#নারায়নগঞ্জ: বাঙালির কাছে এ দিনের রুটিনটা বছরের আর পাঁচটা দিনের থেকে এক্কেবারে আলাদা ৷ যদিও গত দু'বছর করোনার জন্য এই দিনে সেভাবে আনন্দে মেতেউঠতে পারেননি মানুষ। কিন্তু এ বছর করোনা অনেকটাই হালকা।তাই খুশিতে মেতে উঠেছেন মানুষ। সকলেই চাইছেন জীবনটা যেন এ বছরে একটু ভাল হয়। পয়লা বৈশাখের সকাল থেকেই শুরু নানা কিছু। নতুন জামার গন্ধ। কষা মাংসের সঙ্গে ভাত, মাছের নানা পদ। সে সব মিলিয়ে এ দিন যেন বাঙালির একান্ত নিজের দিন।
এখন অবশ্য পয়লা বৈশাখ একটু বদলেছে। আগে নানা জায়গায় জলসার আসর বসাতেন বাঙালিরা। আজকাল বন্ধু বান্ধবকে নিয়ে টুক করে একটা রেস্তোরাঁতে গিয়ে আড্ডা। বাড়িতেই বন্ধুদের আগমন। সব মিলিয়ে বেশ একটা মজার ব্যাপার। তবে শুধু এপার বাংলা নয়, ওপার বাংলার মানুষও কিন্তু এই দিন মেতে ওঠেন আনন্দে।
বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামে পয়লা বৈশাখ উপলক্ষ্যে অন্য ভাবে মেতে ওঠে এখনও ৷ বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে৷ পয়লা বৈশাখকে কেন্দ্র করে তো কত ধরনের মেলাই না বসে ৷ তবে সোনারগাঁওয়ের মেলা এক্কেবারে ভিন্ন৷ মেলার নামের মধ্যেই রয়েছে বৈচিত্র্যের ইঙ্গিত৷ নাম ‘বউমেলা’৷
চারশো বছরের পুরনো একটি বটগাছ কেন্দ্র করে যুগ যুগ ধরে পালিত হচ্ছে এ বউ মেলা। বৈশাখ মাসের দ্বিতীয় দিন থেকে পাঁচদিনব্যাপী এই মেলা শুরু হয়। বটগাছের নীচে সিদ্ধেশ্বরী দেবীর পুজো দিয়ে শুরু হয় মেলা ৷ পুজোতে মূলত অংশ নেন মহিলারাই ৷ পুরুষরাও অংশ নেন, তবে সংখ্যায় কম ৷ লোক মুখে প্রচার, স্বামীর সোহাগিনী হতেই হিন্দু রমনীরা ছুটে আসেন এই পুজোয়। মনস্কামনা পূর্ণ করতে বিবাহিত মহিলাদের ভিড় জমে যায় ৷ আর সেই কারণেই এই মেলা নাম ‘বউমেলা’ ৷
রেকাবি ভরা বৈশাখী ফলের ভোগ নিয়ে দলে দলে হিন্দু নারীরা হাজির হন বউ মেলায়। দেবতার সন্তুষ্টির জন্য এখানে আগে বলি দেওয়া হত৷ তবে এখন সেই প্রথা বিলুপ্ত ৷ বরং শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিতে ওড়ানো হয় পায়রা ৷ শোনা যায়, স্বামী সংসারের বাঁধন যেন অটুট থাকে সারা বছর সুখ শান্তিতে যেন কাটে দাম্পত্য জীবন এই কামনাতেই পুজোর আয়োজন করে হিন্দু নারীরা।আর এই পুজোকে কেন্দ্র করেই বটবৃক্ষের পাশের মাঠে বসে বিরাট মেলা ৷ স্থানীয় মানুষজনের পাশাপাশি অন্যান্য জেলার মানুষও জড়ো হন এই মেলায়৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bou mela, Poila Baisakh 2022