#তমলুক, পূর্ব মেদিনীপুর: পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তমলুক নগরীতে মন্দির রয়েছে। প্রাচীন এই মন্দিরগুলি নির্মাণের পেছনে রয়েছে বিভিন্ন কাহিনী। শহরে রয়েছে বর্গভীমা মন্দির, জগন্নাথ মন্দির, চক্রেশ্বর মন্দির, জিষ্ণু হরিজিউর মন্দির। জিষ্ণু হরিগুরু মন্দির স্থাপনের পিছনে রয়েছে মহাভারতের শান্তিপর্ব এর কাহিনী।
কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের পর হস্তিনাপুরের সিংহাসনে বসেন যুধিষ্ঠির। সিংহাসনে বসার পর কৃষ্ণের পরামর্শে অশ্বমেধ যজ্ঞ শুরু করেন। অশ্বমেধ যজ্ঞের ঘোড়ার ছেড়ে দেন। সেই অশ্বমেধ যজ্ঞের ঘোড়া যে নগরের রাজা আটকাবে তার সঙ্গে যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী ছিল। অশ্বমেধ যজ্ঞের ঘোড়া যে নগরীর উপর দিয়ে যাবে সেই নগরের রাজা হস্তিনাপুরের বশ্যতা স্বীকার করবে।
বিভিন্ন প্রদেশ নগরী ঘুরে অশ্বমেধ যজ্ঞের ঘোড়া এসে পৌঁছায় তাম্রলিপ্ত নগরীতে। তাম্রলিপ্ত নগরীর যুবরাজ তাম্রধ্বজ যুধিষ্ঠিরের অশ্বমেধ যজ্ঞের ঘোড়া আটক করেন। অশ্বমেধ যজ্ঞের ঘোড়া আটকানোর কারণে তাম্রধ্বজের সঙ্গে অর্জুনের যুদ্ধ হয়। প্রথমদিন যুদ্ধের পর জয়ী হন যুবরাজ তাম্রধ্বজ। যুদ্ধে পরাজিত হয়ে অর্জুন শ্রীকৃষ্ণের কাছে জানতে চান এই যুদ্ধের পরাজয়ের কারণ কি? কৃষ্ণ অর্জুনকে জানান তাম্রধ্বজ এর পিতা ময়ূরধ্বজ তাঁর পরম ভক্ত ও বৈষ্ণব।
আরও পড়ুন - গণবিবাহের মাধ্যমে চারজন অনাথ কন্যার বিয়ে দিল কাঁথি শহরের বাসিন্দারা
এরপর কৃষ্ণ ও অর্জুন ব্রাহ্মণের ছদ্মবেশে ময়ূরধ্বজের রাজ দরবারে এসে পৌঁছান। ময়ূরধ্বজের কাছে ভিক্ষা চান। ভিক্ষা হিসেবে ময়ূরধ্বজের অর্ধেক দেহাংশ চান। রাজা ময়ূরধ্বজ তাতে প্রস্তুত হন তখন কৃষ্ণ ও অর্জুন নিজেদের স্বরূপ ধারণ করেন। রাজা ময়ূরধ্বজ কৃষ্ণ ও অর্জুনের কাছে একটি মন্দির নির্মাণ এর অনুমতি চান। আর সেই মন্দিরে কৃষ্ণ ও অর্জুনকে দেবতা হিসেবে চান। কৃষ্ণ ও অর্জুন তাতেই রাজি হয়। রাজা এই জিষ্ণু হরিজিউর মন্দির নির্মাণ করেন। এই কাহিনী মহাভারতের শান্তি পর্বে উল্লিখিত আছে।
Saikat Shee
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Purba Medinipur News, Tamluk