বিষ্ণুর এই অবতার কীভাবে রক্ষা করেন আপনাকে, জেনে নিন . . .
Last Updated:
নৃসিংহদেবের এই মূর্তি বাড়িতে থাকলে রক্ষা কবচ হিসেবে কাজ করে ৷
#কলকাতা: ভগবান বিষ্ণুর দশ অবতার মৎস, কূর্ম, বরাহ, রাম, বলোরাম, পরশুরাম, নৃসিংহ, বুদ্ধ, বামণ ও কল্কি ৷ ভগবান স্বয়ং বলেছিলেন যখন যখন ধর্মে গ্লানি দেখা দেবে তিনি তখনই আসবেন ৷ মুক্তি দেবেন মানুষকে, মুক্ত হবে সবাই ৷ ভগবান বিষ্ণুর অষ্টম অবতার নৃসিংহদেব ৷ এই অবতার বিষ্ণু পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন দুষ্টের দমন ও সৃষ্টের পালন করতে ৷
ভগবান বিষ্ণু এই অবতারে মু্ক্তি দিয়েছিলেন হিরণ্যকোশিকে ৷ হিরণ্যকোশির ছেলে পহ্লাদ প্রবল ধর্মপ্রাণ ছিলেন ৷ অন্যদিকে হিরণ্যকোশি ছিলেন অত্যচারী, প্রহ্লাদ তাঁর বাবার অত্যচারী মনোভাবকে কখনও সমর্থন করেননি ৷ এমন কী বাবাকে সর্বশ্রেষ্ঠ মানতেন না তিনি বা ঈশ্বর বলে মানতেন না ৷ তাঁর বাবা ছিলেন একজন অত্যচারী ৷ ছেলে তাঁকে ঈশ্বর না মানায় তাণ্ডব শুরু করে দিয়েছিল হিরণ্যকোশি প্রাণে মারতে চেয়েছিল প্রহ্লাদকে ৷
advertisement
advertisement
এদিকে হিরণ্যকোশি মহাদেবকে সন্তুষ্ট করে অমরত্ব লাভ করেছিল ৷ তবে কোনও ত্রিলোকে তাকে কেউ মারতে পারবে না ৷ অমরত্ব লাভ করে হিরণ্যকোশি তাণ্ডব শুরু করেছিল প্রবল অত্যচারে যখন সবাই অত্যাচারিত দেবাদিদেব বিষ্ণুকে নির্দেশ দিয়েছিলেন হিরণ্যকোশিকে বধ করার ৷ তবে হিরণ্যকোশিকে বধ করা সহজ ছিলনা ৷ তার কাছে বর ছিল ত্রিলোকে কেউই তাঁকে মারতে পারবে না ৷ সেই কারণে নৃসিংহদেবকে পাঠানো হিরণ্যকোশিকে বধ করে পৃথিবীকে তার অত্যাচার থেকে মুক্ত করতে ৷
advertisement
হিরণ্যকোশিকে বধ করা সহজসাধ্য ব্যাপার ছিলনা ৷ হিরণ্যকোশির রক্ত যদি মাটিতে পড়লে সেখান থেকে হাজার হাজার হিরণ্যকোশির জন্ম নেবে ৷ তাই বিষ্ণুর নৃসিংহদেব অবতারে বধ করেন হিরণ্যকোশিকে ৷ নখ দিযে বুর চিড়ে দিয়েছিলেন হিরণ্যকোশির ক অন্যরকম ভঙ্গিতে যাতে তার এক ফোঁটাও রক্ত না পড়ে মাটিতে ৷ তাই এই ভাবেই বধ করা হয়েছিল অত্যচারীকে ৷
advertisement
এছাড়াও নৃসিংহদেবের এই মূর্তি বাড়িতে থাকলে রক্ষা কবচ হিসেবে কাজ করে ৷ বিশেষত যাঁরা একা থাকেন তাঁদের কাছে এই মূর্তি বা ছবি থাকে তিনি বিশেষ সুরক্ষিত থাকেন ৷ মনের জোর হয়ে যায় দ্বিগুণ ৷
Location :
First Published :
August 05, 2018 7:56 PM IST