Independence Day 2022|| স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে ঠাসা, সপ্তাহান্তে ঘুরে আসুন বটুকেশ্বর দত্তের বাড়ি 

Last Updated:

Batukeshwar Dutta's house: বিপ্লবী বটুকেশ্বর দত্তের বাড়িটি সংরক্ষণ করা হলেও নগেন্দ্রনাথ ঘোষের বাড়িটির অর্থাৎ সুড়ঙ্গের বাড়িটি আজও জরাজীর্ণ। 

+
title=

#পূর্ব বর্ধমান: ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের কথা বলতে গেলে যে দামাল ছেলেদের কথা সর্বপ্রথম উঠে আসে তাদের মধ্যে অন্যতম বটুকেশ্বর দত্ত, রাজগুরু, ভগৎ সিংরা। এই দামাল ছেলেরাই গড়ে তুলেছিলেন সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলন। হাসতে হাসতে ফাঁসির মঞ্চে পা রেখেছিলেন তাঁরাই। বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, “বধিরকে শোনাতে হলে ধামাকা দরকার।” আজ বলছি বটুকেশ্বর দত্তের কথা। বর্ধমান জেলার সঙ্গে তিনি জড়িয়ে রয়েছেন ওতপ্রোতভাবে। কারণ বটুকেশ্বর দত্তের জন্মভিটে বর্ধমানের খণ্ডঘোষের ওঁয়াড়ি গ্রামে। সেখানেই জন্মভিটের পাশের বাড়িটি ছিল বটুকেশ্বর দত্তের বন্ধু নগেন্দ্রনাথ ঘোষের। ওই বাড়ির সুড়ঙ্গেই টানা ১৫ দিন আত্মগোপন করেছিলেন বিপ্লবী বটুকেশ্বর দত্ত ও বিপ্লবী ভগৎ সিং।
সালটা ছিল ১৯২৮। লাহোরে সাইমন কমিশনের বিরোধিতা করে বিক্ষোভের ডাক দেন লালা লাজপত রায়। তাদের এই মিছিল স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে ফেলেছিল ব্রিটিশ পুলিশকে। বিক্ষোভ থামাতে লালার ওপর চার্জের নির্দেশ দেন ব্রিটিশ অফিসার জেমস স্কট। এই নিন্দনীয় অপরাধের শাস্তি স্বরূপ স্কটকে হত্যার পরিকল্পনা করেন রাজগুরু, ভগৎ সিংরা। কিন্তু ভুল করে স্কটকে হত্যা করতে গিয়ে স্যান্ডার্সকে হত্যা করে বসেন তাঁরা। এরপরই পাঞ্জাব ছেড়ে পালানো, পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে এখানে সেখানে লুকিয়ে থাকতে থাকতে অবশেষে বাংলায় পৌঁছন ভগৎ সিং। আশ্রয় নেন বিপ্লবী বটুকেশ্বর দত্তের জন্মভিটে বর্ধমানের খণ্ডঘোষের ওঁয়াড়ি গ্রামে। ব্রিটিশ পুলিশের চর ছিল সর্বত্রই, তাই পঞ্জাব থেকে সুদূর বাংলাতে এসেও লুকিয়ে থাকা সহজ ছিল।
advertisement
আরও পড়ুন: বিপাকে অনুব্রত মণ্ডল, বুধবার ফের সিবিআই তলব, আঁটঘাট বেঁধে তদন্তে নামছে ইডিও
এই অবস্থায় তাঁরা আশ্রয় নেন নগেন্দ্রনাথ ঘোষের বাড়িতে। বটুকেশ্বর জানতেন এই বাড়িতে রয়েছে একটি পাতালঘর। আর সেই পাতালঘরেই এই বিপ্লবীদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়। খণ্ডঘোষে পুলিশি তল্লাশি শুরু হলেও বিপ্লবীদের খুঁজে বের করতে পারেনি ব্রিটিশরা। তার অন্যতম কারণ এই পাতালঘরটি। পুরনো জরাজীর্ণ বাড়িটিতে এখনও ঢুকলে দেখা যাবে, দেওয়াল কেটে কাঠের দরজা লাগানো ছিল। পাল্লার সামনে থাকত প্রসাধনী সামগ্রী। তাই কিছুতেই বোঝার উপায় ছিল না সেটি আসলে একটি পাতালঘরের পথ। শোনা যায়, এই পাতাল ঘরেই ব্রিটিশ গণপরিষদে বোমা ফাটানোর পরিকল্পনা করেছিলেন ভগৎ সিং। পরে সেখান থেকে তাঁরা পৌঁছান দিল্লি।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন: ধান জমিতে ওটা কী! ভর দুপুরে দরদরিয়ে ঘামলেন কৃষকরা, হাড় হিম স্থানীয় বাসিন্দাদের 
বিপ্লবী বটুকেশ্বর দত্তের বাড়িটি সংরক্ষণ করা হলেও নগেন্দ্রনাথ ঘোষের বাড়িটির বর্তমানে জরাজীর্ণ অবস্থায় পরে আজও। বটুকেশ্বর দত্তের স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির উদ্যোগে সরকারের সহযোগিতায় বটুকেশ্বর দত্তের বাড়িতেই করা হয়েছে একটি পাকা বাড়ি, পর্যটকদের জন্য এই বাড়িটি তৈরি হয়েছে। বাড়িটির ভিতরে করা হচ্ছে বটুকেশ্বর দত্তের মিউজিয়াম। তৈরি হবে গ্রন্থাগার। এই সমস্ত কাজই বর্তমানে চলছে। আগামী এক বছরের মধ্যে এই সমস্ত কাজ শেষ করে হয়ে যাবে বলেই জানিয়েছেন বটুকেশ্বর দত্তের স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির সদস্যরা। অন্যদিকে, ঘোষ বাড়ি অর্থাৎ পাতালঘর যেই বাড়িতে রয়েছে সেই বাড়িটিও ইতিমধ্যেই সরকার অধিগ্রহণ করেছে। বাড়িটি মেরামত করার ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
advertisement
Malobika Biswas
view comments
বাংলা খবর/ খবর/পূর্ব বর্ধমান/
Independence Day 2022|| স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে ঠাসা, সপ্তাহান্তে ঘুরে আসুন বটুকেশ্বর দত্তের বাড়ি 
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement