পূর্ব মেদিনীপুর: ৪০ টি পরিবারের সদস্যদের পানীয় জলের জন্য ভরসা করতে হয় পুকুরের নোংরা জল উপর! পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার জগৎপুর গ্রামের ঘটনা। কাঁসাই নদীর তীরে গড়ে ওঠা এই গামে প্রায় হাজার তিনেক মানুষের বসবাস। হাতে গোনা কয়েকজন চাকুরিজীবি আছেন। তবে অধিকাংশই চাষবাস ও শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালান। সেই হতদরিদ্র মানুষগুলোকেই তেষ্টা মেটানোর জন্য পুকুরের নোংরা জল পান করতে হয়।
জল-ই জীবন, এই বাক্যটা তাঁদের কাছে পরিচিত হলেও বাস্তব জীবনে সম্পূর্ণ উল্টো পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয় এই গ্রামে হতদরিদ্র মানুষগুলোকে। ওই এলাকার প্রায় ৪০ টি পরিবার দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে পুকুরের জলকে পানীয় জল হিসেবে ব্যবহার করে চলেছে।
আরও পড়ুন: নতুন নলকূপ না বসলে পঞ্চায়েত ভোট বয়কট হবে, হুঁশিয়ারি হরিপুরের বাসিন্দাদের
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠবে এই পরিবারগুলোকে কেন এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হল? গ্রামবাসীদের দাবি, পিএইচই দফতর থেকে ২০১৮ সালে গ্রামে একটি সাবমার্সিবল পাম্প বসানো হয়েছিল। এলাকায় পৌঁছেছিল পাইপ লাইনে করে সেই জল। কিন্তু মাসখানেক যেতে না যেতেই সেই কল থেকে জল পড়া বন্ধ হয়ে যায়। এরপর এলাকায় থাকা টিউবওয়েলটিও খারাপ হয়ে পড়ে। ওই এলাকায় পানীয় জলের আর কোনও ব্যবস্থা নেই। ব্যক্তিগত কিছু বাড়িতে সাবমার্সিবল পাম্প আছে। কিন্তু বেশিরভাগ গ্রামবাসীকে পানীয় জলের জন পুকুরের নোংরা জলের উপরি ভরসা করতে হয়। বাঁশের হয়ে পুকুরের জলকে ফুটিয়ে পানীয় জল হিসেবে পান করছেন পাঁশকুড়া ব্লকের জগৎপুর গ্ৰামের ৪০টি পরিবার।
গ্রামবাসীদের দাবি, একাধিকবার পঞ্চায়েত সদস্য ও প্রধানকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে তাঁরা পুকুরের জল পান করেন। এর থেকে নানান অসুখ হতে পারে তা জেনেও তাঁরা ওই পুকুরের জল পান করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন।
সৈকত শী
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।