২০ বছর আগে রুটি-রুজির টানে সৌদি আরবে পাড়ি যুবকের, একবারও দেশে ফেরেননি, এর মধ্যেই এল এই খবর!
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Jhunjhunu News : কাজের জন্য শেখাবাটির অধিকাংশ যুবকই মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে গিয়েছেন। ফিরবেন সেই বৃদ্ধ হয়ে। হ্যাঁ, এটাই সত্যি। ১০ ফুট বাই ২০০ ফুটের একটা ঘরে থাকা। অনেক সময় তাও জোটে না। অকথ্য অত্যাচার, দুর্ব্যবহারও সহ্য করতে হয়।
কৃষ্ণ সিং শেখাওয়াত, ঝুনঝুনু: রুটি-রুজির টানে অনেকেই ভিন দেশে পাড়ি জমান। কোনও রকমে একটা কাজ জুটিয়ে নেন। তারপর সেখানেই থাকতে শুরু করেন। মাসে মাসে টাকা পাঠান দেশের বাড়িতে। সংসার চলে। এ এক করুণ জীবন।
কাজের জন্য শেখাবাটির অধিকাংশ যুবকই মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে গিয়েছেন। ফিরবেন সেই বৃদ্ধ হয়ে। হ্যাঁ, এটাই সত্যি। ১০ ফুট বাই ২০০ ফুটের একটা ঘরে থাকা। অনেক সময় তাও জোটে না। অকথ্য অত্যাচার, দুর্ব্যবহারও সহ্য করতে হয়।
advertisement
advertisement
শুধু তাই নয়। মৃত্যু হলে মরদেহ ফিরিয়ে আনতেও মাসের পর মাস লেগে যায়। এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে। এবার ফের ঘটল। রাজস্থানের ঝুনঝুন জেলার বিশানপুরের এক ব্যক্তি ২০ বছর আগে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন। মাঝে একবারও দেশে ফেরেননি। এখন সেখানেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। মৃত ব্যক্তির পরিবার আর্থিকভাবে দুর্বল। মরদেহ সৌদি আরব থেকে ভারতে আনার অনেক খরচ। তাঁদের পক্ষে সেই ব্যয়ভার মেটানো সম্ভব নয়। তবে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন তাঁরা। ঘরের ছেলেকে যেভাবে হোক ফিরিয়ে আনবেনই।
advertisement
সবচেয়ে করুন বিষয় হল, মৃত ব্যক্তির স্ত্রী এখনও জানেন না, স্বামী আর বেঁচে নেই। ২০ বছর ধরে স্বামীর ফেরার অপেক্ষা করছেন। সন্তানদেরও বলেন, “কোনও চিন্তা নেই, বাবা একদিন ফিরবে।” বাড়ির লোকজন তাঁকে আর মুখ ফুটে মৃত্যুর খবর জানাতে পারেনি। শুধু বলেছে, স্বামী অসুস্থ, গুরুতর অসুস্থ।
advertisement
মৃতের নাম রাজেন্দ্র নায়ক। ২৫ জানুয়ারি সৌদি আরবের একটি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। আপাতত মর্গে রয়েছে দেহ। গ্রামে মৃতদেহ ফেরাতে ৩ লাখ টাকার প্রয়োজন। কোথা থেকে জোগাড় হবে এত টাকা?
পরিবারের কাতর আবেদন, “কেউ কী আমাদের পাশে দাঁড়াবেন? অন্তত মৃতদেহটা যেন গ্রামে ফেরানো যায়।” ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে মৃতের পরিবার। রাজেন্দ্রকে একবার শেষ দেখা দেখতে চান তাঁরা।
advertisement
গ্রামের প্রধান সুনীল বিজারণিয়া জানিয়েছেন, এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সাহায্যে বিদেশ মন্ত্রকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। গ্রামের মানুষ একজোট হয়ে কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, যেভাবেই হোক মৃতদেহ গ্রামে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হোক।
রাজেন্দ্রর ভাই সঞ্চয় কুমার জানিয়েছেন, পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ। সেই জন্যই সৌদি আরবে কাজে গিয়েছিলেন রাজেন্দ্র। কিন্তু তাতেও অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। রাজেন্দ্রর স্ত্রী এবং তিন সন্তান এখনও তাঁর মৃত্যুর খবর জানেন না। সবাই আশায় রয়েছেন, তিনি বাড়ি ফিরবেন।
Location :
Jhunjhunu,Rajasthan
First Published :
February 17, 2025 12:39 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
২০ বছর আগে রুটি-রুজির টানে সৌদি আরবে পাড়ি যুবকের, একবারও দেশে ফেরেননি, এর মধ্যেই এল এই খবর!