Sikkim Flash Flood: সিকিম বিপর্যয়ে ভয়ঙ্কর ক্ষতি! শোচনীয় অবস্থা মৃৎশিল্পীদের! বড় ধাক্কা এবারের পুজোয়
- Reported by:ANIRBAN ROY
- news18 bangla
- Published by:Riya Das
Last Updated:
Sikkim Flash Flood: সিকিমে বিপর্যের খবর সামনে আসতেই মৃৎশিল্পীদের মাথায় বাজ। একে একে শুরু হয় বরাত বাতিল হওয়া। যে দু একটা বরাত শেষ অবধি টিকে রয়েছে সেক্ষেত্রেও ক্ষতির আশঙ্কা করছেন শিল্পীরা।
শিলিগুড়ি: সিকিম বিপর্যয় জোর ধাক্কা খেল শিলিগুড়ির কুমোরটুলি। অগ্রিম বায়না একদিকে যেমন বাতিল হয়েছে উল্টোদিকে ঘুর পথে প্রতিমা পাঠাতে গিয়ে মোটা টাকা গচ্ছা দিতে হচ্ছে শিল্পীদের। এই পরিস্থিতিতে শোচনীয় অবস্থায় শিলিগুড়ির কুমোরটুলির শিল্পীরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, সিকিমের প্রাকৃতিক বিপর্যয় সেই সঙ্গে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া। এই পরিস্থিতিতে পুজোর প্রাক্কালে আর্থিকভাবে অনেকটাই ভীত আলগা হয়ে গেল তাদের। কোভিড কালের পর এবছর কুমোরটুলির শিল্পীরাও আশায় বুক বেঁধেছিলেন অন্তত এবছর। কারণ, সমতলের বিভিন্ন এলাকা থেকে যেমন বায়না মিলেছিল ঠিক তেমনই পাহাড়ি এলাকা থেকেও এসেছিল বরাত।
তবে শুধু বরাতের ভরসা নয়, দিনের দিন বহু প্রতিমা পাহাড়ে রওনা হয়। সেই লক্ষ্যেই প্রতিমা গড়ার কাজ শুরু করেছিলেন শিল্পীরা। বৃষ্টিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে নিজ নিজ কারখানায় দিনরাত এক করে কাজ করছিলেন শিলিগুড়ির কুমোরটুলির শিল্পীরা। কিন্তু সিকিমে বিপর্যের খবর সামনে আসতেই যেন তাদের মাথায় বাজ পড়ে। একে একে শুরু হয় বরাত বাতিল হওয়া। যে দু-একটা বরাত শেষ অবধি টিকে রয়েছে সেক্ষেত্রেও ক্ষতির আশঙ্কা করছেন শিল্পীরা।
advertisement
advertisement
তাদের কথায় শিলিগুড়ি এবং সিকিমের লাইফলাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনও তা স্বাভাবিক হয়নি। এই পরিস্থিতিতে অনেকটাই ঘুর পথে প্রতিমা পৌঁছোতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে মোটা টাকা গাড়ি ভাড়ায় খরচ হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিমা তৈরির উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি। এই দুইয়ের চাপে শিল্পীদের হাঁসফাঁস অবস্থা। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তাঁরা।
advertisement
ঘটনা প্রসঙ্গে শিলিগুড়ির কুমোরটুলির এক শিল্পী নারায়ণ ভট্টাচার্য বলেন, ‘সিকিমে প্রতি বছরই বহু প্রতিমা যেত। এবারও বরাত এসেছিল অনেক। কিন্তু সিকিম বিপর্যয়ের জেরে ৯০ শতাংশ বরাত বাতিল হয়েছে। খুবই সমস্যায় রয়েছি আমরা। আর্থিকভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছি। সরকারি সহযোগিতাও নেই। কি করব বুঝে উঠতে পারছি না। তবে নেশা এবং পেশা এই দুইয়ের টানে এখনও প্রতিমা গড়ে চলি।’ অপর এক শিল্পী দীপেশ পাল বলেন, ‘পাহাড় থেকে মোট ২০টি বরাত মিলেছিল। তার মধ্যে ১৬টি বরাত আগেই বাতিল হয়েছে। সেক্ষেত্রে যথেষ্ট ক্ষতি হচ্ছে। কিছু করার নেই। ক্ষতি সামলেই চলতে হচ্ছে।’দেবী পক্ষের সূচনায় শারদ উৎসবকে কেন্দ্র করে আট থেকে আশি সকলেই উৎফুল্ল। আনন্দে মাতোয়ারা সকলেই। কিন্তু সেই দর্শনার্থীদের মন ভরাতে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন সেই শিল্পীরা ভাল নেই। তাদের হাসিটা যেন ফিকে হয়ে এসেছে।
advertisement
অনির্বাণ রায়
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
Oct 14, 2023 5:50 PM IST










