Siliguri News: 'লক্ষ্মী আর উর্মিলা'-র আরাধনা দিয়েই বিশ্বকর্মা পুজো হল বেঙ্গল সাফারি পার্কে
- Published by:Soumabrata Ghosh
Last Updated:
বিশ্বকর্মার বাহন হিসেবে পরিচিত গজরাজ। এই দিনটিতে পূজিত হন ঠাকুর বিশ্বকর্মা। কিন্তু ওই দিনটিতে একটু আলাদা ছবি ধরা পরল শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে।
#শিলিগুড়ি : বিশ্বকর্মার বাহন হিসেবে পরিচিত গজরাজ। এই দিনটিতে পূজিত হন ঠাকুর বিশ্বকর্মা। কিন্তু ওই দিনটিতে একটু আলাদা ছবি ধরা পরল শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে। এই দিনে বেঙ্গল সাফারি পার্কে বিশ্বকর্মা ঠাকুর তো বটেই, পুজো করা হয় সাফারি পার্কের দুই কুনকিকে। আশ্চর্য হলেও তা সত্যি। এই দিনে বিশ্বকর্মার বাহন হিসেবে পার্কের দুই কুনকি লক্ষ্মী আর উর্মিলাকে ঠাকুর হিসেবে গণ্য করে পুজো করে পার্ক কর্তৃপক্ষ। বেঙ্গল সাফারি পার্কের রেঞ্জার দীপক রসেইলি বলেন, "ভগবান বিশ্বকর্মার বাহন হাতি। আর সেজন্য হাতিকেই আমরা ভগবান মেনে পুজো করি। তবে বার্তা একটাই আমাদের পুজোর মধ্যে দিয়ে। হাতি খুব শান্ত স্বভাবের প্রাণী। তাদের ভালোবাসলে তারাও ভালোবাসতে জানে।"
পূজোর মধ্যে দিয়ে বিশেষ বার্তা দিতে চান পার্কের বন আধিকারিকরা। বিশেষ ওই দিনে লক্ষ্মী আর উর্মিলাকে সকাল সকাল স্নান করিয়ে সুন্দর করে সাজানো হয়। পড়ানো হয় নতুন কাপড়। পুজোর পর মেনুতে থাকে এলাহি খাওয়ার। বলতে গেলে একটু স্পেশালভাবে দিনটা কাটে লক্ষ্মী আর উর্মিলা নামে দুই বোনের। শনিবার বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে বিশেষভাবে দিন কাটলো নর্থ বেঙ্গল ওয়াইল্ড এনিমেল পার্ক বা বেঙ্গল সাফারি পার্কের দুই কুনকি হাতি লক্ষ্মী ও উর্মিলার।
advertisement
আরও পড়ুনঃ রাস্তা তো নয়, যেন পুকুর! মাদানী বাজারে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় নিত্যযাত্রীরা
এই দিনটিতে পার্কের আধিকারিক, বন কর্মী সবাই তাদের পূজোতে সামিল হয়। অন্যান্য দিন পর্যটকদের নিজের পিঠে তুলে সাফারি করালেও ওই দিনটিতে ছুটি দেওয়া হত লক্ষ্মী ও উর্মিলাকে। পার্ক খোলার আগে এদিন সকাল সকাল দুজনকে স্নান করিয়ে, সারা শরীরে আল্পনা এঁকে তৈরি করে দুই মাহুত স্বপন নার্জিনারি ও কমল বর্মন।এরপর দুই কুনকির পুজো করে মাহুতরা। মোমবাতি, ধূপকাঠি দিয়ে দুজনকে পুজো করা হয়। তাদের কর্ম ও কর্তব্যের জন্য তাদের সম্মান জানানো হয়।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ রাত পোহালেই বিশ্বকর্মা পুজো! লাভের আশায় পসরা নিয়ে বসেছেন মৃৎশিল্পীরা
খাবারের মেনুতে অন্যান্য দিন ডাল, ভুসি, চাল থাকলেও এদিনটিতে বিশেষ করে তাদের পছন্দের কলা, আম, আখ, তরমুজ, শশা রাখা হয়। মন ভরে সেসব খাওয়ার পর ছিল ডাবের জল। সেসব পেয়ে বেজায় খুশি লক্ষ্মী উর্মিলা। পার্কে পর্যটকদের নিয়ে সাফারির পাশাপাশি জঙ্গলি হাতি তাড়ানো, জঙ্গলে সার্চ অপারেশনের মতো দুঃসাহসিক কাজও করতে হয় দুজনকে। আবার কোন হাতির শাবক দলছুট হলে মায়ের মতো তাদের আগলেও রাখতে হয় লক্ষ্মী উর্মিলাকে। ফলে তাদের কৃতিত্বকে এদিন বিশেষ সম্মান জানায় পার্ক কর্তৃপক্ষ।
advertisement
Anirban Roy
Location :
First Published :
September 17, 2022 7:18 PM IST