Sentinelese Tribe of Andamans: বাইরের দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন আদিবাসীদের কাছে পৌঁছনোই ছিল লক্ষ্য; আর জীবন দিয়ে তার মূল্য চোকাতে হয়েছিল জন চাউকে

Last Updated:
John Chau-Sentinelese Tribe of Andamans: শোনা যায়, ওই দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দাদের ধর্মান্তরিত করাই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য। তিনি বিশ্বাস করতেন যে, ঈশ্বরই তাঁকে এই মিশনে পাঠিয়েছেন।
1/7
আজ থেকে কয়েক বছর আগের ঘটনা। যা দেখে শিউরে উঠেছিল গোটা বিশ্ব। ভারত মহাসাগরের নর্থ সেন্টিনেল দ্বীপপুঞ্জে গিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। ২০১৮ সালের ১৭ নভেম্বর শর্টস পরিহিত ওই ব্যক্তির প্রবল চিৎকার শোনা গিয়েছিল। এমনকী প্রাণপণে হাত নাড়াতেও দেখা যায় তাঁকে। আর সেই সময়ই তাঁর দিকে নজর পড়েছিল নর্থ সেন্টিনেল দ্বীপপুঞ্জের এক বাসিন্দার। তিনি সাবধান করে ওই আগন্তুককে ফিরে যেতেও বলেছিলেন।
আজ থেকে কয়েক বছর আগের ঘটনা। যা দেখে শিউরে উঠেছিল গোটা বিশ্ব। ভারত মহাসাগরের নর্থ সেন্টিনেল দ্বীপপুঞ্জে গিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। ২০১৮ সালের ১৭ নভেম্বর শর্টস পরিহিত ওই ব্যক্তির প্রবল চিৎকার শোনা গিয়েছিল। এমনকী প্রাণপণে হাত নাড়াতেও দেখা যায় তাঁকে। আর সেই সময়ই তাঁর দিকে নজর পড়েছিল নর্থ সেন্টিনেল দ্বীপপুঞ্জের এক বাসিন্দার। তিনি সাবধান করে ওই আগন্তুককে ফিরে যেতেও বলেছিলেন।
advertisement
2/7
কিন্তু আগন্তুক সেটা শোনেননি। বরং আরও কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। এরপরেই দ্বীপপুঞ্জের বসবাসকারী ওই ব্যক্তি তির-ধনুক তাক করেন। আগন্তুক আরও কাছে অগ্রসর হলে সেই তির ছুড়ে দেন। আর ওই বিষাক্ত তিরের আঘাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন সেই আগন্তুক। আসলে ওই ব্যক্তি আর কেউ নন, তিনি হলেন আমেরিকান ইভাঞ্জেলিক্যাল খ্রিস্টান মিশনারি ২৬ বছর বয়সী জন অ্যালেন চাউ।
কিন্তু আগন্তুক সেটা শোনেননি। বরং আরও কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। এরপরেই দ্বীপপুঞ্জের বসবাসকারী ওই ব্যক্তি তির-ধনুক তাক করেন। আগন্তুক আরও কাছে অগ্রসর হলে সেই তির ছুড়ে দেন। আর ওই বিষাক্ত তিরের আঘাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন সেই আগন্তুক। আসলে ওই ব্যক্তি আর কেউ নন, তিনি হলেন আমেরিকান ইভাঞ্জেলিক্যাল খ্রিস্টান মিশনারি ২৬ বছর বয়সী জন অ্যালেন চাউ।
advertisement
3/7
শোনা যায়, ওই দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দাদের ধর্মান্তরিত করাই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য। তিনি বিশ্বাস করতেন যে, ঈশ্বরই তাঁকে এই মিশনে পাঠিয়েছেন। কারণ নর্থ সেন্টিনেল দ্বীপপুঞ্জে এখনও পর্যন্ত আধুনিক সভ্যতার কোনও রকম ছাপ পড়েনি। এমনকী বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা একেবারেই না-পসন্দ এই দ্বীপপুঞ্জের অধিবাসীদের।শুধু তা-ই নয়, তাঁরা আধুনিক বিশ্বের কাছে এক বিস্ময়ও বটে। কারণ তাঁরা সভ্যতার আলোয় আসতেই চান না।
