Ghol Fish: মাছ তো নয়, যেন সমুদ্রের সোনা! বিরল প্রজাতির এই মাছই এখন জিতে নিয়েছে গুজরাতের ‘রাজ্য মাছ’-এর তকমা
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending desk
Last Updated:
Ghol-The State Fish Of Gujarat: দেশের পশুপালন, দুগ্ধ ও মৎস্য প্রতিমন্ত্রী পরষোত্তম রুপালা সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন যে, গুজরাত সরকার ঘোল-কে রাজ্য মাছ হিসেবে ঘোষণা করে দিয়েছে। আর এর ফলে এই মাছ সংরক্ষণ এবং সচেতনতা তৈরির প্রচেষ্টা আরও বেড়ে যাবে।
আহমেদাবাদ: সম্প্রতি বিরল এবং মূল্যবান ঘোল মাছকে গুজরাতের রাজ্য মাছ বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল। আহমেদাবাদে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী গ্লোবাল ফিশারিজ কনফারেন্স ইন্ডিয়া ২০২৩-এর মঞ্চেই এই ঘোষণা করলেন তিনি। দেশের পশুপালন, দুগ্ধ ও মৎস্য প্রতিমন্ত্রী পরষোত্তম রুপালা সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন যে, গুজরাত সরকার ঘোল-কে রাজ্য মাছ হিসেবে ঘোষণা করে দিয়েছে। আর এর ফলে এই মাছ সংরক্ষণ এবং সচেতনতা তৈরির প্রচেষ্টা আরও বেড়ে যাবে।
কিন্তু এই ঘোল মাছ আসলে কী? ঘোল মাছকে সমুদ্রের সোনা বলেও অভিহিত করা হয়। এর অন্যতম প্রধান কারণ হল, এই মাছের দাম আকাশছোঁয়া। ভারত মহাসাগর এবং প্রশান্ত মহাসাগরে পাওয়া যায় ঘোল মাছ। তবে বাধ সাধছে দূষণ। আর নির্বিচারে মাছ ধরাও আর একটা বড় কারণ। এই দুই কারণে মাছ গভীর সমুদ্রের দিকে ধাবিত হচ্ছে। ফলে ঘোল মাছ ধরা মুশকিল হয়ে উঠছে। তবে এই মাছের পুষ্টিগুণ এবং ঔষধি গুণ অসাধারণ। ফলে ওষুধ তৈরি এবং প্রসাধনী সামগ্রী তৈরির ইন্ডাস্ট্রিতে এই মাছের চাহিদা তুঙ্গে। শুধু তা-ই নয়, ওয়াইন এবং বিয়ার তৈরির ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয় ঘোল মাছ।
advertisement
advertisement
ঘোল মাছের বিজ্ঞানসম্মত নাম ‘Protonibea Diacanthus’। এই মাছের প্রতিটি অংশই ভীষণ ভাবে উপযোগী। অনেকেই হয়তো জানেন না যে, ঘোল মাছ থেকেই তৈরি হয় ডিসলভেবল সার্জারি স্টিচের জন্য ব্যবহৃত সুতো। এখানেই শেষ নয়, এই মাছের পটকা আলাদা করে বিক্রি হয়। যা বিশ্বের বিভিন্ন অংশে ওয়াইন উৎপাদনের জন্য কাজে লাগে।
advertisement

মুম্বই এবং গুজরাতের বহু মৎস্যজীবীই আকাশছোঁয়া দামে এই মাছের দেহের বিভিন্ন অংশ বিক্রি করেন। বাদামি এবং সোনালি রঙের এই মাছের দৈর্ঘ্য হয় প্রায় দেড় মিটার। আর মাছের দৈর্ঘ্য যত বেশি হবে, এর দাম ততই উর্ধ্বমুখী হবে। হিসাব বলছে, একটা গোটা ঘোল মাছের দাম উঠতে পারে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা।
advertisement
২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চন্দ্রকান্ত তারে নামে পালঘরের এক মৎস্যজীবী এবং তাঁর সহযোগী মৎস্যজীবীরা মিলে মাছ ধরতে গিয়ে একবারে ১৫৭টি ঘোল মাছ ধরে এনেছিলেন। আর সেই মাছের দাম উঠেছিল প্রায় ১.৩৩ কোটি টাকা। আর কিনেছিলেন উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের ব্যবসায়ীরা। ফলে সামুদ্রিক সোনা এভাবেই চন্দ্রকান্তের মতো মৎস্যজীবীদের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছিল।
advertisement
ন্যাশনাল ফিশারিজ ডিপার্টমেন্ট বোর্ডের মতে, রাজ্যমৎস্যের তকমা দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য হল, যাতে রাজ্য ওই মাছকে দত্তক নেয় এবং এই জীববৈচিত্র্যকে সংরক্ষণ করে। এখনও পর্যন্ত মোট ২০টি রাজ্য ইতিমধ্যেই নিজেদের রাজ্য মাছ ঘোষণা করেছে। অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলঙ্গানা উভয় রাজ্যই মুরেল মাছকে রাজ্য মাছের তকমা দিয়েছে। আবার হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, অরুণাচলপ্রদেশ এবং জম্মু-কাশ্মীরের মতো রাজ্যগুলিও গোল্ডেন মাহসিরকে রাজ্য মাছ বলে ঘোষণা করেছে। অন্য দিকে, লাক্ষাদ্বীপ বাটারফ্লাই ফিশ-কে রাজ্য মাছ নয়, বরং রাজ্য পশুর তকমা দিয়েছে।
advertisement
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
November 23, 2023 3:38 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
Ghol Fish: মাছ তো নয়, যেন সমুদ্রের সোনা! বিরল প্রজাতির এই মাছই এখন জিতে নিয়েছে গুজরাতের ‘রাজ্য মাছ’-এর তকমা