Purba Bardhaman News: নদীর ওপারে গ্রাম, নেই ফায়ার ব্রিগেডের ব্যবস্থা! আগুন লাগলে হয় ভয়াবহ পরিস্থিতি 

Last Updated:

নদী দ্বারা বিচ্ছিন্ন হওয়ায় আগুন লাগলেও পূর্ব বর্ধমানের কাশিপুর গ্রামে পৌছাতে পারেনা ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি। ফলে আগুন লাগলে গ্রামবাসীদেরই একে অপরের সাহায্য করতে হয়।

+
title=

পূর্ব বর্ধমান : কাশিপুর গ্রামের এক বাসিন্দা তার ছেলেকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন, তারপরই তিনি শুনতে পান এক দুঃখজনক ঘটনার কথা। তার বাড়িতে আগুন লেগেছে। প্রসঙ্গত পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের ঝাউডাঙ্গা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কাশিপুর গ্রামে গতকাল রাতে একটি বাড়িতে আগুন লাগে। যদিও সেই মুহূর্তে বাড়িতে কেউ ছিলেন না, কিন্তু বাড়িতে কেউ না থাকলেও বাড়ি হয়ে গেছে পুড়ে ছাই।
এই প্রসঙ্গে বাড়ির মালকিন রিনা বাগদী জানান, “গতকাল রাতে ৮ টা ৮:৩০ সময় আগুন লাগে। আমরা তখন বাড়িতে ছিলাম না ডাক্তারখানা গিয়েছিলাম। পাড়ার লোক সবাই ফোন করে বললো আগুন লেগেছে তারপর দৌড়ে আসলাম। এসে দেখলাম সব আগুন লেগে গেছে দাউ দাউ করে জ্বলছে। গ্রামের ছেলেরা জল দিয়ে আগুন নেভায়। আমার ১০ বস্তা ধান, ১০ হাজার টাকা, চাল ঘরে যা ছিল সব নষ্ট হয়ে গেছে। কীভাবে আগুন লেগেছে আমি জানতে পারিনি। আমরা কেউ বাড়িতে ছিলাম না । আমার ছেলেকে নিয়ে ডাক্তারখানা গিয়েছিলাম।”
advertisement
আরও পড়ুন ঃ পূর্ব বর্ধমান জেলায় ঘটল এক ভয়াবহ কাণ্ড ! গভীর রাতে বাড়ির মধ্যেই মহিলার উপর অ্যাসিড হামলা 
মূলত মূল সড়কের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন নদীর ওপারের গ্রাম ঝাউডাঙ্গা। এখানে কোনভাবেই ফায়ার ব্রিগেড যাওয়ার কোনরকম ব্যবস্থা নেই, এখনও আগুন লাগলে গ্রামের মানুষরাই ভরসা। স্থানীয়দেরই একজোট হয়ে সমস্যার সমাধান করতে হয়। গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন এদের এই এলাকায় যদি একটি ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি থাকার ব্যবস্থা হয় তাহলে বড়সড় বিপদ থেকে গ্রামবাসীরা রক্ষা পাবে।
advertisement
advertisement
এই প্রসঙ্গে গ্রামের এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, “আমাদের এখানে ফায়ার ব্রিগেডের সঙ্গে যোগাযোগের কোনও ব্যবস্থা নেই ।সেকারণে আমাদের এখানে ফায়ার ব্রিগেডে আসেনা কোনোদিনও। এদিন ঝাউডাঙ্গা পঞ্চায়েতের কাশীপুর গ্রামে আগুন লেগেছে। এর আগেও অনেকবার আগুন লেগেছে, কোনোদিনও ফায়ার ব্রিগড পৌঁছায়নি। যদি এটা সরকার কোনও বিকল্প ব্যবস্থা রাখে ফায়ার ব্রিগেড রাখার জন্য তাহলে আমাদের গ্রামটা এই সমস্ত দিক থেকে অনেকটা সুরক্ষিত থাকবে।”
advertisement
আরও পড়ুন ঃ ৬৯ বছর বয়সে ১৮৫ কেজি ওজন তুলে পদক জিতলেন কাটোয়ার অনাদি গোপাল!
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে এই গ্রামে প্রায় ৭০০ পরিবারের বসবাস। প্রায়শই এই গ্রামে আগুন লাগার মত ঘটনা ঘটে থাকে। আর আগুন লাগার মত প্রতিকূল পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে গ্রামবাসীদেরই মোকাবিলা করতে হয়। এমতাবস্থায় গ্রামবাসীরা সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছেন যাতে তাদের এই সমস্যার যাতে সমাধান হয়। গ্রামবাসীদের আর্জি এই এলাকায় অন্তত একটি ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ির ব্যবস্থা করা হোক।
বাংলা খবর/ খবর/পূর্ব বর্ধমান/
Purba Bardhaman News: নদীর ওপারে গ্রাম, নেই ফায়ার ব্রিগেডের ব্যবস্থা! আগুন লাগলে হয় ভয়াবহ পরিস্থিতি 
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement