কলকাতায়ও চাহিদা বাড়ছে ব্যাপক! তবু দুর্গাপুর ব্যারেজের বিশেষ মাছটি পাওয়া যায় না স্থানীয় বাজারে, চলে যায় ভিনরাজ্যে!
- Published by:Tias Banerjee
- local18
- Reported by:Dipika Sarkar
Last Updated:
দুর্গাপুর ব্যারেজের জলাধারের জলে বিখ্যাত এই "গ্রেট স্নেক হেড " মাছের স্থানীয় নাম গজার মাছ। সাপের মাথার মত এই মাছের মাথা হওয়ায় "গ্রেট স্নেক হেড " বলা হয়। শোল মাছের সঙ্গে অনেকটাই সাদৃশ্য রয়েছে এই গজার মাছের।
সংবাদদাতা,দুর্গাপুর: দুর্গাপুরে দামোদর নদের “গ্রেট স্নেক হেড” মাছের ব্যপক চাহিদা বেড়েছে ভিনজেলা-সহ ভিনরাজ্যে। বিগত কয়েকবছর আগে এই মাছের তেমন চাহিদা ছিলনা বলে দাবি মৎস্যজীবীদের৷ স্থানীয় বাজারেই মিলত স্বল্প মূল্যে। স্থানীয় বাজারে এই মাছের দাম ছিল কেজি প্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। এর পরেই কলকাতার বাজারে এই মাছের চাহিদা হঠাৎই বাড়তে থাকে।
মৎস্যজীবীরা জানতে পারেন সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন “গ্রেট স্নেক হেড” মাছ কলকাতার মাছের আড়ৎ থেকে রফতানি হচ্ছে মহারাষ্ট্র ও গুজরাট-সহ একাধিক ভিন রাজ্যে৷ তাই ব্যপক হারে চাহিদা বাড়তে থাকে ওই মাছের। স্থানীয় বাজারে আমদানি হ্রাস পেতে থাকে। ভিন রাজ্যে রফতানি হওয়ার কারণে ওই মাছের পারদ চড়তে থাকে হু হু করে। কয়েক বছরের মধ্যেই এই মাছের কেজি প্রতি মূল্য বৃদ্ধি পায় দ্বিগুণ।
advertisement
advertisement
দুর্গাপুরের পাইকারি বাজারে বর্তমানে মিলছে ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে। স্বাভাবিকভাবেই স্থানীয়দের কাছে ওই মাছ ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছে৷ দুর্গাপুর ব্যারেজের জলাধারের জলে বিখ্যাত এই “গ্রেট স্নেক হেড ” মাছের স্থানীয় নাম গজার মাছ। সাপের মাথার মত এই মাছের মাথা হওয়ায় “গ্রেট স্নেক হেড ” বলা হয়। শোল মাছের সঙ্গে অনেকটাই সাদৃশ্য রয়েছে এই গজার মাছের। তবে শোল মাছ আকারে ছোট হয়। আর এই গজার মাছ দামোদর নদে ১২ কেজি ১৫ কেজি ওজনেরও মেলে বলে দাবি মৎস্যজীবীদের। উল্লেখ্য, সেচ কার্যে ও শিল্পে ব্যবহারের জন্য ১৯৫৫ সালে দামোদর নদের ওপর দুর্গাপুর ব্যারেজ গড়ে ওঠে।
advertisement
ওই ব্যারেজের বিশাল জলাধারে মাছের উৎস শুরু হয়। এক হাজারের অধিক মানুষ ওই জলাধারে মাছ শিকার করে জীবন-জীবিকা অর্জন করছেন। আর এই জলাধারের বিখ্যাত মাছ গলদা চিংড়ি।যা ইতিমধ্যেই বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বর্তমানে গজার মাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় খানিকটা হলেও স্বস্তি মিলছে মৎস্যজীবীদের। দুর্গাপুরে দামোদর নদের পাশে প্রায় পাঁচটি মাছের আড়ৎ রয়েছে।
advertisement
নদের সমস্ত রকম মাছ কলকাতা, শিলিগুড়ি-সহ বেশ কয়েকটি জেলায় রফতানি হয়। কিন্তু গজার মাছ রাজ্য ছেড়ে ভিন রাজ্যে চলে যাচ্ছে। আড়তদার থেকে মৎস্যজীবীদের দাবি, ওই মাছে রয়েছে যেমন পুষ্টিগুণ তেমনই সুস্বাদু ও ঔষুধি গুণে ভরপুর।এই সব নানা কারণেই গজার মাছ রফতানি হচ্ছে ভিন রাজ্যে।
view commentsLocation :
Durgapur,Barddhaman,West Bengal
First Published :
November 17, 2025 7:29 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
কলকাতায়ও চাহিদা বাড়ছে ব্যাপক! তবু দুর্গাপুর ব্যারেজের বিশেষ মাছটি পাওয়া যায় না স্থানীয় বাজারে, চলে যায় ভিনরাজ্যে!
