Siliguri News: হাতের টান নয় সরাসরি ছাপ্পা! হারাচ্ছে আলপনার টান, বাজারে চাহিদা তুঙ্গে স্টিকার আলপনার
- Published by:Pooja Basu
Last Updated:
বাংলার আদি শিল্প আলপনা আজ হারানোর পথে । সময় বদলে গেলেও আলপনা দেওয়ার রীতি বদলায়নি। তবে এখন অনেকেই নিজের হাতে আলপনা আঁকতে পারেন না সময়ের অভাবে বা না শেখার কারনে তাই অনেকেই রেডিমেড বা স্টিকার জাতিয় আলপনা কিনে বাড়িতে ব্যবহার করেন৷
#শিলিগুড়ি: বাংলার আদি শিল্প হল আলপনা আজ হারানোর পথে ৷ আর বাঙালীর কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো মানেই বাহারী মনকাড়া আলপনা৷ লক্ষ্মীপুজো আসলে প্রতিটা বাড়ি সেজে ওঠে বিভিন্ন রকমের আলপনায়৷ মহিলারা তাঁদের বাড়িতে আলপনা আঁকেন৷ পাকা বা কাঁচা বাড়িতে মহিলারা ,মাটিতে কারুকার্য করে থাকেন৷ সাধারণত একটি বা দুটি রঙের সহজ বিমূর্ত রেখাচিত্রা হল আলপনা। মহিলারা বাড়ির চৌকাঠে, আঙিনায়, পুজো মণ্ডপে ইত্যাদি জায়গায় সাদা আলপনা আঁকেন৷
আরও পড়ুন Durga Puja Carnival 2022: জমজমাট কার্নিভাল, শুরুতেই হড়পায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নীরবতা
advertisement
সাধারণত সমাজজীবনে প্রচলিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও গৃহসজ্জার জন্য আলপনা আঁকা হয়।আলপনা একধরনের বিমূর্ত রেখা চিহ্ন-যার অর্থ কিন্তু গভীর। অনেকক্ষেত্রে এই আলপনায় উঠে আসে জাতীর পরিচয়। সারাবছর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বা পুজোতে আলপনা আঁকলেও লক্ষ্মী পুজোতে আলপনা আঁকার একটা বিশেষ রীতি রয়েছে৷ লক্ষ্মী পুজোর দিন মা লক্ষ্মী ঘরে ঘরে হাজির হন। তাই বাড়ির সব জায়গায় আঁকা হয় মা লক্ষ্মীর পায়ের ছাপ।
advertisement
সময় বদলে গেলেও আলপনা দেওয়ার রীতি বদলায়নি। তবে এখন অনেকেই নিজের হাতে আলপনা আঁকতে পারেন না সময়ের অভাবে বা না শেখার কারণে৷ তাই অনেকেই রেডিমেড বা স্টিকার জাতিয় আলপনা কিনে বাড়িতে ব্যবহার করেন৷ অতীতকালে লক্ষ্মী পুজোর দিনে আলাপনা আঁকা নিয়ে অনেক নিয়ম ছিল, নীতি ছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে সেসব আর নেই৷ সব রীতি—নীতি,নিয়ম—আচার বদলে গেছে৷ এখন বাজারে পাওয়া যায় রেডিমেড আলপনার স্টিকার ।আর সেটাই ব্যবহার করছে সকলে। যার ফলে হারিয়ে যাচ্ছে বাংলার আলপনা শিল্পের ঐতিহ্য।
advertisement
তবে এখনও অনেক মহিলা তাদের এই শিল্পকর্মকে বাঁচিয়ে রেখেছেন নিজের জন্য বা লোকশিল্পটাকে হারিয়ে না ফেলার জন্য৷ বছরের অন্যান্য সময়ে তাঁরা এই আলপনা না আঁকলেও লক্ষ্মী পুজোর সময় আলপনা আঁকেন৷ তবে সে সবই এখন অতীত এখন চাহিদা বেশি স্টিকার আলপনার আলপনার। শিল্পী চম্পা দেবী জানান যে "বর্তমান দিনের সময়ের অভাবে মেয়েরা আর চায় না কষ্ট করে আলপনা দিতে। তবে আমি ছোটবেলা থেকেই দেখে এসেছি ঠাকুরমা দিদিমাদের এবং আমার নিজের হাতেই আলপনা বানাতে বেশি ভাল লাগে। আমি চাইব যেন আমার ছেলে মেয়েরাও এই প্রথাটা চালিয়ে যায়।"
advertisement
অনির্বাণ রায়
Location :
First Published :
October 08, 2022 12:25 PM IST