবাড়ির লোকজন।এমনই অভিযোগ রেখার বাপের বাড়ির পরিবারের।
এদিন পরিবারের সদস্যরা তাঁর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে তড়িঘড়ি তাঁকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থাকা চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।সেই থেকে শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে পলাতক। এদিকে মৃত রেখা পরিবারের দাবি তাঁদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : মিলনমেলায় পরিণত হল পাথরপ্রতিমার শিবের মেলা
বর্তমানে অসহায় অবস্থায় পড়ে রয়েছে মৃতার ৭ বছরের ছেলে এবং ৫ বছর বয়সি মেয়ে। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তাঁর মা বাবা। এই ঘটনায় মৃতার পরিবারের তরফে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের আশিঘর ফাঁড়িতে খুনের অভিযোগও দায়ের হয়। সম্পূর্ণ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃতার বাবা মহাবীর দাস বলেন, "মেয়েকে আমি সবসময় বুঝিয়ে পাঠাতাম যে কোনও ঝামেলা হলে নিজেই শুধরে নিতে। কিন্তু এমন হবে তা জানা ছিল না। কোনও মেয়ের সঙ্গে যেন এমন ঘটনা না হয়। আমরা চাই এই ঘটনায় অপরাধী যেন উপযুক্ত শাস্তি পায়।"
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Dowry System, Siliguri