Purba Bardhaman: জলের অভাবে আমন চাষ ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা

Last Updated:

বৃষ্টির দেখা নেই। চাতক পাখির মতো বৃষ্টির আশায় শস্য গোলা পূর্ব বর্ধমানের চাষীরা। আমন মরশুমে এখনও পুরোদমে চাষের কাজে হাত দিতে পারেননি চাষীরা।

#পূর্ব বর্ধমান : বৃষ্টির দেখা নেই। চাতক পাখির মতো বৃষ্টির আশায় শস্য গোলা পূর্ব বর্ধমানের চাষীরা। আমন মরশুমে এখনও পুরোদমে চাষের কাজে হাত দিতে পারেননি চাষীরা। থমকে আছে জেলার চাষবাস। মূলত বৃষ্টির অভাবে জলের ঘাটতি রয়েছে। সম্প্রতি আমন ধান রোপণ ও চাষের জন্য ২২ জুলাই থেকে জল ছাড়া হয় ডিভিসির। দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন (ডিভিসি) এর সিদ্ধান্তে জল ছাড়ার কাজ চলে ২৭ জুলাই পর্যন্ত। জল ছাড়া হয় পাঁচ জেলায় তার মধ্যে পূর্ব বর্ধমানেও আসে জল। তবে মাত্র সাত দিন জল দিতে পেরেছে ডিভিসি।এক লাখ ৮০ হাজার একর ফুট ছাড়ার কথা থাকলেও ৭০ হাজার একর ফুট জল ছেড়েছে ডিভিসি। আপাতত ৪০% কভার করা যাবে এই জল দিয়ে যা চাষ যোগ্য জমি আছে। বীজ তোলার সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। চাষীরা যাতে দ্রুত বীজ তোলার কাজ করতে পারে তার জন্য ডিভিসি এর জল ছেড়েছিল। ইতিমধ্যেই পাম্প গুলোকে চার্জ দেওয়ার ব্যাবস্থা করা হচ্ছে কৃষি দফতরের তরফে। এনিয়ে ইতিমধ্যেই বৈঠক হয়েছে জেলা প্রশাসনিক মহলে।তবে এখন শুধুই ভরসা বৃষ্টির উপর। কারণ বৃষ্টির পরিমাণ না বাড়লে চাষবাসে বড়সর ক্ষতি হতে পারে চলতি বছরে।
এ বিষয়ে উপ কৃষি অধিকর্তা আশীষ কুমার বাড়ুই জানান, ডিভিসির কাছে যে পরিমাণ জল ছিল সমস্ত জল ছেড়ে দিয়েছে। তবে সেই জলের পরিমাণ প্রয়োজনের থেকে কম। যদি ১৪ দিন ডিভিসি জল দিত তাহলে জলের ঘাটতি কিছুটা হলেও কমানো সম্ভব হত। চলতি বছরে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা তিন লক্ষ ৮১ হাজার মতো। বর্তমানে মাত্র ৮১ হাজার হেক্টরের মতো জমিতে চাষ হয়েছে বা চারা লাগানো হয়েছে। ঘাটতি আছে ৬০ থেকে ৬২% মতো।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বৃষ্টির কামনায় শিবের মাথায় জল ঢাললেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি!
যদি দ্রুত বৃষ্টি হয় তাহলেই এই ঘাটতি মেটানো সম্ভব। বৃষ্টি না হলে আমন ধান চাষ কিছুটা হলেও ক্ষতির মুখে পড়বে। বেশি বয়সের বীজ লাগালে ফলন ভালো হয় না। বেশ কয়েকটি জায়গায় দফায় দফায় বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টির জল কাজে লাগবে। তবে এখনও আরও বৃষ্টির প্রয়োজন। জেলার চাষী অমল মোদক, বিভাস দাসরা বলেন, বীজ তোলার কাজ এখনও শেষ করা যায়নি। জলের অভাবে সব কিছুই থমকে আছে। এখন শুধুই বৃষ্টির অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ বজ্রপাতে মৃত কৃষক! আহত ১১
উল্লেখ্য, জুলাইয়ে সাধারণত ৩৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয় জেলায়। এ বার এখনও পর্যন্ত মাত্র ১০০ মিলিমিটার এর মতো বৃষ্টি হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই বৃষ্টির পরিমাণ কম থাকায় ক্ষতির মুখে পড়েছে জেলার চাষাবাদ। তাই আপাতত বৃষ্টির আসায় জেলার চাষীরা।
Malobika Biswas
বাংলা খবর/ খবর/পূর্ব বর্ধমান/
Purba Bardhaman: জলের অভাবে আমন চাষ ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement