প্রতি ঘণ্টায় ১২,১৪৪ কিমি গতিসম্পন্ন এ যেন এক জলজ্যান্ত ‘মহাপ্রলয়’! চমকে গিয়েছেন সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরাও
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
LRAShM: ভারতীয় বিজ্ঞানীরা এমনই কিছু করেছেন। আর ভারতীয় বিজ্ঞানীদের এই উদ্ভাবন দেখে চিন এবং আমেরিকা-সহ বিশ্বের সমস্ত দেশের বিজ্ঞানীরা আশ্চর্য হয়েছেন।
নয়াদিল্লি: আমরা পুরাণে যেসব লেখা পড়ি, তা আজকালকার আধুনিক বিশ্বে বিশ্বাস করা বেশ কঠিন। কিন্তু পুরাণে উল্লিখিত কিছু বিষয় আজ সত্য বলে প্রমাণিত হচ্ছে। আসলে বর্তমানে সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা এমন জিনিস তৈরি করছে, তা সত্যিই অকল্পনীয়। রামায়ণ-মহাভারতের দৃষ্টান্তই দেখা যাক। ব্রহ্মাস্ত্র, মায়াবী দৈত্য এবং চোখের পলকে এক দুনিয়া থেকে অন্য দুনিয়ায় পৌঁছনোর বিষয়ে আমরা তো সকলেই শুনেছি। এই বিষয়গুলি আজও বিজ্ঞানের পরীক্ষার সামনে দাঁড়ায় না, কিন্তু এর মতো অনেক ঘটনা এখন ঘটতে শুরু করেছে। তা-ও বিজ্ঞানের সাহায্যে।
ভারতীয় বিজ্ঞানীরা এমনই কিছু করেছেন। আর ভারতীয় বিজ্ঞানীদের এই উদ্ভাবন দেখে চিন এবং আমেরিকা-সহ বিশ্বের সমস্ত দেশের বিজ্ঞানীরা আশ্চর্য হয়েছেন। মনে করা হচ্ছে যে, রামায়ণ এবং মহাভারতের বিষয়গুলিই এখন প্রমাণিত হচ্ছে। আসলে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা একটি ব্রহ্মাস্ত্র তৈরি করেছেন। যার গতি প্রতি ঘণ্টায় ১০০, ২০০, ৫০০ কিংবা ১০০০ কিলোমিটার নয়। বরং এর গতি ঘণ্টা প্রতি ১২,১৪৪ কিলোমিটার। এর অর্থ হল, মাত্র ১ ঘণ্টার মধ্যে নয়াদিল্লি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে পৌঁছে যেতে পারবেন মানুষ।
advertisement
advertisement
LRAShM: এই ব্রহ্মাস্ত্রের নাম হল লং রেঞ্জ অ্যান্টি শিপ মিসাইল (LRAShM)। এটা আসলে একটা হাইপারসনিক গ্লাইড হাতিয়ার। এটি তৈরি করেছে ডিআরডিও। গত বছর ১৬ নভেম্বর ওড়িশা উপকূলে অবস্থিত ড. এপিজে আবদুল কালাম আইল্যান্ডে এর সফল পরীক্ষানিরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এর রেঞ্জ প্রায় ১৫০০ কিলোমিটার। এর অর্থ হল, ভারতীয় উপকূল থেকে ১৫০০ কিলোমিটার দূরত্বে যদি শত্রুপক্ষের কোনও শত্রু জাহাজ বা যুদ্ধজাহাজ দেখা যায়, তাহলে এই মিসাইল বা ক্ষেপণাস্ত্রটি মাত্র ৭-৮ মিনিটে তা ধ্বংস করে দিতে পারে। এটি স্থল এবং জল উভয় জায়গা থেকেই উৎক্ষেপণ করা যাবে।
advertisement
চিন এবং আমেরিকা কোথায়? এখন অনেকেই ভাববেন যে, ভারতীয় বিজ্ঞানীরা তো এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। অথচ চিন এবং আমেরিকার মতো বর্তমানে বিশ্বের সুপারপাওয়ার কি এই দিশায় কোনও কাজ করেনি। এটা নিয়ে কাজ করেছে তারা এবং তাদের রয়েছে এমন হাতিয়ার। কিন্তু সবথেকে বড় বিষয় হল, LRASh-এর মাধ্যমে স্ক্র্যামজেট এবং গ্লাইড টেকনোলজির দুর্দান্ত দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ভারত। আগুনের গোলা হতে এর এক সেকেন্ডও সময় লাগবে না। সেই সঙ্গে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি মাত্র ১ সেকেন্ডের মধ্যে ৩.৩৭ কিলোমিটার দূরত্ব কভার করে।
advertisement
এই সফল উৎক্ষেপণ ভারতীয় নৌ-বাহিনীকে বড়সড় শক্তি দিয়েছে। ফলে তা চিনের প্রভাবের সঙ্গে সহজেই লড়াই করতে পারবে। হাইপারসনিক স্পিড মিসাইলের সাহায্যে কয়েক মিনিটের মধ্যে শত্রু জাহাজ কিংবা যুদ্ধজাহাজকেও ধ্বংস করে দিতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে, পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে কোনও যুদ্ধজাহাজ যদি ভারতকে নিশানা করে, তাহলে মুম্বই উপকূল থেকে সেগুলি মাত্র ৪-৫ মিনিটের মধ্যে ধ্বংস করে দিতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র।
advertisement
চিন-পাকিস্তানের উৎপাত: সাগরে দুটি দেশের থেকে চ্যালেঞ্জ আসে ভারতের দিকে। আর সেই দুটি দেশ হল – চিন এবং পাকিস্তান। চিনের রয়েছে একই ক্ষেপণাস্ত্র DF-17। এর গতি ১০-১২ ম্যাক। তারা দাবি করেছে যে, চলতি বছর এই ধরনের আরও একটি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা হবে। আর এই দুই ক্ষেপণাস্ত্রের রেঞ্জ হবে ১০০০ কিলোমিটার। যেখানে ভারতের LRAShM-এর রেঞ্জ ১৫০০ কিলোমিটার। কিছু বিশেষজ্ঞ বলেন যে, যদিও ভারত এর রেঞ্জ ১৫০০ কিলোমিটার বলে জানিয়েছে। তবে এর আসল রেঞ্জ কিন্তু আরও অনেকটাই বেশি হতে পারে।
Location :
Delhi
First Published :
March 07, 2025 11:19 AM IST
বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
প্রতি ঘণ্টায় ১২,১৪৪ কিমি গতিসম্পন্ন এ যেন এক জলজ্যান্ত ‘মহাপ্রলয়’! চমকে গিয়েছেন সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরাও