‘জানেন, আমার বাবা কে?’ ট্র্যাফিক পুলিশ ধরতেই ফুঁসে উঠল সিআইডি ইন্সপেক্টরের ছেলে, তারপর যা হল…
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending desk
Last Updated:
Kaithal Traffic Police: ট্র্যাফিক পুলিশ ধরতেই ফুঁসে ওঠেন তরুণ। তৎক্ষণাৎ সিআইডি-এর সাব ইনস্পেক্টর বাবাকে ফোন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি চলেও আসেন। তারপর ধুন্ধুমার।
গুরুগ্রাম, হরিয়াণা: “জানেন, আমার বাবা কে?” ট্র্যাফিক পুলিশ ধরতেই ফুঁসে ওঠেন তরুণ। তৎক্ষণাৎ সিআইডি-এর সাব ইনস্পেক্টর বাবাকে ফোন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি চলেও আসেন। তারপর ধুন্ধুমার। ট্র্যাফিক পুলিশ আর সিআইডি মুখোমুখি। হরিয়ানার কাইথালের এই ঘটনাই এখন ভাইরাল।
স্করপিও চালিয়ে যাচ্ছিলেন সিআইডি সাব ইন্সপেক্টর গুরদয়াল সিংয়ের ছেলে। গাড়ির কাচে কালো ফিল্ম লাগানো। মোটর ভেহিক্যাল অ্যাক্ট অনুযায়ী যা বেআইনি। পথ আটকান ট্র্যাফিক এসএইচও রাজকুমার রানা। জানান, জরিমানা দিতে হবে। ১৭ হাজার টাকার চালান কাটেন। অভিযোগ, তখনই সিআইডি ইনস্পেক্টরের তরুণ পুত্র রীতিমতো হুমকির সুরে বলেন, “জানেন, আমার বাবা কে?”
advertisement
advertisement
এরপরই সোজা বাবাকে ফোন। সিআইডি সাব ইন্সপেক্টরের ছেলের গাড়ি আটকাবে সামান্য ট্র্যাফিক পুলিশ, ভাবটা এমনই। ছেলের ফোন পেয়ে অকুস্থলে চলে আসেন গুরুদয়াল সিং। এসেই হম্বিতম্বি শুরু, “সাহস থাকলে আমার ছেলের গাড়ির চালান কেটে দেখান।” শান্তভাবে সিআইডি ইন্সপেক্টরের সব কথা শোনেন ট্র্যাফিক এসএইচও রাজকুমার রানা। ছেলের ভুলটা বোঝানোর চেষ্টা করেন। বলেন, “আইন সবার জন্য সমান।” কিন্তু ভবি ভোলার নয়।
advertisement

রাজকুমার রানা
তাঁর ছেলে কোনও অন্যায় করেনি, তাই চালান কাটা যাবে না, বলে চলে যান গুরুদয়াল সিং। অভিযোগ এমনই। ততক্ষণে রীতিমতো লোক জড়ো হয়ে গিয়েছে। উৎসুক মুখে সবাই দেখছে কে জেতে? এই পরিস্থিতিতে ট্র্যাফিক এসএইচও ফোনে পুরো ঘটনা জানিয়ে রাখেন কাইথালের এসপি রাজেশ কালিয়াকে। বলেন, সিআইডির সাব-ইন্সপেক্টর ঘটনাস্থলে এসে হুমকি দিয়ে চলে গিয়েছেন। এখনও তিনি বারবার ফোন করছেন।
advertisement
এদিকে ট্র্যাফিক এসএইচও অনড়। চালান তিনি কাটবেন। সিআইডি সাব ইন্সপেক্টরের ছেলেকে তিনি স্পষ্ট বলে দেন, “আইন সবার জন্য সমান। সে পুলিশ কর্মচারীর ছেলে হোক কিংবা সাধারণ নাগরিক। সবাইকে ট্র্যাফিক আইন মানতে হবে।”
advertisement
সিআইডি সাব-ইন্সপেক্টর গুরদয়াল সিংয়ের ছেলে বলেন, “অন্যায়ভাবে ১৭ হাজার টাকার চালান কাটা হয়েছে।” তাঁর দাবি, গাড়ির কাচে মাত্র ৩০ শতাংশ ফিল্ম লাগানো ছিল। আর তিনি কোনও ট্র্যাফিক সিগন্যালও ভাঙেননি। অথচ পুলিশ কালো ফিল্ম লাগানোর জন্য ১০ হাজার টাকা আর সিগন্যাল ভাঙার জন্য ৭ হাজার টাকার চালান কেটেছে।
পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, পুরো সম্মানের সঙ্গে তিনি ট্র্যাফিক পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু ট্র্যাফিক পুলিশের এমন বাড়াবাড়ি করা ঠিক হয়নি। একই সঙ্গে তাঁর সিআইডি সাব ইন্সপেক্টর বাবা ট্র্যাফিক এসএইচও রাজকুমার রানাকে কোনও ধরণের হুমকি দেননি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
Location :
Haryana
First Published :
November 30, 2024 11:06 AM IST
বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
‘জানেন, আমার বাবা কে?’ ট্র্যাফিক পুলিশ ধরতেই ফুঁসে উঠল সিআইডি ইন্সপেক্টরের ছেলে, তারপর যা হল…