ঘন রেশমি চুল উড়িয়ে বিমানবন্দর থেকে বেরিয়েছিলেন এক ব্যক্তি, সন্দেহ হওয়ায় জেরা শুরু করেন শুল্ক কর্তারা; তারপর যা হল…!

Last Updated:

IGI Airport : যার জেরে শুল্ক দফতরের কর্তারা প্রশ্ন করতেই আতঙ্ক যেন ফুটে ওঠে ওই যাত্রীর চোখমুখে। এরপর যা হল…! তা দেখে চমকে গিয়েছেন সকলে!

সন্দেহ হওয়ায় জেরা শুরু করেন শুল্ক কর্তারা; তারপর যা হল…! (Representative Image)
সন্দেহ হওয়ায় জেরা শুরু করেন শুল্ক কর্তারা; তারপর যা হল…! (Representative Image)
নয়াদিল্লি: আবু ধাবি থেকে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে নেমেছিলেন এক যাত্রী। সব কিছু ঠিকই চলছিল। কিন্তু আচমকাই যাত্রীর রেশমি ঘন চুল দেখে সন্দেহ হয় শুল্ক দফতরের কর্তাদের। তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করেন। হিন্দিতে একটা প্রবাদ রয়েছে, ‘চোর কি দাড়ি মে তিনকা’। যার অর্থ হল, দোষীরা স্বয়ং ভয় পায়। এই প্রবাদটা ওই যাত্রীর জন্য একেবারে সত্য বলে ফলে যায়। যার জেরে শুল্ক দফতরের কর্তারা প্রশ্ন করতেই আতঙ্ক যেন ফুটে ওঠে ওই যাত্রীর চোখমুখে। এরপর যা হল…! তা দেখে চমকে গিয়েছেন সকলে!
আসলে আবু ধাবি থেকে আসা একটি উড়ান থেকে নেমেছিলেন ওই ব্যক্তি। মালপত্র নিয়ে বিমানবন্দরের বাইরে বেরিয়েছিলেন তিনি। গেটে রুটিন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছিল। হাওয়ায় রীতিমতো রেশমি চুল উড়িয়ে হেলতে-দুলতে বেরিয়েও এসেছিলেন। আর তখনই শুল্ক কর্তাদের মনে হয়েছিল যে, ওই ব্যক্তির চুল আসল নয়। আর সন্দেহ দানা বাঁধতেই তাঁর পথ আটকান শুল্ক দফতরের কর্তারা। জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। আর সত্য যখন বেরিয়ে আসে, তখন কার্যত তাঁদের চক্ষু চড়কগাছ!
advertisement
advertisement
শুল্ক দফতরের কর্তাদের সন্দেহ হয়েছিল যে, ওই ব্যক্তি পরচুলা পরে রয়েছেন। ফলে তাঁর সেই পরচুলা খুলতে শুরু করেন তাঁরা। যে মুহূর্তে পরচুলাটি সরে যায়, দেখা যায়, ওই ব্যক্তির মাথায় রয়েছে টাক। আর মাথার উপরেই রাখা হয়েছে সোনার প্যাকেট। এখানেই শেষ নয়, ওই ব্যক্তির মলদ্বার বা রেক্টামেও ছিল প্রচুর সোনার ক্যাপসুল।
advertisement
ওই ব্যক্তির কাছ থেকে ৬৮৬ গ্রাম সোনার ৩টি পাউচ পাওয়া গিয়েছে। একটি পাউচ ছিল পরচুলার তলায়। আর বাকি দু’টো পাউচ ছিল তাঁর মলদ্বারে। মনে করা হচ্ছে, উদ্ধার হওয়ার সোনার মূল্য প্রায় ৫৫ লক্ষ টাকা। ইতিমধ্যেই ১৯৬২ সালের শুল্ক আইনের আওতায় ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আপাতত শ্রীঘরে ঠাঁই হয়েছে তাঁর।
advertisement
প্রসঙ্গত ডিআরআই তথ্য বলছে, প্রতি বছর দেশে প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ টন সোনা পাচার করা হয়। ২০২১-২২ সালে পাচার হওয়া সোনার পরিমাণ ছিল ৮৩৩ কেজি। যার মূল্য প্রায় ৪০৫ কোটি টাকা। যদিও ডিআরআই-এর বিশ্বাস, আসলে যে পরিমাণ সোনা পাচার হয়, এটা তার ১ শতাংশও নয়।
বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
ঘন রেশমি চুল উড়িয়ে বিমানবন্দর থেকে বেরিয়েছিলেন এক ব্যক্তি, সন্দেহ হওয়ায় জেরা শুরু করেন শুল্ক কর্তারা; তারপর যা হল…!
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement