পূর্ব মেদিনীপুর: তমলুকে মূল শহরের মধ্যে থাকা পুরনো বাস স্ট্যান্ড সরিয়ে ফেলতে উদ্যোগী প্রশাসন। তমলুক শহরের উপর দিয়ে বয়ে গেছে পাঁশকুড়া হলদিয়া ৪ নম্বর রাজ্য সড়ক। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ইংরেজ আমলে সর্বপ্রথম এই ৪ নম্বর রাজ্য সড়কে তমলুক পাঁশকুড়া রুটে বাস চলাচল শুরু হয়। এই সড়কে একসময় তমলুক শহরের মধ্যে দিয়েই বাস চলাচল করত। বাস চলাচলের সুবিধার জন্য তমলুকের মূল শহরের মধ্যে ১৯৩১ সালে বাসস্ট্যান্ড স্থাপিত হয়। বর্তমানে তমলুক পাশকুড়া রুটে বাস চলাচল চালু রয়েছে। তমলুক পাঁশকুড়া রুটের বাস তমলুকে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড থেকেই ছেড়ে যায়। মূল শহরের মধ্যে বাসস্ট্যান্ড হওয়ায় প্রতিদিন যানজটের সমস্যা লেগেই থাকে। এই বাসস্ট্যান্ডটি তাম্রলিপ্ত পৌরসভার পৌর ভবন, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক এর দপ্তর সংলগ্ন। এছাড়াও ২০০ মিটার দূরত্বে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আদালত চত্বর।
ফলে শহরের মধ্যে থাকা বাসস্ট্যান্ডের কারণেই বিভিন্ন সময়ে যানজট লেগেই থাকে। পুরাতন পাঁশকুড়া বাস স্ট্যান্ডের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চিন্তা-ভাবনা নিয়েছে প্রশাসন। প্রশাসনের তরফ থেকে এই বাসস্ট্যান্ড তমলুক রেলস্টেশন সংলগ্ন সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডেসরিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যানজট সমস্যা সমাধানের জন্য হাইকোর্ট ডিস্ট্রিক ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেন এই বাসস্ট্যান্ড অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
আরও পড়ুনঃ পট শিল্পের বিকাশ ও প্রসার ঘটাতে রেলের উদ্যোগে পটশিল্পের স্টলসেইমতো প্রশাসন বাস স্ট্যান্ড অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নেয়। এমনকি প্রশাসন একাধিকবার বাস মালিক সংগঠন ও বাস কর্মচারী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক বসে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় বাস স্ট্যান্ড অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার। কিন্তু তারপরেও বাস মালিক সংগঠনের দাবী তমলুক শহরের মধ্য থেকে বাস স্ট্যান্ড সরিয়ে নিলে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়বে তমলুক শহরের বাসিন্দারা। তমলুক পাঁশকুড়া রুটটিতে ভোর সাড়ে তিনটা থেকে রাত্রি দশটা পর্যন্ত বাস চলাচল করে।
আরও পড়ুনঃ জেলা জুড়ে সুষ্ঠ জল নিকাশীর দাবীতে জেলা শাসক কার্যালয়ে বিক্ষোভফলে শহরের বাসিন্দারা নির্বিঘ্নে যাতায়াত করে। কিন্তু বাস স্ট্যান্ড সরিয়ে নিলে তাদের অসুবিধা হবে। এছাড়াও প্রতিদিন তমলুকে আসা স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রী, বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন অফিসে আসার মানুষজনদের অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে মূল শহরের মধ্য থেকে বাস স্ট্যান্ড সরিয়ে নিলে। যদিও এ বিষয়ে তাম্রলিপ্ত পৌরসভার চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, 'যেহেতু কোর্টের নির্দেশে প্রশাসন বিষয়টি দেখছে। তাই পৌরসভা কোনও হস্তক্ষেপ করবে না।'
Saikat Sheeনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Purba medinipur, Tamluk