East Medinipur News: রোজ আয় হাজার টাকা! মাশরুম চাষে বিরাট লাভ পাচ্ছেন তমলুকের এই বধূরা
Last Updated:
ঘর সংসার সামলে মাশরুম চাষ তাঁদের জীবনে এনে দিয়েছে অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ।
#তমলুক: সংসারের সমস্ত কাজের পাশাপাশি বাড়ির মধ্যে মাশরুম চাষ করে নিজেদের স্বনির্ভর করছেন গ্রামের মহিলারা। ফিরিয়েছেন সংসারের হাল। সরকারি প্রশিক্ষণ আগেই পেয়েছেন। সেই প্রশিক্ষণকে হাতে-কলমে কাজে লাগিয়ে বাড়ির দৈনন্দিন অন্যান্য কাজের পাশাপাশি বাড়ির মধ্যে মাশরুম চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন তমলুকের দোলন, পূর্ণিমা, ঝরনা, সাবিত্রীরা।
ঘর সংসার সামলে মাশরুম চাষ তাঁদের জীবনে এনে দিয়েছে অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ। আর পাঁচটা পরিবারের মতো তাঁরাও গৃহবধূ। কিন্তু সামান্য পার্থক্য রয়েছে অন্যান্য পরিবারের গৃহবধূদের সঙ্গে। ঘর পরিবার সামলে বাড়িতেই তৈরি করেছে মাশরুম চাষের বেড। বাড়ির মধ্যেই মাশরুম ফলিয়ে লাভবান হচ্ছেন তাঁরা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক ব্লকের বিপুলবাড়িয়া গ্রামের দোলন, পূর্ণিমা, ঝরনা সহ একাধিক মহিলারা দক্ষতার সঙ্গে মাশরুম চাষ করছেন।
advertisement
কারোর ১০০টি বেড রয়েছে, কারও আবার ২০০টি। পিপুলবাড়িয়া গ্রামে দোলন মান্না নামে গৃহবধূ প্রতিদিন মাশরুম বিক্রি করে গড়ে এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা করছেন। তিনি রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনায় মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর প্রায় পাঁচ বছর ধরে মাশরুম চাষ করছেন।
advertisement
advertisement
এ বছর তিনি ১০০টি মাশরুম চাষের বেড তৈরি করেছেন। যেখান থেকে প্রতিদিন গড়ে ৮ থেকে ১০ কেজি মাশরুম বাজারে বিক্রি করছেন। মাশরুমের বর্তমান বাজার মূল্য ১৩০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা।
তিনি জানান, মাশরুম চাষ অনেকটাই সহজ। বছরের সারা সময় মাশরুম চাষ হলেও শীতের সময় সব থেকে বেশি চাষ করা হয়। মাশরুম চাষের জন্য প্রথমে ধানের খড়কে ছোট ছোট করে কেটে নিয়ে চুন মিশ্রিত জলে ডুবিয়ে রাখা হয়। জল থেকে ছেঁকে ছায়াঘেরা জায়গায় শুকিয়ে নেওয়া হয়। তারপর সেই খড়গুলোকে প্লাস্টিক বেডে ভরা হয়। ওই বেডের চারটি স্তরে মাশরুম বীজ ফেলে দেওয়া হয়। ১৫ থেকে ২১ দিনের মধ্যে মাশরুম ফুটতে শুরু করে।
advertisement
সৈকত শি
view commentsLocation :
First Published :
December 17, 2022 6:29 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/পূর্ব মেদিনীপুর/
East Medinipur News: রোজ আয় হাজার টাকা! মাশরুম চাষে বিরাট লাভ পাচ্ছেন তমলুকের এই বধূরা
