নিজের মানস কন্যা মনসাকে দেখে কামাতুর হয়েছিলেন স্বয়ং শিবও

Last Updated:

আষাঢ় মাসের পূর্ণিমার পর যে পঞ্চমী তিথি (শ্রাবণ)তাকে নাগপঞ্চমী বলে। নাগপঞ্চমীতে উঠানে সিজগাছ স্থাপন করে মনসা পূজা করা হয়।

#কলকাতা: শিবের কন্যা তিনি ৷ অথচ তাঁকে দেখে কামাতুর হয়েছিলেন পিতা ৷ মনসার জন্ম রহস্যের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে এমনই বেশ কিছু কাহিনী৷ আজ সর্পদেবী মনসার পুজো ৷ চলুন জেনে নেওয়া যাক কে এই মা মনসা--
আষাঢ় মাসের পূর্ণিমার পর যে পঞ্চমী তিথি (শ্রাবণ)তাকে নাগপঞ্চমী বলে। নাগপঞ্চমীতে উঠানে সিজগাছ স্থাপন করে মনসা পূজা করা হয়। ভাদ্রমাসের কৃষ্ণা পঞ্চমী তিথি পর্যন্ত পুজো করা যায় ৷ এক মাস যাবৎ এই পুজো করে পুজোর শেষে বিশেষভাবে পুজো করা হয় ৷ অনেক সময় শেষ দিনে পুরোহিত ডেকে ঘটা করে মনসা পুজো করা হয় ৷
advertisement
মনসাবিজয় কাব্য বলে, বাসুকীর মা একটি ছোটো মেয়ের মূর্তি তৈরি করেছিলেন ৷ সেই মূর্তির উপর শিবের বীর্য পড়লে তা থেকে মনসার জন্ম হয় ৷ বাসুকী তাঁকে নিজের ভগিনীরূপে গ্রহণ করেন ৷ পরে শিব যখন মনসাকে দেখে কামাতুর হয়ে পড়েন তখন মনসা তাঁকে বুঝিয়ে বলেন, তিনি আসলে শিবেরই কন্যা ৷ সে কথা জানতে পেরে শিব মনসা কৈলাসে নিয়ে আসেন ৷ কিন্তু মনসাকে দেখে রেগে যান শিবের পত্নী পার্বতী (চণ্ডী) ৷ মনসাকে শিবের উপপত্নী বলে ভুল করেন চণ্ডী ৷ ক্রোধান্বিত হয়ে মনসার একটি চোখ নষ্ট করে দেন তিনি ৷ সেই থেকেই মনসা কানা ৷
advertisement
advertisement
Manasa
আবার এই চণ্ডীর রাগেই নষ্ট হয়েছিল মনসার ফুলশয্যাও ৷ জরৎকারুর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মনসার ৷ কিন্তু চণ্ডী মনসাকে উপদেশ দিয়েছিলেন সাপের অলঙ্কার পরতে ৷ যা দেখে ভয়ে পালিয়ে যান জরৎকারু ৷ পরে অবশ্য ফিরে এসেছিলেন তিনি ৷ এরপরেই মনসার পুত্র আস্তিকের জন্ম হয় ৷ ছোট থেকেই মনসা কোনওদিনও নিজের স্বীকৃতি পাননি ৷ সবটাই তাঁকে লড়াই করে আদায় করতে হয়েছে ৷ তাই সে ছোট থেকেই রাগী, ক্ষুব্ধ, বেদমেজাজী ৷
advertisement
মনসা কানা হওয়ায় তাঁকে কেউ পুজো করে না ৷ তাই পুজো নিতে সহচরী নেতাকে নিয়ে মর্ত্যলোকে আবির্ভূত হন মনসা ৷ তাঁর ক্রোধকে সম্বরণ করতে অনেকেই তাঁর পুজো করতে শুরু করেন ৷ তাছাড়া সে সময় সাপের ভয়ও ছিল গ্রামে গঞ্জে ৷ সাপের কামড়ের থেকে বাঁচতে এই পথই বেছে নিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ ৷ কিন্তু মুশকিল হল চাঁজদ সদাগরকে নিয়ে ৷ সে যুগে চাঁদ বড় ব্যবসায়ী ৷ সে মনসার পুজো করলে দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়বে দেবীর পুজো ৷ কিন্তু শিবের ভক্ত চাঁদ কিছুতেই কানি মনসার পুজো করতে রাজি নয় ৷ শেষ পর্যন্ত লখিন্দরের প্রাণ ফিরিয়ে এনে বেহুলা চাঁদকে রাজি করান মনসার পুজো দিতে ৷ তখন বাম হাতে, মুখ ঘুরিয়ে মনসার পুজো দেন চাঁদ সদাগর ৷ এরপর থেকেই ঘরে ঘরে প্রচলিত হয় মনসা পুজো ৷
বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
নিজের মানস কন্যা মনসাকে দেখে কামাতুর হয়েছিলেন স্বয়ং শিবও
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement