East Burdwan News: এ কী অবস্থা! রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত তাঁত শিল্পী দিন কাটাচ্ছেন মাঠে চাষ করে, কেন জানেন?
- Published by:Riya Das
- news18 bangla
- Reported by:BONOARILAL CHOWDHURY
Last Updated:
East Burdwan News: সুরাটের শাড়ির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় না পেরে রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত এই শিল্পীকেও বেছে নিতে হয়েছে মাঠের কাজ।
পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর তাঁতের শাড়ির জন্য ভাল খ্যাতি রয়েছে রাজ্য জুড়ে। এখানকার তাঁতিদের তৈরি শাড়ি পাড়ি দেয় ভিন রাজ্যেও। এই পূর্বস্থলী ব্লকেরই অন্তর্গত একটি গ্রাম হল তামাঘাটা। আর এই গ্রামেই রয়েছে বড় বড় তাঁত শিল্পী। এরকমই এক তাঁত শিল্পী হলেন তামাঘাটা গ্রামের বানেশ্বর সরকার । ১৯৯৮ সালে তিনি জামদানি বুটি শাড়ি তৈরির জন্য পেয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কার। কিন্তু বর্তমানে এই শিল্পীর অবস্থা দেখলে আপনিও অবাক হবেন । একসময় যে শিল্পী শাড়ি তৈরির জন্য রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছিলেন, আজ তার জীবন অতিবাহিত হচ্ছে চাষের জমিতে কাজ করে । কয়েক বছর হল তিনি বন্ধ করে দিয়েছেন তাঁত বোনা। কিন্তু এর পিছনে এক বড় কারণ রয়েছে , কেন তিনি বন্ধ করলেন এই কাজ ? চলুন দেখে নেওয়া যাক কী বলছেন তাঁত শিল্পী বানেশ্বর সরকার,
এখন কি করে চলব, তাঁত তো বন্ধ হয়ে গেছে । মার্কেটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলতে পারছি না । বাজারে সুরাটের শাড়ি এসেছে তারপর থেকে জামদানি শাড়ি আর চলছে না । বেচা-কেনায় অসুবিধা হচ্ছে। আমার নিজের আর্থিক অবস্থা খারাপ। আমি যে শাড়ি তৈরি করে কোনও এক জায়গায় বিক্রি করব সেই রাস্তাও আমি পারছি না । অর্থের অভাবে এবং বাজারে গুজরাটের সুরাটের শাড়ি আসার কারণে এখন আর বিক্রি নেই তাঁতের। তাই তাঁত বোনা ছেড়ে চাষের কাজে লেগেছেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত এই তাঁত শিল্পী।
advertisement
advertisement
জামদানি শাড়ি না বোনার কারণ প্রসঙ্গে এই শিল্পী আরও জানান , জামদানি শাড়ি বুনছি না আমাদের অর্থের অভাব এবং বেচাকেনাও নেই। সুরাটের শাড়ি ওঠার পর ওই শাড়ির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পারা যাচ্ছে না । আমি একটা শাড়ি যদি বুনি নরমাল শাড়ি বুনতে পাঁচ দিন সময় লাগবে। একটা লেবারের মজুরি যদি ৩০০ টাকা হয় তাহলে পাঁচ দিনে হচ্ছে ১৫০০ টাকা । শাড়িটা আমার বিক্রি হচ্ছে বড়জোর হাজার টাকায় । আর সুরাট থেকে যে শাড়ি আসছে একই শাড়ি ওরা বিক্রি করছে ৩৫০ টাকায় , ডিজাইন একই সবই এক ওরা এই কম দামে বিক্রি করছে যে কারণে আমাদের হাতে বোনা শাড়ি বিক্রি হচ্ছে না।
advertisement
তবে যাতে এই সুরাটের শাড়ি বাংলাতে আসা বন্ধ হয় সে বিষয়ে একাধিক বার প্রসাশনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে জানান বানেশ্বর সরকার। বানেশ্বর সরকার আরও জানান, সুরাটের শাড়ি এসেই আমাদের জামদানি শাড়িটাকে একদম শেষ করে দিল । একদম বন্ধ, একদম ধ্বংস হয়ে যাওয়ার মূল কারণ ওই সুরাটের শাড়ি। তাই বর্তমানে সঠিক দাম না পাওয়ার কারণে , শাড়ি বিক্রি না হওয়ার না কারণে এবং সুরাটের শাড়ির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় না পেরে রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত এই শিল্পীকেও বেছে নিতে হয়েছে মাঠের কাজ ।
advertisement
Bonoarilal Chowdhury
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
September 02, 2023 3:00 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/পূর্ব বর্ধমান/
East Burdwan News: এ কী অবস্থা! রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত তাঁত শিল্পী দিন কাটাচ্ছেন মাঠে চাষ করে, কেন জানেন?
