#রাজকোট: পড়াশোনার কোনও বয়স নেই। পড়াশোনার কোনও বিকল্প নেই। কথাগুলো শুনতে বেশ ভাল লাগে। তবে বাস্তবে এর মর্ম বুঝে চলা বেশ কঠিন। অনেকেই অনেক সময় বিভিন্ন অজুহাতে মাঝপথে পড়াশোনা ছেড়ে দেয়। কেউ বিয়ের অজুহাতে, কেউ আবার টাকার অভাবের দোহাই দিয়ে। কিন্তু অনেকে রয়েছেন যারা জীবনের সমস্ত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করেও পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেন। রাজকোটের এই মেয়ে তেমনই একজন।
পরীক্ষার হলে বিয়ের সাজে বসে রয়েছে কনে। এমন ছবি দেখে অনেকেই নিজের চোখ দুটিতে বিশ্বাস রাখতে পারবেন না। রাজকোটের শান্তি নিকেতন কলেজের অনেকেও এমন ছবি দেখে অবাক হয়ে যান। তবে শিবাঙ্গী বাগথারিয়ার দাবি, জীবনে সব কিছু অপেক্ষা করতে পারে। এমনকী বিয়েও। তবে পরীক্ষা তো আর অপেক্ষা করে থাকবে না। তাই তিনি বিয়ের থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করলেন পরীক্ষাকে। আর কনের এমন ইচ্ছেয় সায় দিল তাঁর বর। ফলে ব্যাপারটা সহজেই হয়ে গেল।
আরও পড়ুন- মোদি নয়, 'এই' BJP নেতার সঙ্গে মমতার বৈঠক ঘিরে তীব্র জল্পনা! তোলপাড় দিল্লি
ব্যাচেলর অফ সোস্যাল ওয়ার্কস-এর পঞ্চম সেমেস্টার দিতে কনে বেশেই পরীক্ষার হলে পৌছে গেলেন শিবাঙ্গী। গা ভর্তি গয়না, গায়ে লাল শাড়ি, মুখে-চোখে মেক-আপ। বিয়ের জন্য তিনি একেবারে তৈরি। তবে বিয়ের আগে সেমেস্টার দিয়ে গেলেন। আসলে পরীক্ষার সময় ও লগ্ন পড়েছিল প্রায় একই সময়ে। তাই দুটি দিকেই ব্যালান্স করে রাখলেন তিনি। অনেকেই তাঁকে অনুপ্রেরণা হিসেবে তুলে ধরলেন। সব থেকে অবাক করার ব্যাপার, শিবাঙ্গীর বর হবু বউকে পরীক্ষা দিতে উত্সাহ দিয়েছিলেন। এমনকী তিনিও কলেজ পর্যন্ত শিবাঙ্গীকে পৌঁছে দিতে আসেন।
পরীক্ষার পর শিবাঙ্গী বলছিলেন, ''আসলে আমার বিয়ের দিন যখন ঠিক হয় তখন পরীক্ষার ডেট জানানো হয়নি। এর পর বিয়ের সব প্রস্তুতি শুরু হলে পরীক্ষার দিন জানতে পারি। কিন্তু তখন বিয়ের দিন বদলানো কঠিন কাজ ছিল। ফলে বাবা মা ও হবু শ্বসুর-শ্বাশুড়িকে ব্যাপারটা জানাই। দুই বাড়ির মতে বিয়ের লগ্ন কিছুটা পিছিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়। ফলে আমি পরীক্ষা দিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে পারি। পড়াশোনার কোনও বিকল্প নেই। আর আমি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম।'' বলে রাখা ভাল, শিবাঙ্গী কিন্তু সময়মতো বিয়ের মণ্ডপেও পৌঁছে গিয়েছিলেন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।