গলছে হিমবাহের বরফ! তবু কেন নেমে যাচ্ছে জলস্তর? ৩ শক্তির খেল! গবেষণা জানাচ্ছে ভয়ঙ্কর সত্যি
- Published by:Tias Banerjee
Last Updated:
অ্যান্টার্কটিকার বরফ গললেও স্থানীয় সমুদ্রপৃষ্ঠ কমছে, বরফের অভিকর্ষ কমে জল সরে যাচ্ছে। ২১০০-২২০০ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে উপকূলীয় বিপদের আশঙ্কা বাড়ছে। গবেষণা স্পষ্ট সতর্কবার্তা দিচ্ছে—যদি দ্রুত বৈশ্বিক নির্গমন কমানো না হয়, পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকার দ্রুত গলন থামবে না। এরপর গলতে শুরু করবে পূর্ব অ্যান্টার্কটিকা—যা আকারে আরও বড় এবং অনেক বেশি বিপজ্জনক। বিশ্বের ভবিষ্যৎ সমুদ্রপৃষ্ঠ নির্ভর করছে আজকের পদক্ষেপের ওপর—এ কথা আর কোনওভাবেই এড়ানো যাবে না।
অ্যান্টার্কটিকার হিমবাহ গলছে, অথচ স্থানীয় সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা উল্টে কমছে—এ যেন প্রকৃতির এক বিস্ময়কর উলটোচিত্র। নতুন গবেষণা বলছে, বরফ গলতে থাকলেও অ্যান্টার্কটিকার চারপাশের জলস্তর নেমে যাচ্ছে, আর সেই জল সরে গিয়ে বিশ্বের উপকূলগুলিকে আরও বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অভিকর্ষ, পৃথিবীর ঘূর্ণন ও সমুদ্রজলের পুনর্বণ্টন—এই তিন শক্তির খেলাতেই তৈরি হচ্ছে এই অদ্ভুত চিত্র।
অ্যান্টার্কটিকার কাছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা কেন কমছে?
অ্যান্টার্কটিকার বিশাল বরফস্তর এক ধরনের ‘গ্রাভিটেশনাল ম্যাগনেট’—নিজের দিকে জল টেনে রাখে। কিন্তু বরফ গলতে শুরু করলে—
advertisement
ফলে স্থানীয় সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ার বদলে কমে যায়।
advertisement

নতুন গবেষণায় কী জানা গেল?
আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানী দল বরফস্তর, পৃথিবীর ম্যান্টল, বায়ুমণ্ডল ও সমুদ্র—সব মিলিয়ে একটি বিস্তৃত সিমুলেশন চালান। তাঁদের হিসেব—
advertisement
এতে গ্রিনল্যান্ডের গলন বা উষ্ণ সমুদ্রের সম্প্রসারণ ধরা নেই। সেই দু’টি যোগ করলে সমুদ্রপৃষ্ঠ আরও প্রায় দ্বিগুণ বাড়তে পারে।

সমুদ্র এক সমানভাবে কেন বাড়ে না?
সমুদ্র কোনও বাথটাবের মতো সমান নয়। তিন প্রধান শক্তি সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা নির্ধারণ করে—
advertisement

কোথায় সবচেয়ে বেশি বাড়বে সমুদ্রপৃষ্ঠ? (২২০০ সালের অনুমান)
(অ্যান্টার্কটিকা থেকে গলনের প্রভাব ধরে)
| অঞ্চল | সম্ভাব্য বৃদ্ধি |
|---|---|
| ভারত মহাসাগর | ১.৫ মিটার |
| প্রশান্ত মহাসাগর | ১.৫ মিটার |
| পশ্চিম আটলান্টিক | ১.৪–১.৫ মিটার |
| অ্যান্টার্কটিকার কাছে | সমুদ্রপৃষ্ঠ কমবে |
| উত্তর গোলার্ধের উপকূলীয় শহর | গড়ের চেয়ে বেশি বৃদ্ধি |
advertisement
advertisement
সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পাঁচ অঞ্চল
এই অঞ্চলগুলিতে জনসংখ্যার চাপ, ভূমি নিমজ্জন, এবং উপকূল-ভাঙন ঝুঁকি আরও বাড়াচ্ছে।
ধীরগতির ‘রক্ষাকবচ’ কী কী?
বিজ্ঞানীরা দু’টি সাময়িক রক্ষাকারী প্রভাব শনাক্ত করেছেন—
advertisement
তবে এগুলোর কোনওটিই দীর্ঘমেয়াদে বিপর্যয় ঠেকাতে পারবে না—কেবল গতি কিছুটা কমাতে সক্ষম।

যেসব অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে
কোটিকোটি মানুষের বাস্তুচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এখন বিশ্ব কী করতে পারে?
গবেষণা স্পষ্ট সতর্কবার্তা দিচ্ছে—
যদি দ্রুত বৈশ্বিক নির্গমন কমানো না হয়, পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকার দ্রুত গলন থামবে না। এরপর গলতে শুরু করবে পূর্ব অ্যান্টার্কটিকা—যা আকারে আরও বড় এবং অনেক বেশি বিপজ্জনক।
বিশ্বের ভবিষ্যৎ সমুদ্রপৃষ্ঠ নির্ভর করছে আজকের পদক্ষেপের ওপর—এ কথা আর কোনওভাবেই এড়ানো যাবে না।
view commentsLocation :
International
First Published :
November 28, 2025 7:50 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
গলছে হিমবাহের বরফ! তবু কেন নেমে যাচ্ছে জলস্তর? ৩ শক্তির খেল! গবেষণা জানাচ্ছে ভয়ঙ্কর সত্যি