শোনা যায়, ওই দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দাদের ধর্মান্তরিত করাই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য। তিনি বিশ্বাস করতেন যে, ঈশ্বরই তাঁকে এই মিশনে পাঠিয়েছেন। কারণ নর্থ সেন্টিনেল দ্বীপপুঞ্জে এখনও পর্যন্ত আধুনিক সভ্যতার কোনও রকম ছাপ পড়েনি। এমনকী বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা একেবারেই না-পসন্দ এই দ্বীপপুঞ্জের অধিবাসীদের।শুধু তা-ই নয়, তাঁরা আধুনিক বিশ্বের কাছে এক বিস্ময়ও বটে। কারণ তাঁরা সভ্যতার আলোয় আসতেই চান না।
advertisement
4/7
এখনও ব্যবহার করেন প্রস্তর যুগের সরঞ্জাম এবং কৌশল। আর আন্দামানে নিজেদের প্রত্যন্ত দ্বীপপুঞ্জকে সুরক্ষিত রাখতে তাঁরা সদাতৎপর। আর তার উদাহরণ আমরা আগেও দেখেছি। যেমন - ২০০৪ সালে ঘটে যাওয়া সুনামির পরে যখন পরিদর্শনকারী হেলিকপ্টার ওই এলাকায় গিয়েছিল, তখন সেটিকে নিশানা করেছিলেন তাঁরা। এখানেই শেষ নয়, একবার এক মৎস্যজীবী মাতাল অবস্থায় ভাসতে ভাসতে ওই দ্বীপপুঞ্জের তীরে পৌঁছে গিয়েছিলেন।
এখনও ব্যবহার করেন প্রস্তর যুগের সরঞ্জাম এবং কৌশল। আর আন্দামানে নিজেদের প্রত্যন্ত দ্বীপপুঞ্জকে সুরক্ষিত রাখতে তাঁরা সদাতৎপর। আর তার উদাহরণ আমরা আগেও দেখেছি। যেমন - ২০০৪ সালে ঘটে যাওয়া সুনামির পরে যখন পরিদর্শনকারী হেলিকপ্টার ওই এলাকায় গিয়েছিল, তখন সেটিকে নিশানা করেছিলেন তাঁরা। এখানেই শেষ নয়, একবার এক মৎস্যজীবী মাতাল অবস্থায় ভাসতে ভাসতে ওই দ্বীপপুঞ্জের তীরে পৌঁছে গিয়েছিলেন।
advertisement
5/7
তাঁকেও হত্যা করেছিলেন সেখানকার বাসিন্দারা। এরপরে ২০১৮ সালে জন চাউ তাঁদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করেছিলেন দ্বিতীয় বারের জন্য। কিন্তু তাঁকেও মেরে সমুদ্রের তীরেই পুঁতে দিয়েছিলেন নর্থ সেন্টিনেলের বাসিন্দারা। জন চাউয়ের জীবনের এই গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে আস্ত একটা চলচ্চিত্র। যার নাম ‘দ্য মিশন’।
তাঁকেও হত্যা করেছিলেন সেখানকার বাসিন্দারা। এরপরে ২০১৮ সালে জন চাউ তাঁদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করেছিলেন দ্বিতীয় বারের জন্য। কিন্তু তাঁকেও মেরে সমুদ্রের তীরেই পুঁতে দিয়েছিলেন নর্থ সেন্টিনেলের বাসিন্দারা। জন চাউয়ের জীবনের এই গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে আস্ত একটা চলচ্চিত্র। যার নাম ‘দ্য মিশন’।
advertisement
6/7
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের প্রযোজনায় ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন আমেরিকান ডকুমেন্টারিয়ান আমান্ডা ম্যাকবাইন এবং জেসি মস। এই প্রসঙ্গে মসের ব্যাখ্যা, সকলেই হয়তো মনে করেন যে, “জন চাউ হয়তো বোকা ছিলেন।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের প্রযোজনায় ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন আমেরিকান ডকুমেন্টারিয়ান আমান্ডা ম্যাকবাইন এবং জেসি মস। এই প্রসঙ্গে মসের ব্যাখ্যা, সকলেই হয়তো মনে করেন যে, “জন চাউ হয়তো বোকা ছিলেন।
advertisement
7/7
অথচ তিনি কিন্তু একেবারেই বোকা ছিলেন না। আদতে ভীষণ বুদ্ধিমান এবং নিয়মনিষ্ঠ প্রকৃতির এক মানুষ। আমরা এই ধরনের মানুষগুলিকে আসলে ধর্মান্ধ বলে ভেবে নিই। তাঁর বিষয়ে অনেক কিছুই স্বাভাবিক ছিল। তবে অনেক কিছুই গোপন করেছেন তিনি।”
অথচ তিনি কিন্তু একেবারেই বোকা ছিলেন না। আদতে ভীষণ বুদ্ধিমান এবং নিয়মনিষ্ঠ প্রকৃতির এক মানুষ। আমরা এই ধরনের মানুষগুলিকে আসলে ধর্মান্ধ বলে ভেবে নিই। তাঁর বিষয়ে অনেক কিছুই স্বাভাবিক ছিল। তবে অনেক কিছুই গোপন করেছেন তিনি।”
advertisement
advertisement
advertisement