Siliguri news : বাংলাদেশের রীতি মেনে আজও নিষ্ঠার দুর্গাপুজো মাটিগাড়ার সাহা পরিবারের

Last Updated:

আজও ওপার বাংলার রীতি মেনে নিষ্ঠার সাথে দুর্গাপুজো করে আসছেন মাটিগাড়ার সাহা পরিবার। দেশভাগের পরে ১৯৪৮ সালে বাংলাদেশ থেকে শিলিগুড়িতে চলে এসেছিলেন তরুণ কুমার সাহা, স্বপন কুমার সহ পুরো পরিবার।এখনও সেই পুজোর নিয়মে কোনও পরিবর্তন হয়নি।

+
বাংলাদেশের

বাংলাদেশের রীতি মেনে আজও নিষ্ঠার সাথে দুর্গাপুজো মাটিগাড়ার সাহা পরিবারের

#মাটিগাড়া: আজও ওপার বাংলার রীতি মেনে নিষ্ঠার সঙ্গে দুর্গাপুজো করে আসছেন মাটিগাড়ার সাহা পরিবার। দেশভাগের পরে ১৯৪৮ সালে বাংলাদেশ থেকে শিলিগুড়িতে চলে এসেছিলেন তরুণ কুমার সাহা, স্বপন কুমার সহ পুরো পরিবার। বাংলাদেশের বাড়িতে সাড়ম্বরে দুর্গাপুজো হতো। দেশভাগ হওয়ার পর সেখান থেকে এসে শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার রামকৃষ্ণ পাড়ায় থাকা শুরু করে সাহা পরিবার। তবে এখনও সেই পুজোর নিয়মে কোনও পরিবর্তন হয়নি।
বাংলাদেশ থেকে আসার সময় সেখানকার মন্দিরের মাটিও নিয়ে আসা হয়েছিল। মাটির উপর বেদী তৈরি করে পূজিত হন দেবী দুর্গা। দেশভাগের পর বাংলাদেশ থেকে শিলিগুড়িতে চলে এসেছিলেন তরুণ কুমার সাহা, স্বপন কুমার সহ পুরো পরিবার। রামকৃষ্ণ পাড়ায় কাঠের বাড়িতে দুর্গাপুজো শুরু করেন।বাংলাদেশের পাবনা জেলায় বাড়িতে দুর্গাপুজো হতো। বাংলাদেশে যে নিয়মে পুজো হতো সেই নিয়ম নীতি মেনেই পুজো হয় এখনও। বাংলাদেশের বন্দরের ব্যবসায়ী ছিলেন গোপাল সাহা, তিনি পাবনা জেলার শাহজাদপুরে এই দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন।
advertisement
advertisement
ষষ্ঠী থেকে পুজোর শুরু। বেলতলার পুজো সেরে চন্ডিপাঠ করে পুজোর শুভ সূচনা হয়ে থাকে। সাহা বাড়ির অন্যতম প্রাচীন এই পুজোর আচারের নিজস্বতা এখনো বজায় রেখেছে তাদের উত্তরসুরিরা । দেবীর জন্য বিশেষ ভোগের ব্যবস্থা করা হয়। সাহা বাড়ির বৌ কল্পনা সাহার কথায় এক ব্রাহ্মণী সপ্তমীতে মায়ের জন্য খিচুড়ি, পাঁচ রকমের ভাজা, পায়েস রান্না করেন। অষ্টমী ও নবমীতেও তাই থাকে। সন্ধিপুজোয় মাকে লুচি ও পাঁচ রকমের ভাজা ও পায়েস ভোগ দেওয়া হয় । এছাড়া সাধারণ মানুষদের জন্য আলাদা করে প্রসাদ বানানো হয়। বৈকালিক ভোগের রীতিটি এখনো চালু রয়েছে। তিনি আরো জানান "আমাদের শাশুড়িকে দেখেই আমরা শিখে এসেছি অতীতে যা যা নিয়ম পালন করা হতো আজকেও ঠিক একই রীতি মেনে আমরা এই দুর্গাপুজো করে থাকি।"
advertisement
আরও পড়ুন Durga Puja 2022: আহেলী-র পুজোর ভোজে মিলবে জেলার স্বাদ!
তরুণ কুমার সাহা জানান "আমাদের পূর্বপুরুষ ছিলেন গোপাল সাহা। তাঁকে রবীন্দ্রনাথ চিনতেন। রবীন্দ্রনাথের কবিতাতে গোপাল সরকার ঘাটের কথা উল্লেখ করা আছে। পরে বাংলাদেশ থেকে শিলিগুড়িতে চলে আসি সকলে। অনেক ছোট ছিলাম তখন। সে সময় মন্দিরে প্রতিমা তৈরি করেই পুজো হতো। এখন কুমোরটুলি থেকে ঢাক ঢোল পিটিয়ে প্রতিমা এনে পুজো করা হয়।" বিজন সাহা বলেন, "ছোটবেলা থেকে পুজো হতে দেখছি। বাংলাদেশের বাড়ির মন্দিরের মাটি নিয়ে এসেছিলেন দাদুরা। এখানে মন্দিরে সেই মাটির উপর বেদী তৈরি করা হয়। বেদীর উপর প্রতিবছর প্রতিমা রেখে পুজো করা হয়ে থাকে। এবার পুজো আসতেই আয়োজনে মেতে উঠেছেন পরিবারের সকলে।"
advertisement
অনির্বাণ রায়
view comments
বাংলা খবর/ খবর/শিলিগুড়ি/
Siliguri news : বাংলাদেশের রীতি মেনে আজও নিষ্ঠার দুর্গাপুজো মাটিগাড়ার সাহা পরিবারের
Next Article
advertisement
SSKM-এ নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ! গ্রেফতার এনআরএসের অস্থায়ী কর্মী
SSKM-এ নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ! গ্রেফতার এনআরএসের অস্থায়ী কর্মী
  • এসএসকেএমে ‘যৌন হেনস্থা’র অভিযোগ নাবালিকাকে

  • ডাক্তার পরিচয় দিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন শৌচাগারে!

  • অভিযুক্ত গ্রেফতার

VIEW MORE
advertisement
advertisement