#তমলুক: আদিবাসী সম্প্রদায়ের সেঁদরা পরব বাসিক আর উৎসবে শিকারের সংখ্যা পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এখনো পর্যন্ত শূণ্য। বনদফতরের তৎপরতায় ফলহারিণী কালী পূজা উপলক্ষে শিকার উৎসবে এখনও পর্যন্ত একজন শিকারিও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় প্রবেশ করতে পারেনি। ফলহারিণী কালী পূজা উপলক্ষে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে শিকার উৎসব পালিত হয়। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা মূলত কালী পূজা উপলক্ষে প্রায় সাতদিন ধরে শিকার পর্ব চালায়।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় স্বাভাবিক বনাঞ্চল নেই বললেই চলে। অথচ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে পশ্চিমবঙ্গের পশু মেছো বিড়াল, ভাম, কচ্ছপ, গোসাপ, নানান প্রজাতির সাপ ও বিভিন্ন প্রজাতির পাখির দেখা মেলে। এছাড়া সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নদীতে কুমির দেখা দিয়েছে। ফলহারিণী কালীপূজাকে উপলক্ষ করে শিকার উৎসবে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন মেছো বিড়াল, ভাম, কচ্ছপ, গোসাপ, নানান প্রজাতির সাপ ও পাখি শিকার করে।
আরও পড়ুন- কেলেঘাই নদীর বাঁধ সঠিকভাবে নির্মাণের দাবীতে ধর্ণা
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন বিভাগ সূত্রে খবর, দুই বছরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় প্রচুর পরিমাণে বন্য জীবজন্তু শিকার হয়েছে এই শিকার উৎসবে। তাই জেলা বনদফতর এবারের শিকার উৎসবের আগে থেকেই তৎপর ছিল জেলায়, একটিও যাতে শিকারের ঘটনা না ঘটে। সেইমতো বন দফতর আগেই অনুধাবন করে, মূলত ট্রেনে বা বাসে করে ভিন জেলার শিকারিরা পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় প্রবেশ করে শিকার উৎসবে অংশগ্রহণ করতে। তাই আগে থেকেই বিভিন্ন স্টেশনে পাহারাদার ও ট্রেনে ট্রেনে চেকিং-এর পাশাপাশি জাতীয় সড়ক- রাজ্য সড়কে নাকা চেকিং চলে। যাতে একজন শিকারিও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় প্রবেশ না করতে পারে।
আরও পড়ুন- লেগেই রয়েছে কালবৈশাখীর ঝড়-বৃষ্টি! কপালে চিন্তার ভাঁজ মুগ ডাল চাষিদের
মূলত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া ব্লক, কোলাঘাট ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় শিকারিরা শিকার পর্ব চালায়। পাঁশকুড়া ব্লকের ক্ষীরাই সহ বিভিন্ন এলাকায় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন শিকার উৎসবে মেতে ওঠে। কিন্তু এবার রেল প্রশাসন, জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন এনজিওর সঙ্গে জোট বেঁধে প্রচার অভিযান এবং চেকিং চালায় জেলা বন বিভাগ। আর তাতেই সাফল্য পায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন বিভাগ।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বনবিভাগ আধিকারিক অনুপম খান জানান, 'শিকার উৎসবে এখনো পর্যন্ত শিকারের সংখ্যা শূন্য। একজন শিকারিও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় প্রবেশ করতে পারেনি।'
Saikat Shee
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: East Medinipur, Forest Department, Tamluk