শিলিগুড়ি: শিলিগুড়িতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর লক্ষ্য নিয়েছে দমকল দফতর। আগুন নিয়ন্ত্রণে শীঘ্রই শহরে আসছে ফায়ার রোবট। সোমবার ফায়ার অ্যান্ড লাইফ সেফটি অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রামে এসে এ কথা জানালেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। পাশাপাশি, এ দিনের অনুষ্ঠানে উত্তরবঙ্গ জুড়ে আরও ১৮টি ফায়ার স্টেশন স্থাপনের প্রস্তাব এসেছে।এই ফায়ার রোবটের ভূমিকা কী হবে? অগ্নিকাণ্ডের সময় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে অনেক সময় তাপের কারণে দমকলকর্মীরা সঠিক জায়গায় পৌঁছতেই পারেন না। সে সব জায়গায় অবলীলায় চলে যাবে এই ফায়ার রোবট। মন্ত্রী জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই কলকাতায় এ ধরনের চারটি রোবট কাজ করছে। সুজিতবাবু বলেন, "আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি কলকাতা থেকেই একটি রোবট শিলিগুড়িতে নিয়ে আসা হবে।" এই রোবট চালানোর জন্য আবার প্রশিক্ষণ নেওয়ার প্রয়োজন। তার ব্যবস্থাও করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী।
বর্তমানে উত্তরবঙ্গে ৪৯টি ফায়ার স্টেশন রয়েছে। এ দিনের অনুষ্ঠানে আরও যে যে জায়গায় স্টেশন স্থাপনের প্রস্তাব এসেছে, সেগুলির মধ্যে রয়েছে দার্জিলিং জেলার তাকদা, সুকিয়া পোখরি, সোনাদা।
জলপাইগুড়ির জেলার ভোরের আলো সংলগ্ন এলাকা। এ ছাড়াও কালিম্পংয়ের গরুবাথান, আলগারা,কোচবিহারের সিতাই, উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার, করণদিঘি ও চোপড়া, দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি, কুমারগঞ্জ ও তপন, মালদার গাজোল, কালিয়াচক ও সুজাপুরে দমকলকেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব এসেছে। দমকলমন্ত্রীর কথায়, "প্রস্তাবিত জায়গাগুলোতে ফায়ার স্টেশন স্থাপনের কাজ আমরা দ্রুত শুরু করে দিচ্ছি। গোটা রাজ্যে ১৫৬টি ফায়ার স্টেশন রয়েছে। আমাদের টার্গেট ২০০ ফায়ার স্টেশন৷"
আরও পড়ুন, অবিভক্ত মেদিনীপুরের ৫ লোকসভা আসনই টার্গেট তৃণমূল কংগ্রেসের
আরও পড়ুন, এবার গ্রীষ্মের দাপটে পুড়বে বাংলা, কতটা চড়বে পারদ? চিন্তা বাড়াল হাওয়া অফিস
এ দিনের সচেতনতা শিবিরটির আয়োজন করা হয়েছিল উত্তরকন্যায়। প্রথমভাগে ডিএফও, ওসিদের নিয়ে বৈঠক করেন দমকলমন্ত্রী। পরবর্তীতে ব্যবসায়ী সংগঠন, চেম্বার অফ কমার্স, নার্সিংহোম, হোটেল ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করেন দমকলমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “দমকলমন্ত্রী হওয়ার পর আমার এ বারেই প্রথম উত্তরবঙ্গে পুরো টিম নিয়ে আসা। এখানে কী সুবিধা রয়েছে, কী কী অসুবিধা রয়েছে, সে ব্যাপারে শুনলাম।"প্রশ্ন উঠেছে, পুরনিগমগুলির তরফে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার সময় ফায়ার লাইসেন্স না দেখার বিষয়টি নিয়েও। সুজিতবাবু বলেন, "ছোট অফিসের ক্ষেত্রে কিছু করার থাকে না। তবে এটা ঠিক, অনেক সময় হোটেল, নার্সিংহোমও ফায়ার লাইসেন্স ছাড়াই কাজ করে। সেটা অবশ্যই দেখতে হবে।"এ ব্যাপারে কলকাতার মতো উত্তরবঙ্গেও দ্রুত ফায়ার অডিটের কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন দমকলমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, হোটেল, নার্সিংহোমের ছাদ অবৈধভাবে ঢেকে ব্যবসা করা নিয়েও এ দিন আপত্তি জানিয়েছেন আধিকারিকরা।
অনির্বাণ রায়
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Siliguri, Siliguri News