‘এতো আবেগহীন ক্রিমিনাল আমরা দেখিনি’, আসিফকে জেরার পর বললেন পুলিশকর্মীরা

Last Updated:

আসিফের দাদা আরিফ জানিয়েছিল, তাঁর ক্ষেত্রে ঘুমের ওষুধের পরিমাণে ভাই ভুল করায় গর্তে ফেলার আগেই তাঁর সম্বিৎ ফেরে.. সেই সময় ধস্তাধস্তি হয়। আরিফের হাতে প্রচুর কামড়ের চিহ্ন মিলেছে।

সুকান্ত মুখোপাধ্যায়
#মালদহ: মার্চ মাসে হ্যাকার সন্দেহে কালিয়াচক থানার পুলিশ ধরে নিয়ে এসেছিল আসিফকে। সেই সময় আসিফের গোডাউনের পাশে মূল বাড়িতে তল্লাশি চালান সাইবার সেলের আধিকারিকরা । কিন্তু সেই সময় তাঁদের চোখে সুরঙ্গ ধরা পড়েনি । জানা গিয়েছে, আসিফ হ্যাকিংয়ে এতটাই দক্ষ ছিল যে তদন্তকারী সাইবার সেলের আধিকারিকদের ফোন পর্যন্ত হ্যাকিং করার চেষ্টা করেছিল। তাঁর ফোনে কালিয়াচক থানার একাধিক পুলিশকর্মীর ফোন হ্যাক করার চেষ্টার প্রমাণ মিলেছে ।
advertisement
পাড়াতে নিজের সুপার হিউম্যান ইমেজ বানিয়েছিল আসিফ। এ ক্ষেত্রে তাঁর পরিবারেও ভূমিকা যথেষ্ট ছিল। দাদা আরিফ জানিয়েছে, ভাই এমনও গুজব রটিয়েছিল, তাঁর এতটাই হ্যাকিংয়ে দড় যে, আকাশ থেকে হেলিকপটার নামিয়ে আনতে পারে, প্লেন ক্রাশ করিয়ে দিতে পারে। আর এতেই গ্রামবাসিরা যথেষ্ট ভয় পেতেন । যদিও পুলিশ এখনও তাঁর মধ্যে কোনও মানসিক বিকারগ্রস্ততা খুঁজে পায়নি বলেই জানা গিয়েছে ।
advertisement
advertisement
আসিফের বন্ধুর কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া গিয়েছিল। সে সব ঝাড়খন্ড থেকে আনা হয়েছিল নভেম্বর মাসে । যদিও কিভাবে, আর কার কাছ থেকে আসিফ সে গুলো পেয়েছিল, তা খোলসা করে বলেনি সে ।
পুলিশ সূত্রে খবর, আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া নিয়ে সে জেরাতে পুলিশকে বিভ্রান্ত করছে । কখনও সে জেরায় জানিয়েছে এ সব অস্ত্র তাকে তার বাবা কিনে দিয়েছিলেন । কখনও বলেছে, এক বন্ধুর কাছ থেকে পেয়েছে । কখনও সে বলেছে, অস্ত্র সে এলাকার একটি ব্রিজের উপর থেকে ফেলে দিয়েছে। যদিও পরে সে বন্ধুর বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছে বলে জানালে আগ্নেয়াস্ত্র সাবিরের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়...পুলিশ সূত্রে খবর, যে পাঁচটি ৭ এমএম পিস্তল পেয়েছে পুলিশ, সে গুলো মালদহ বা মুর্শিদাবাদে পাওয়া যায় না। এ গুলো অত্যন্ত অত্যাধুনিক.. এ গুলো সব ঝাড়খন্ড মেড।
advertisement
অষ্টম শ্রেণীতে পড়ার আগে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল আসিফ। আরিফকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানতে পেরেছে পুলিশ যে, বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বাবাকে ফোন করে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে সে । বলে, যদি বাবা তাঁকে ফোন, ল্যাপটপ, ক্যামেরা না কিনে দেন তা হলে সে বাড়ি ফিরবে না। পরে বাবা কিনে দিলে সে বাড়ি ফিরে আসে। এরপর দ্বিতীয়বার নিজেকেই নিজে অপহরণের গুজব রটিয়ে বাড়িতে ফোন করে মুক্তিপন বাবদ টাকা হাতিয়েছিল বাবার কাছ থেকে। বাবা টাকা দিলে সে বাড়ি আসে।
advertisement
ঘটনার পর থেকেই তদন্তকারীরা বলছেন, অনুশোচনাহীন, একেবারে নির্লিপ্ত আসিফকে এখনো ভেঙে পড়তে দেখা যায়নি। না রাগ আছে, না অনুশোচনা। দাদা আরিফের সঙ্গে একাধিবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ভাই আসিফকে । পুলিশের ভাষায়, এই বয়সে এতো আবেগহীন ক্রিমিনাল এখনও পর্যন্ত কাউকে দেখেননি তাঁরা.. বিশেষ করে পরিবারেরকে নিকেশ করার পরেও একটুও আবেগতাড়িত হতে দেখা যায়নি আসিফকে।
advertisement
"গুলি করেই খুন করবো ঠিক করেছিলাম, আওয়াজ হবে বলে গুলি মারিনি" জেরায় জানিয়েছে আসিফ মোহাম্মদ । ফেব্রুয়ারি মাসের আগে আরও একবার পুরো পরিবারকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিল আসিফ । ঠান্ডা মাথায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে নানা পরিকল্পনা কষেছিল । গোডাউন তৈরির পিছনে বড় কারণ জেরায় আসিফ জানিয়েছে, গোডাউনের যে নকশা ছিল, তাতে জানালা ছিল না। একটাই দরজা ছিল। দেওয়ালের গাঁথনি মোটা এই কারণে করা হয়েছিল, কারণ গোটা পরিবারকে গুলি করে গোডাউন এ হত্যার পরিকল্পনা ছিল তার । তার নিজের ঘরেও ছিল না কোনও জানলা । কিন্তু সেই পরিকল্পনা বাতিল করে ঠান্ডা পানীয়র মধ্যে অচেতন করার ওষুধ মিশিয়েছিল । আসিফের দাদা আরিফ জানিয়েছিল, তাঁর ক্ষেত্রে ঘুমের ওষুধের পরিমাণে ভাই ভুল করায় গর্তে ফেলার আগেই তাঁর সম্বিৎ ফেরে.. সেই সময় ধস্তাধস্তি হয়। আরিফের হাতে প্রচুর কামড়ের চিহ্ন মিলেছে। যা আসিফ ২৮ ফেব্রুয়ারি করেছিল।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
‘এতো আবেগহীন ক্রিমিনাল আমরা দেখিনি’, আসিফকে জেরার পর বললেন পুলিশকর্মীরা
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement