পূর্ব মেদিনীপুর: নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের হুগলী নদী সংলগ্ন ছোট্ট খাল আশিমেনিয়া। একসময়ে নাকি আশি মন ধান বহনকারী নৌকা চলাচল করত খাল দিয়ে। সেই থেকেই নাম আশিমেনিয়া খাল। এখন এই খালে আশি মন ধান বহনকারী নৌকা না এলেও এখান দিয়ে যায় মৎস্যজীবীদের নৌকা। খালেই থাকে সেকেন্দার মল্লিক, সঞ্জয় জানা, লালমোহন জানার মত মৎস্যজীবীদের ছোট্ট কাঠের নৌকা। কিন্তু তাঁদের বেশিরভাগেরই নৌকোর রেজিস্ট্রেশন নেই।
নদীতে নৌকা নিয়ে মাছ ধরলে যে রেজিস্ট্রেশন ও লাইসেন্স লাগে তা মৎস্যজীবীদের বেশিরভাগেরই জানা নেই। ফলে প্রায়শই উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে তাড়া খেতে হয় তাঁদের। কিন্তু বুঝতেও পারেন না তাঁদের দোষটা ঠিক কোথায়। এই সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতেই মৎস্যজীবীদের নিয়ে আয়োজিত হল বিশেষ শিবির। নৌকার রেজিস্ট্রেশন, লাইসেন্স সহ নদীতে মাছধরা সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয় নিয়ে নন্দীগ্রাম-১ ব্লকে এই বিশেষ শিবির আয়োজিত হয়। সেখানে মৎস্য বিভাগের আধিকারিকদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন কোস্টগার্ডের কর্তারাও।
আরও পড়ুন: উলুবেড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী হাটে নিষিদ্ধ পাখির দেদার ব্যবসা
মৎস্যজীবীদের নিয়ম-কানুন সংক্রান্ত বিষয় বুঝিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি নদীতে মাছ ধরা নিয়েও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের মৎস্যচাষ সম্প্রসারণ আধিকারিক সুমন কুমার সাহু, নন্দীগ্রাম-১ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মৌসুমি পানি সহ উপকূলরক্ষী বাহিনীর কর্মকর্তারা।
নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের মৎস্যচাষ সম্প্রসারণ আধিকারিক সুমন কুমার সাহু বলেন, জেলে মাঝিদের নিয়ে ছোট ছোট সভা করে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এই শিবিরের যোগ দেওয়া মৎস্যজীবী সেকেন্দার মল্লিক বলেন, ব্লক মৎস্য আধিকারিক যেভাবে আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তাতে আমরা অত্যন্ত্য খুশি। এত বছর আসিমেনিয়ার খালে মাছ ধরে আমাদের রুজি-রুটি চলেছে। আজ সেই খালের মাঝি হিসেবে আমারা পরিচয় পাচ্ছি। এই শিবিরে ইলিশ মাছ ও ডলফিন সংরক্ষনের বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।
সৈকত শী
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Nandigram