হুগলি: বিয়ের মরশুম মানেই সাজগোজ, কব্জি ডুবিয়ে ভুরিভোজ আর একসঙ্গে আনন্দে মেতে ওঠা। একইসঙ্গে বিয়ে করতে গেলে মানতে হয় একগাদা নিয়ম। হিন্দু শাস্ত্র মতে, বৈদিক নিয়ম মেনে বিয়ে হয়। তবে বর্তমান সময় চিরাচরিত প্রথা পেছনে ফেলে নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি করছেন অনেকেই।
হুগলির উত্তর পাড়ার পৌলমী ও সঞ্জীবের বিয়ে। বিয়ের দিন বরের সিঁদুরদানের আগে নববধূ বরকে সিঁদুর পরিয়ে এক অনন্য দৃষ্টান্তের নজির তৈরি করল।
আরও পড়ুনঃ স্কুল ভ্যান উল্টে গিয়ে রক্তারক্তি কাণ্ড, আহত ৫ খুদে ছাত্র! ভয়াবহ ঘটনা বেঙাইতে
সোমবার বিয়ের আসর বসেছিল হুগলির উত্তরপাড়ার গঙ্গার পাড়ে একটি ম্যারেজ হলে। প্রথম থেকেই বিয়ের আসরে ছিল নানা চমক। কলকাতা থেকে মহিলা পুরোহিতদের দল এসেছিল বিয়ে দিতে। সাম্যের বাণী ও বৈদিক মন্ত্র দিয়ে সাত পাকে বাঁধা পড়েছে নবদম্পতি। তবে গোটা বিয়ের মধ্যে সবথেকে আকর্ষণীয় ছিল সিঁদুর দানের সময়।
প্রতি বাঙালি বিয়েতেই বর কনেকে সিঁদুর পরিয়ে বিবাহ সম্পন্ন করে। কিন্তু এখানে ঘটল একটু অন্যরকম দৃশ্য। বর বউকে সিঁদুর পড়ানোর আগে বউ বরকে সিঁদুর পরিয়ে বিয়ে করলেন। যা দেখে সাধুবাদ জানাচ্ছেন বিয়েতে নিমন্ত্রিতেরা।
আরও পড়ুনঃ শিক্ষিকার অভাবে বন্ধ হতে বসেছিল পঠনপাঠন, ক্লাস নিতে এগিয়ে এলেন পাশের স্কুলের শিক্ষক
কেন বউ প্রথমে বরকে সিঁদুর পড়ালেন? এ প্রসঙ্গে মহিলা পুরোহিত নন্দিনী ভৌমিক বলেন, "সিঁদুর সৌভাগ্যের তিলক, আগেকার সময়ে রাজা-মহারাজা বা জমিদার কোথাও কোনও শুভ কাজে গেলে তাঁদের স্ত্রীরা তার কপালে সিঁদুরের তিলক পড়িয়ে দিতেন। সেই প্রথাকে বজায় রেখেই বিবাহর আগে প্রথমে বউ বরকে সিঁদুর পড়ায়, তারপরে বর বউকে সিঁদুর পড়ায়।"
এ দিন নবদম্পতিকে ঘিরে খুবই উৎসাহিত ছিলেন দু'জনে। এ দিন নতুন প্রথাকে মেনে বিয়ে হয় পৌলোমী এবং সঞ্জীবের। দম্পতি জানিয়েছেন, মফঃস্বলের মানুষদের কাছে নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি করতে পেরে তাঁরা খুবই খুশি। পুরুষ মহিলা সকলেই সমান, তাই সিঁদুর পড়ানোতে তাঁদের মধ্যে সাম্য বৃদ্ধি পায়।
রাহী হালদার
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Hooghly news, Viral Video