Bikaner Express Accident: তিন মাসের মেয়েকে কোলে নেওয়া হল না সুভাষের, মাকে কথা দিয়েও ফিরলেন না চিরঞ্জিৎ

Last Updated:

কোচবিহারর কোতোয়ালি থানার ফলিমারি গ্রামের বাসিন্দা সুভাষ রায়৷ প্রায় ১৫ বছর থেকে জয়পুরে শ্রমিকের কাজ করতেন তিনি (Bikaner Express Accident)৷

নিহত সুভাষ রায় (বাঁদিকে) ও চিরঞ্জিৎ বর্মন৷
নিহত সুভাষ রায় (বাঁদিকে) ও চিরঞ্জিৎ বর্মন৷
#কোচবিহার: দুই ছেলের পর মেয়ে হয়েছে৷ তিন মাসের সেই মেয়েকে প্রথমবার সামনে থেকে দেখার আশা নিয়েই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন কোচবিহারের বাসিন্দা সুভাষ রায় (৩৮)৷ কিন্তু সেই আশা অপূর্ণই থেকে গেল সুভাষবাবুর৷ কারণ ময়নাগুড়িতে লাইনচ্যুত হওয়া বিকানের এক্সপ্রেসের মৃত ৯ জন যাত্রীর মধ্যে নাম রয়েছে তাঁরও (Bikaner Express Accident)৷
একা সুভাষ বাবু নন, বৃহস্পতিবারের দুর্ঘটনায় (North Bengal Train Accident) প্রাণ হারিয়েছেন কোচবিহারের আরও এক বাসিন্দা চিরঞ্জিৎ বর্মন (২৩)৷
কোচবিহারর কোতোয়ালি থানার ফলিমারি গ্রামের বাসিন্দা সুভাষ রায়৷ প্রায় ১৫ বছর থেকে জয়পুরে শ্রমিকের কাজ করতেন তিনি৷ তিন মাস আগে মেয়ের বাবা হন সুভাষ বাবু৷ কিন্তু কর্মসূত্রে বাইরে থাকায় সুভাষবাবু সেই সময় বাড়ি ফিরতে পারেননি৷ তিন মাসের সেই মেয়ে সুপ্রিয়াকে দেখার জন্যই এবার ছুটি পেয়ে বাড়ি ফিরছিলেন সুভাষবাবু৷
advertisement
advertisement
জয়পুর থেকে বিকানের এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন সুভাষ রায়৷ কিষানগঞ্জ স্টেশনে পৌঁছে দাদাকে ফোনও করেছিলেন তিনি৷ মেয়েকে কোলে নেওয়ার জন্য যে তাঁর আর তর সইছে না, সেকথাও জানিয়েছিলেন দাদাকে৷ সন্ধে সাতটায় নিউ কোচবিহার স্টেশনে নামার কথা ছিল সুভাষ বাবুর৷ কিন্তু বিকেল পাঁচটা নাগাদ দোমহনীর দুর্ঘটনা এক মুহূর্তে সব হিসেব নিকেশ উল্টে দিল৷
advertisement
বিকানের এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকেই উদ্বেগে ছিল সুভাষ বাবুর পরিবার৷ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন সুভাষবাবুর পরিবারের সদস্যরা৷ এর পর রাতেই সুভাষ বাবুর পরিবারের কাছে তাঁর মৃত্যুসংবাদ পৌঁছয়৷ সুভাষ বাবুর মৃত্যু সংবাদে গোটা ফলিমারি গ্রামেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে৷ তিন মাসের মেয়ের সঙ্গে যে সুভাষ বাবুর দেখা হল না, তা ভাবতেও পারছেন না পরিবারের সদস্যরা৷
advertisement
সুভাষ বাবু ছাড়াও ওই ট্রেনেই বাড়ি ফিরছিলেন কোচবিহারের কোতোয়ালি থানা এলাকারই চান্দামারির বাসিন্দা চিরঞ্জিৎ বর্মন৷ ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তাঁরও৷ চিরঞ্জিতও ভিন রাজ্যে কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে৷ ট্রেনে ওঠার পর শেষ বার মায়ের সঙ্গে কথা হয়েছিল তাঁর৷ কিন্তু সুভাষ বাবুর মতো বাড়ি ফেরা হল না চিরঞ্জিতেরও৷
advertisement
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালেইময়নাতদন্ত করার পর সুভাষ রায় এবং চিরঞ্জিৎ বর্মনের দেহ কোচবিহারে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হবে৷
বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
Bikaner Express Accident: তিন মাসের মেয়েকে কোলে নেওয়া হল না সুভাষের, মাকে কথা দিয়েও ফিরলেন না চিরঞ্জিৎ
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement