Business Idea: বাড়িতে বসেই মাসে মোটা টাকা রোজগার! লাভবান হতে 'এই' ব্যবসায় ঝুঁকছেন গ্রামের মহিলারা

Last Updated:

Business Idea: সরকারি প্রশিক্ষণ নিয়ে মাশরুম চাষে পরিবারের অর্থনৈতিক হাল ফেরাচ্ছে গ্রামের মহিলারা।

+
মাশরুম

মাশরুম চাষ

তমলুক: মাশরুম বর্তমান সময়ে অন্যতম একটি জনপ্রিয় খাবার। এর পুষ্টিগুণ অপরিসীম। আবার নিরামিষ খাদ্য তালিকায় থাকায় আমিষ-নিরামিষ দুই ধরনের মানুষরা সাদরে মাশরুম তাদের খাদ্য তালিকায় রাখেন। বর্তমান সময় এটার সারা বছরই চাহিদা রয়েছে বাজারে। মাশরুম চাষের মাধ্যমে বেকার যুবক-যুবতী বা বাড়ির গৃহবধূরা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে। আর এই সব গ্রামের গৃহবধূ ও বেকার যুবক-যুবতীদের পাশে দাঁড়াচ্ছে প্রশাসন। দেওয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ। সরকারি প্রশিক্ষণ পেয়ে বাস্তবে চাষ করে গ্রামের মহিলারা সংসারের আর্থিক হাল ফেরাচ্ছে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তথা পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া মাশরুম চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। মাশরুম চাষের জন্য কোনও উর্বর জমির প্রয়োজন হয় না। ঘরের পাশের অব্যবহৃত জায়গায় ও বাড়ির মধ্যে মাশরুম উৎপাদন করা যায় সহজেই।মাশরুম চাষের জন্য প্রথমে ধানের খড়কে ছোট ছোট করে কেটে নিয়ে চুন মিশ্রিত জলে ডুবিয়ে রাখা হয়।
advertisement
advertisement
জল থেকে ছেঁকে ছায়াঘেরা জায়গায় শুকিয়ে নেওয়া হয়। তারপর সেই খড়গুলোকে প্লাস্টিক বেডে ভরা হয়। ওই বেডের চারটি স্তরে মাশরুম বীজ ফেলে দেওয়া হয়। ১৫ থেকে ২১ দিনের মধ্যে মাশরুম ফুটতে শুরু করে। বাজারে বর্তমানে ১৩০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা দাম প্রতি কেজি মাশরুমের ফলে কম পুজিতে অল্পদিনে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যায় মাশরুম চাষে।
advertisement
কারোর ১০০টি বেড রয়েছে, কারও আবার ২০০টি। তমলুক ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে বেশ কিছু গৃহবধূ প্রতিদিন মাশরুম বিক্রি করে গড়ে এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা রোজগার করছেন। রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনায় মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর প্রায় পাঁচ বছর ধরে মাশরুম চাষ করছেন। মাশরুম চাষের জন্য প্রয়োজন ধানের খড়। খড় দিয়েই তৈরি হয় মাশরুম চাষের জন্য বেড। খড়ের সঙ্গে প্রতিটি স্তরে তরে দেওয়া হয় মাশরুমের বীজ। এক একটি বেড তৈরি করতে খরচ ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এক একটি বেড থেকে মাশরুম পাওয়া যায় গড়ে তিন থেকে চার কেজি। যার বাজার মূল্য ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। ফলে মাশরুম চাষ অত্যন্ত লাভ জনক।
advertisement
মাশরুম চাষের মধ্য দিয়ে একজন বেকার যুবক-যুবতী মাসে ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা রোজগার করতে পারবেন। এছাড়া গৃহবধুরাও বাড়িতে বসে না থেকে এই কাজ করলেআর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারবেন। তবে মাশরুম চাষ গোটা বছর হলেও শীতের সময় সব থেকে বেশি হয়। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ব্লকে ব্লকে গ্রামের মহিলারা ঝুঁকছেন মাশরুম চাষে।
advertisement
সৈকত শী
বাংলা খবর/ খবর/পূর্ব মেদিনীপুর/
Business Idea: বাড়িতে বসেই মাসে মোটা টাকা রোজগার! লাভবান হতে 'এই' ব্যবসায় ঝুঁকছেন গ্রামের মহিলারা
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement