#মালদহ: রাজ্যের সেরা দুই ছাত্রীর দু’জনেই ভাদো মুসলিম গার্লস মিশনের পড়ুয়া। দু’জনেই বটতলা আদর্শ হাইমাদ্রাসা থেকে এবারের পরীক্ষায় বসে। রাজ্যে মাদ্রাসা বোর্ডের মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম সারিফা খাতুনের প্রাপ্ত নম্বর ৭৮৬। বাবা উজির হোসেন ঝালমুড়ি বিক্রেতা। মা সোয়েদা বিবি গৃহবধূ। ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চায় সারিফা। উচ্চশিক্ষার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্য চান মাদ্রাসা পরীক্ষার প্রথম। পরিবারের আর্থিক অবস্থা স্বচ্ছল নয়। উচ্চশিক্ষায় সাহায্য করুন মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যসরকার। এমনটাই আর্জি জানিয়েছেন সারিফার বাবা উজির হোসেন এবং মা সোয়েদা বিবি। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে ছোট সারিফা। করোনাকালেও পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতিতে কোনও কমতি ছিল না। রাজ্যে প্রথম দশের মধ্যে স্থান পাওয়ার আশা ছিল। তবে একেবারে 'প্রথম' একথা কখনও ভাবতে পারেনি, জানিয়েছে সারিফা।
অন্যদিকে রাজ্যে মাদ্রাসা বোর্ডের মাধ্যমিক পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে ভাদো মুসলিম গার্লস মিশনের ইমরানা আফরোজ। বটতলা আদর্শ হাইমাদ্রাসা থেকে সারিফার মতোই পরীক্ষায় বসেছিল ইমরানা। মাদ্রাসা পরীক্ষার দ্বিতীয় ইমরানার প্রাপ্ত নম্বর ৭৭৫। ভবিষ্যতে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হতে চায় ইমরানা। মেয়ে বরাবর পড়াশোনায় আগ্রহী। প্রথম থেকেই ভাল ফলের আশা ছিল, জানিয়েছেন মা ইসমেতারা খাতুন।
এবার ভাদো মুসলিম গার্লস মিশন থেকে সব মিলিয়ে চারজন রাজ্যের মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে। ঘটনায় উচ্ছ্বসিত মিশন কর্তৃপক্ষ। মিশনের অধ্যক্ষ মাসুদ আলম জানিয়েছেন, প্রথম স্থান পাওয়া সারিফা ছোটবেলা থেকেই মিশনের পড়ুয়া। সপ্তম শ্রেণী থেকে মিশনে যোগ দেয় ইমরানা। ওঁরা দুজন ছাড়াও নবম ও দশম স্থানে মিশনের দুই পড়ুয়া রয়েছে। ভবিষ্যতে আরও ভাল করতে ওঁরা উদ্বুদ্ধ করবে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।