Purba Bardhaman: মাধ্যমিকে প্রথম রৌনকের স্বপ্ন ডাক্তার হওয়া
- Published by:Soumabrata Ghosh
- hyperlocal
Last Updated:
শুক্রবার ফল প্রকাশিত হল মাধ্যমিকের। প্রকাশিত হল এবছরের মাধ্যমিকের ফলাফল। এবছর মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছেন দু জন। তার মধ্যে রয়েছে বর্ধমান সিএমএস স্কুলের রৌনক মণ্ডল।
পূর্ব বর্ধমান : শুক্রবার ফল প্রকাশিত হল মাধ্যমিকের। প্রকাশিত হল এবছরের মাধ্যমিকের ফলাফল। এবছর মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছেন দু জন। তার মধ্যে রয়েছে বর্ধমান সিএমএস স্কুলের রৌনক মণ্ডল। রৌনকের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩। প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক বাবার একমাত্র ছেলে রৌনক। ছোট থেকেই পড়াশোনায় মেধাবী সে। ডাক্তার হতে চায় রৌনক। পড়াশোনার জন্য নির্দিষ্ট কোনও ধরা বাঁধা সময় তাঁর ছিল না। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা, মাধ্যমিক পরীক্ষায় শীর্ষস্থানে যাওয়া-ই একমাত্র লক্ষ্য ছিল রৌনকের। পড়াশোনার পাশাপাশি রৌনক সংগীত চর্চাও করে এদিন সংবাদ মাধ্যমের সামনে গান গেয়েও শোনায় সেন। রৌনকের মা সাধারণ গৃহশিক্ষক। তিনিও কখনও ছেলেকে পড়াশোনার জন্য বকাবকি করেন না। ছেলের এই সাফল্য গর্বিত রৌনকের বাবা ও মা।
রৌনক মন্ডল বলেন, \"আমি জানতাম যে এক থেকে দশের মধ্যে থাকব। তবে প্রথম হব এটা ভাবিনি। খুবই ভাল লেগেছে রেজাল্ট দেখে। সারাদিনে আট ঘণ্টা পড়তাম। গৃহশিক্ষক ছিলেন সাত জন সেটাও প্রতিদিন নয়। টেস্ট পেপার খুঁটিয়ে পড়েছিলাম। আমার অঙ্ক এবং জীবনবিজ্ঞান পড়তে খুব ভাল লাগে। পড়াশুনোর পাশাপাশি গান করতে ভাল লাগে। গল্পের বইও পড়তে খুব ভাল বাসি। ফেলুদা বই পড়তে ভালবাসি। আগে ভলিবল খেলতাম। পাহাড়ে বেড়াতে যেতে খুব ভালো লাগে। স্কুলের স্যারেরা অনেক হেল্প করেছেন। মা বাবা শিক্ষক শিক্ষিকারা খুব সাহায্য করেছেন।\"
advertisement
আরও পড়ুনঃ বেহাল রাস্তা মেরামতের দাবিতে বিক্ষোভ
রৌনকের বাবা কুন্তল মণ্ডল বলেন, \" টিভির সামনে বসে ছিলাম দ্বিতীয় নাম টায় ছেলের হবে ভাবিনি। ভালো লাগছে। ভালো রেজাল্ট হবে জানতাম। ছেলের পড়ার নির্দিষ্ট সময় ছিল না। কখনও রাত ১২টা পর্যন্ত পড়ত তো কখনও সারা দুপুর পড়ত। ছোট থেকেই স্কুলে প্রথম অথবা দ্বিতীয় স্থানের মধ্যেই থাকত রৌনক। পাঠ্য বই পড়ার পাশাপাশি অন্যান্য সাধারণ জ্ঞান থেকে শুরু করে নানান ধরনের বই পড়ে ছেলে। \"
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ রাস্তায় আবর্জনার স্তূপ, ভ্রুক্ষেপ নেই পৌরসভার দাবি স্থানীয়দের
রৌনকের মা সুদীপ্তা মণ্ডল বলেন, \"ছেলে ছোটো থেকেই পড়াশোনায় ভালো। ছোটো থেকেই পরীক্ষার ভালো রেজাল্ট করে। ওর ইচ্ছে ডাক্তার হবে। এখন তার জন্যই তৈরি হচ্ছে ছেলে। ওর বাবা সাইন্স গ্রুপ দেখতো আর আমি আর্টস টা দেখতাম। খাওয়া দাওয়ার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন রৌনক সবই খায়। লকডাউনে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা অনেক সাহায্য করেছেন রৌনকে। যখন ছেলে ফোন করেছে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা ওকে হেল্প করেছেন।\"
advertisement
Malobika Biswas
Location :
First Published :
June 03, 2022 5:59 PM IST