Siliguri News: শীত আসলেই ডাক পড়ে, বাংলাদেশ থেকে কেন প্রতিবছর এরাজ্যে ছুটে আসেন ইনি
Last Updated:
আব্দুল রহিমের অপেক্ষায় থাকেন গজলডোবার তিস্তার চরের বাসিন্দারা।
#রাজগঞ্জ: শীতের শুরুতে আসা। আবার শীত শেষে চলে যাওয়া। খেজুর গুড়ের স্বাদ মেটাতে বাংলাদেশের আব্দুল রহিমের অপেক্ষায় থাকেন গজলডোবার তিস্তার চরের বাসিন্দারা। আব্দুল রহিম না এলে চরের বাসিন্দাদের খেজুর গুড়ের স্বাদ যেন অধরাই থেকে যায়।
তাই গত কয়েক বছরের মতো এবছরও বাংলাদেশের রাজশাহি জেলার বাঘা থানার কলিক গ্রাম থেকে আব্দুল এসেছেন রাজগঞ্জের দুধিয়া চরে। এবার আব্দুলের সঙ্গে প্রথমবার এসেছেন তাঁর ভাইপো সাইদুর রহমান। আশ্বিন মাসে এসে প্রস্তুতি শুরু করলেও প্রায় এক মাস থেকে গুড় তৈরি করছেন।
আব্দুলের সেই গুড় পৌঁছে যাচ্ছে শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, মালবাজার, ওদলাবাড়ি সহ বিভিন্ন জায়গায়। ওপার বাংলা থেকে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের গজলডোবায় আব্দুল রহিম আসেন পেটের টানে।
advertisement
advertisement
বাংলাদেশ থেকে তিনি ভারতে আসেন ভিসা নিয়ে। কিছু টাকার বিনিময়ে এলাকার প্রায় একশো খেজুর গাছ থেকে রস নামিয়ে গুড় তৈরির চুক্তি করেছেন।
আব্দুলের হাতে তৈরি খেজুর গুড় বাড়িতে নেওয়ার অপেক্ষায় থাকেন তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা। কীভাবে চলে গুড় তৈরির প্রস্তুতি? বছর পঞ্চান্নর গুড় শিল্পী আব্দুল রহিম জানালেন, প্রতিদিন ভোর তিনটা নাগাদ গাছ থেকে হাঁড়ি নামানো শুরু হয়। তারপর চলে খেজুরের গুড় তৈরির কাজ। তাঁর হাতে তৈরি গুড় নিতে বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকাররা ছুটে আসেন।
advertisement
আব্দুল নিজেও ব্যবসায়ীর কাছে গুড় পৌঁছে দেন। ১ কেজি গুড় পাইকারি দরে বিক্রি হয় প্রায় ৮০ টাকায়। খোলাবাজারে সেটা প্রায় ১২০ টাকা। আবদুল বলেন, ‘মাঘ মাস পর্যন্ত আমি এই এলাকায় থাকি। তারপরে ফিরে যাই।'
অনির্বাণ রায়
Location :
First Published :
December 03, 2022 5:42 PM IST