আলোয় ফিরে হাসছে মালদহের গোপালপুর পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা
Last Updated:
ডাকাতের গ্রাম ! হ্যাঁ বলতেও পারেন। অন্তত কয়েকবছর আগেও মালদহের গোপালপুরকে ডাকাতপুর নামেই চিনতেন মানিকচকের বাসিন্দারা। মালদহের গোপালপুর পঞ্চায়েত এলাকা। এই গ্রামেরই বাসিন্দা তাফজুর শেখ, সাত্তার শেখদের নাম শুনলে ঘুম উড়ে যেত বহু গ্রামের
#গোপালপুর: ডাকাতের গ্রাম ! হ্যাঁ বলতেও পারেন। অন্তত কয়েক বছর আগেও মালদহের গোপালপুরকে ডাকাতপুর নামেই চিনতেন মানিকচকের বাসিন্দারা। মালদহের গোপালপুর পঞ্চায়েত এলাকা। এই গ্রামেরই বাসিন্দা তাফজুর শেখ, সাত্তার শেখদের নাম শুনলে ঘুম উড়ে যেত বহু গ্রামের। পুলিশের কাছেও আতঙ্ক ছিল এই শেখরা। এখন অবশ্য সময় বদলেছে।
কেউ মিষ্টি ব্যবসায়ী। কেউবা চায়ের দোকানি। দোকানে গেলে হাসি মুখে এগিয়ে দিচ্ছেন জল। যারা চেনেন তারা হতবাক। কিভাবে এই বদল সম্ভব? ঘাবড়ে যাওয়ার আরও কারণ আছে। যখন এদের মুখেই শুনছেন অপরাধ থেকে দূরে থাকার কথা।
advertisement
advertisement
তাফজুর শেখ মিষ্টি বিক্রি করেন। আর সাত্তার শেখের চায়ের দোকান। একদা ডাকাত সর্দার। এদের ভয়ে রাতের ঘুম উড়ে যেত গ্রামবাসীর। সমঝে চলত পুলিশ কর্তারাও। এমন নির্বাচনের সিজিনে এদের ব্যবহার করা হত এলাকায় ত্রাস তৈরি করতে। হাতে হাতে ঘুরত গুলি বোমা বন্দুক। এখন সামনে দাড়ালে মিষ্টি হেসে চায়ের কাপ।
advertisement
পঞ্চায়েত আর জেলা পুলিশের উদ্যোগে ভোল বদল। গ্রামে গ্রামে ঘুরে পুরানো অপরাধীদের খুঁজে বার করে গ্রেফতার নয়। নিয়ে যাওয়া হয়েছিল জেলা শিল্প কেন্দ্রে। সেই খানেই ট্রেনিং। হাতে কলমে কাজের। স্বনির্ভরতার। সঙ্গে ব্যাঙ্ক ঋণ। গ্যারান্টি দিচ্ছে পুলিশ আর পঞ্চায়েত।
তাফজুর শেখ চারবার জেল খেটেছেন ডাকাতির মামলায়। এখন পঞ্চায়েত অফিসের সামনেই মিষ্টির দোকান। আর সাত্তার সেখ। ৬০ ছুঁই ছুঁই বয়স। পেটান চেহারা দেখে বোঝার উপায় নেই। জেলা শিল্প কেন্দ্রের ট্রেনিং, পুলিশের গ্যারান্টি আর পঞ্চায়েতের জমি বদলে দিয়েছে জীবন।
advertisement
গোপালপুর পঞ্চায়েতের তাফজুর শেখ, সাত্তার শেখ এখন বেপথু যুবকদের বোঝান অন্ধকারের পথ ছাড়তে। বলেন,অন্য ভাবে বাঁচতে। সুস্থজীবনের বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। ছুঁইয়ে দিচ্ছেন সোনার কাঠির পরশ। গোপালপুরের ডাকাতের গ্রামে এখন, রত্নাকরের বাল্মিকী হওয়ার কাহিনী।
Location :
First Published :
April 09, 2018 10:29 AM IST