৩ হাজার টাকায় ‘নমো কুলার’, বিদ্যুৎ ছাড়াই ঘর থাকবে ঠান্ডা, আরামসে চলবে ১৫ বছর

Last Updated:

মধ্যপ্রদেশের সাগরের ডক্টর অজয় কুমার মিশ্র এই কুলার তৈরি করেছেন। নাম দিয়েছেন ‘নমো কুলার’।

৩ হাজার টাকায় ‘নমো কুলার’, বিদ্যুৎ ছাড়াই ঘর থাকবে ঠান্ডা, আরামসে চলবে ১৫ বছর
৩ হাজার টাকায় ‘নমো কুলার’, বিদ্যুৎ ছাড়াই ঘর থাকবে ঠান্ডা, আরামসে চলবে ১৫ বছর
সাগর, মধ্য প্রদেশ: গরমে ঝলসে যাচ্ছে গোটা দেশ। তারওপর মাঝে মধ্যেই কারেন্ট অফ। কুলার, এসি-ও বন্ধ। সব মিলিয়ে নাজেহাল দশা। এই সমস্যার চমৎকার সমাধান খুঁজে বের করেছেন সাগরের এক ব্যক্তি। তিনি এমন একটা কুলার তৈরি করেছেন যা বিদ্যুৎ ছাড়াই দিনরাত ঘর ঠান্ডা রাখবে। এটা ইনভার্টারে চলে।
মধ্যপ্রদেশের সাগরের ডক্টর অজয় কুমার মিশ্র এই কুলার তৈরি করেছেন। নাম দিয়েছেন ‘নমো কুলার’। তিনি বলছেন, খুব সহজেই এই কুলার বাড়িতে ইনস্টল করা যায়। বিদ্যুৎ ছাড়াই চলবে। আগামী ১৫ বছর কোনও ঝঞ্ঝাট পোহাতে হবে না। তিনি বলছেন, এই কুলারের দুটি বড় সুবিধা রয়েছে। প্রথমত, কার্বণ নিঃসরণ হয় না। দ্বিতীয়ত, ধুলো বালি ঘরের ভিতরে ঢুকতে পারবে না। বলে রাখা ভাল, ড. অজয় শঙ্কর মিশ্র সাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক।
advertisement
advertisement
বর্তমানে অটো পার্টসের দোকান চালান অজয়বাবু। তিনি জানান, শহরের বাইরে দোকান। এক প্রকার গ্রামেই বলা যায়। মাঝে মধ্যেই কারেন্ট চলে যায়। এসি, ফ্যান সব বন্ধ। হু হু করে আর্দ্রতা বাড়তে থাকে। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিতেই তৈরি হয়েছে নমো কুলার। বিদ্যুৎ ছাড়াই ঘরকে ঠান্ডা রাখবে। তবে বিদ্যুতের সুবিধাও নেওয়া যায়।
advertisement
এভাবে তৈরি হল কুলার: অজয়বাবু বলেন, “দোকানের দরজায় ৬ বাই ২ হানিকম্ব পলিকার্বোনেট শিট ইনস্টল করেছি। এর জন্য অ্যালুমিনিয়ামের জাল এবং কার্ডবোর্ডও লাগাতে হয়েছে। হানিকোম্ব শিটের উপর আধ ইঞ্চির প্লাস্টিকের পাইপ রয়েছে। বালতিতে জল থাকে। ১৫ ওয়াটের জলের পাম্প সেখান থেকে জল তোলে। নিচে একটা ট্রেও রাখা হয়েছে, যাতে জলের সঞ্চালন সমান থাকে। বাইরের বাতাস যখন এই জলের মধ্যে দিয়ে যায় তখন সারা ঘর ঠান্ডা হয়ে যায়।
advertisement
অনেকক্ষণ বিদ্যুৎ না থাকলে কাপড় ভিজিয়ে হানিকম্বের উপর রাখলেও বাতাস ঠান্ডা হবে। বালতিতে রাখা পাম্প এবং শিটের সামনে রাখা এক্সজস্ট ফ্যান ইনভার্টারের সঙ্গে জুড়ে দিলে কারেন্ট অফ থাকলেও কুলার চলবে। জাল দিয়ে আসা বাতাস ঘরকে শীতল করে রাখবে।
advertisement
তিনি জানান, হলের আয়তন ৮,০০০ বর্গফুট। তিন-চারজন কর্মচারী কাজ করেন। এই বাতাস যাতে ঘরের ভিতর পর্যন্ত পৌঁছতে পারে, তার জন্য একজস্টও রাখা হয়েছে। এই কুলার তৈরি করতে ৩ হাজার টাকা খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
৩ হাজার টাকায় ‘নমো কুলার’, বিদ্যুৎ ছাড়াই ঘর থাকবে ঠান্ডা, আরামসে চলবে ১৫ বছর
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement