হোম /খবর /পূর্ব বর্ধমান /
মালিককে 'সবক' শেখাতে ভেঙে জ্বালিয়ে দেওয়া হল টোল বুথ! খণ্ডঘোষে ভয়ঙ্কর কাণ্ড

East Bardhaman News: ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হল বালির টোল বুথে, খণ্ডঘোষে ধুন্ধুমার

X
title=

খণ্ডঘোষের শশঙ্গা অঞ্চলের দুটি টোল বুথে হামলা চালায় অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা। তাদের মারে গুরুতর জখম এক টোল কর্মীকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

  • Share this:

পূর্ব বর্ধমান: বালির টোল আদায়ে কার প্রাধান্য থাকবে তা নিয়ে খণ্ডঘোষে ধুন্ধুমার। একাধিক টোল কাউন্টারে দুষ্কৃতী হামলা। ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালায় ওই দুষ্কৃতীর দল। যাওয়ার আগে টোল বুথের কর্মীদের ব্যাপক মারধর করে। কয়েক লক্ষ টাকা ওই দুষ্কৃতী দলটি লুট করে নিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ টোল বুথ মালিকের।

এই ঘটনাটি ঘটেছে খণ্ডঘোষের শশঙ্গা অঞ্চলে। সেখানকার দুটি টোল বুথে হামলা চালায় অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা। তাদের মারে গুরুতর জখম এক টোল কর্মীকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি আহত ৪-৫ জনকে খণ্ডঘোষ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দু'জনকে আটক করে পুলিশ।

আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যাওয়া টোল কাউন্টারের মালিক ফিরোজ হোসেন বলেন, বালির গাড়ি থেকে এক বছরের টোল আদায়ের জন্য শশঙ্গা পঞ্চায়েত টেন্ডার ছেড়েছিল। দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল গত ২৪ ফেব্রুয়ারি। নিয়ম মেনে দরপত্র জমা দিয়ে তিনি বালির গাড়ি থেকে টোল আদায়ের বুথ খোলার দায়িত্ব পান। তিনটি জায়গায় টোল কাউন্টার বসানোর জন্য ৪ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা দরপত্র দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন ফিরোজ হোসেন। পঞ্চায়েত থেকে টোল আদায়ের জন্য মনোনীত হন। গত ৩ মার্চ পুরো টাকাটা পঞ্চায়েত অফিসে জমা দিয়ে তিনি টোল আদায়ের অনুমতিপত্র হাতে পান। এই কাজের জন্য ২৫ জন ছেলেকে নিয়োগ করেন ‌‌। কর্মীদের থাকা, খাওয়া ও বিশ্রামের জন্য টোল কাউন্টারগুলির কাছে অস্থায়ী ঘর তৈরি করা হয়। টোল বুথ মালিকের অভিযোগ, বুধবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকা দুটি টোল কাউন্টার অফিসে এলাকার একদল দুষ্কৃতী চড়াও হয়। টোল কাউন্টারে থাকা কর্মীদেরকে ব্যাপক মারধর করে, তাদের তিনটে বাইক ভেঙে দেয়। এমনকি কর্মীদের কাছে থাকা মোবাইল ফোনগুলি কেড়ে নেয়।

আরও পড়ুন: শান্তিপুরে জমজমাট গোপাল পুজো, মৃৎশিল্পী ছাড়াই তৈরি হয় ২০ ফুটের মূর্তি!

এরপরে কর্মীদের থাকার দুটি ঘরে ঢুকে ব্যাপক লুটপাট চালায়। গত দু'দিন আদায় করা টোল ট্যাক্সের ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা রাখা ছিল। সেই পুরো টাকাটা দুষ্কৃতীরা লুট করে নিয়ে চলে গেছে বলে ফিরোজ হোসেন অভিযোগে করেন।

যদিও এলাকার বাসিন্দারা সম্পূর্ণ অন্য কথা বলছেন। তাঁদের দাবি, হামলাকারী দুষ্কৃতীদের সঙ্গে কিছুদিন আগেও ঘনিষ্ঠতা ছিল টোল বুথের মালিক ফিরোজ হোসেনের। পঞ্চায়েত থেকে টোল আদায়ের ছাড়পত্র পাওয়ার এক সপ্তাহ আগে থেকেই তিনি ওই দুষ্কৃতীদের সাহায্যে বালির গাড়ি থেকে টোল আদায় করা শুরু করেছিলেন। পরে পঞ্চায়েতের ছাড়পত্র পাওয়ার পর ওই দুষ্কৃতীদের পাত্তা দিচ্ছিলেন না ফিরোজ হোসেন। সেই রাগ থেকেই তারা এমন হামলা করেছে বলে এলাকাবাসীদের দাবি।

Published by:Ananya Chakraborty
First published:

Tags: East Bardhaman news