East Medinipur News: স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর ঘরে এসেছিল বিদ্যুৎ, কিন্তু সেই জমিই ছেড়ে দিতে হবে বন্দরকে!
- Published by:kaustav bhowmick
- news18 bangla
- Reported by:SAIKAT SHEE
Last Updated:
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ায় জবরদখলকারী উচ্ছেদ অভিযান পোর্ট ট্রাস্টের
পূর্ব মেদিনীপুর: জবর দখলকারিদের উচ্ছেদ করল হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ। অথচ চলতি বছরের শুরুর দিকে বন্দরের জমিতে বসবাসরত ওই বাসিন্দাদের বাড়িতে দেওয়া হয়েছিল বিদ্যুৎ সংযোগ। তার দেখে ভেবেছিলেন আপাতত এখানেই বসবাস করতে পারবেন। কিন্তু সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে হলদিয়ায় জবরদখলকরী উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। সেই অভিযানেই হলদিয়ার পাতিখালি এলাকার বেশ কয়েকটি অবৈধ বাড়ি ও দোকান পুলিশের উপস্থিতিতে তুলে দেয় বন্দর। আপাতত এই উচ্ছেদ অভিযান টানা চলবে বলে জানা গিয়েছে।
বন্দর শহর হলদিয়কে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে ১৯৬৫ সালে এখানে জমি অধিগ্রহন করেছিল সরকার। যারা সেই সময় জমি দিয়েছিলেন প্রত্যেকেই ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। কিন্তু অনেকেই পুনর্বাসনের উপযুক্ত জায়গা পননি বলে অভিযোগ। তাঁরাই ধীরে ধীরে হলদিয়ার বিষ্ণুরামচক, সাওতানচক, পাতিখালি, ব্রজনাথচক, চিরঞ্জীবপুর, পরমানন্দচক সহ বেশ কিছু জায়গায় বন্দরের জমিতেই বাড়িঘর বানিয়ে বসবাস শুরু করেন। এছাড়াও এখানে পেট্রো রসায়ন শিল্প গড়ে উঠলে বাইরে থেকে বহু মানুষ আসেন। তাঁদেরও একাংশ বন্দরের বিভিন্ন জায়গা দখল করে বসবাস করতে থাকেন।
advertisement
advertisement
দীর্ঘদিন ধরে এই বন্দর কর্তৃপক্ষ এই জবরদখলকারীদের উঠে যাওয়ার জন্য বলছিল। কিন্তু তাতে কোনও ফল হয়নি। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে পুলিশের সহায়তায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে তারা। এর জন্য হলদিয়ায় বন্দরের জায়গায় জবরদখল করে থাকা ১০০০ পরিবারকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই উচ্ছেদ অভিযানই ধাপে ধাপে সম্পন্ন হচ্ছে।
এদিকে আদালতের অনুমতি থাকলেও গোটা ঘটনায় প্রবল ক্ষুব্ধ হলদিয়া উদ্বাস্তু ক্ষতিগ্রস্ত বস্তি উন্নয়ন সমিতি। এই উচ্ছেদ অভিযানের ফলে সমস্যায় পড়েছেন সেখানে দীর্ঘদিন ধরে বসবাসকারী পরিবারগুলি। কোথায় যাবেন, কী করবেন কিছুই ভেবে পাচ্ছেন না তাঁরা।
advertisement
সৈকত শী
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
July 28, 2023 6:42 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/পূর্ব মেদিনীপুর/
East Medinipur News: স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর ঘরে এসেছিল বিদ্যুৎ, কিন্তু সেই জমিই ছেড়ে দিতে হবে বন্দরকে!